
আইপিএলের চেয়ে ডিপিএলকে কঠিন বলছেন পারভেজ রসুল
ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল) থেকে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে (ডিপিএল) খেলা কঠিন বলে মনে করছেন পারভেজ রসুল! এই ব্যাপারে অবশ্য নিজস্ব যুক্তিও তুলে ধরেছেন আইপিএলে চার আসর খেলা এই ক্রিকেটার।
ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল) থেকে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে (ডিপিএল) খেলা কঠিন বলে মনে করছেন পারভেজ রসুল! এই ব্যাপারে অবশ্য নিজস্ব যুক্তিও তুলে ধরেছেন আইপিএলে চার আসর খেলা এই ক্রিকেটার।
টাকা খরচ করো তবুও শিরোপা আমার চাই ই চাই! বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) ফ্র্যাঞ্চাইজির মালিকদের মোটোই যেন এমন। ট্রফির ‘নেশায়’ জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের পাশাপাশি বিদেশি তারকাদের উপর বেশি ভরসা করেন তাঁরা। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে টপ অর্ডারে ব্যাটিং, ফিনিশার কিংবা বোলিংয়ে শুরু ও শেষের মুহূর্তে আলোর মশাল নিয়ে বিপিএল খেলেন বিদেশিরা। যদিও তাদের এমন পরিকল্পনায় খুব বেশি দোষের কিছু নেই। কোটি, কোটি টাকা বিনিয়োগ করে শিরোপা জিততে চাওয়ার মোটোই তো সবার হওয়া উচিত।
বিপিএলের বাইরে বাংলাদেশের ঘরোয়া ক্রিকেটের সূচিতে নেই কোন টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট। ক্রিকেটার থেকে সমর্থক, সবার চাওয়ার প্রতিফলন ঘটিয়ে জাতীয় ক্রিকেট লিগ টি-টোয়েন্টি চালু করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। স্থানীয় ক্রিকেটার নিয়ে আয়োজিত হলেও অনেকটা ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টের আবহ দেয়ার চেষ্টা করেছে তারা। ঘরোয়া ক্রিকেটে পৃষ্ঠপোষক পাওয়া যায় না! এমন কথা চাউর থাকলেও এনসিএল টি-টোয়েন্টিতে আল–আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংক ও ওয়ালটনকে যুক্ত করতে পেরেছিল বিসিবি।
আহমেদ শরীফ চারটি ও ফাহাদ হোসেন তিনটি! চট্টগ্রাম বিভাগের তরুণ দুই পেসারই নিয়েছেন খুলনার সাত উইকেট। তাদের দুজনের এমন বোলিংয়ের পরও এনামুল হক বিজয়, ইমরুল কায়েস, আজিজুল হক তামিমদের ব্যর্থতার দিনে ৫২ রান করলেন নুরুল হাসান সোহান। অধিনায়কের হাফ সেঞ্চুরিতে খুলনাও পায় লড়াইয়ের মতো ১৪৬ রানের পুঁজি। জাতীয় ক্রিকেট লিগ টি-টোয়েন্টির এলিমিনেটরে জয়ের জন্য খুলনার সেই রানই শেষ পর্যন্ত যথেষ্ট হলো।
ওভালে সিরিজের তৃতীয় টেস্টে ইংল্যান্ডকে ৮ উইকেটে হারিয়ে ১০ বছরের অপেক্ষার অবসান ঘটিয়েছে শ্রীলঙ্কা। যদিও প্রথম দুই ম্যাচ হেরে আগেই খুইয়েছিল সফরকারীরা। সিরিজ জিততে না পারলেও ইংল্যান্ড সফরে বল হাতে আলো ছড়িয়েছিলেন আসিথা ফার্নান্দো। স্বাগতিকদের বিপক্ষে ভালো করার ফল যেন হাতেনাতে পেলেন ডানহাতি এই পেসার।
জাতীয় ক্রিকেট লিগ টি-টোয়েন্টির প্রথম দিনেই ব্যাট হাতে ঝড় তুলেছিলেন জিসান আলম। ঢাকা বিভাগের বিপক্ষে খেলেছিলেন ৫৩ বলে ১০০ রানের অনবদ্য ইনিংস। চারটি চারের সঙ্গে ১০ ছক্কায় ঢাকা বিভাগের বোলারদের তুলোধুনো করেছিলেন তরুণ এই ওপেনার। সেঞ্চুরি করে টুর্নামেন্ট শুরু করা জিসান খুলনার বিপক্ষে ৬ ছক্কায় ৪৮ বলে করেছেন ৭৩ রান। জিসানের এমন ব্যাটিংয়ে প্রথম জয়ের দেখা পেয়েছে সিলেট।
৬ বলে ২৫ রান! চট্টগ্রাম বিভাগকে হারিয়ে ম্যাচ জিততে হলে শেষ ওভারে এমন কঠিন সমীকরণ মেলাতে হতো বরিশাল বিভাগকে। ইরফান হোসেনের বিপক্ষে কাজটা একেবারেই সহজ ছিল না সালমান হোসেন ইমন ও মইনুল ইসলামের জন্য। ডানহাতি পেসারের ফুলার লেংথের প্রথম ডেলিভারি থেকে রানই বের করতে পারলেন না সালমান। অফ স্টাম্পের বাইরের পেয়ে বলে ডিপ পয়েন্ট নিয়ে সীমানা ছাড়া করেছেন ডানহাতি এই ব্যাটার। পরের বলে ছক্কা মেরেছেন ডিপ মিড উইকেটের উপর দিয়ে। চতুর্থ বলে এক্সট্রা কভারের উপর দিয়ে চার মারলে শেষ ২ বলে বরিশালের প্রয়োজন হয় ৯ রান।
আলিস আল ইসলামের উত্থানটা বিপিএল দিয়ে। এরপর ইনজুরি তার জীবন থেকে কেড়ে নিয়েছে কয়েকটি বছর। আবারও নিয়মিত হয়েছেন। বল হাতে পারফর্মও করছেন আলিস। তার দুর্দান্ত বোলিংয়েই খুলনার বিপক্ষে ৬ রানের জয় তুলে নিয়েছে ঢাকা মেট্রো।
ইমরুল কায়েস, মোহাম্মদ মিঠুন ও আজিজুল হাকিম তামিমকে ফিরিয়ে নিজের কাজটা করে দিয়েছেন আলিস আল ইসলাম। ৪ ওভারে ২৪ রান খরচায় ঢাকা মেট্রোর ‘রহস্যময়’ স্পিনার নিয়েছেন ৩ উইকেট। বোলিংয়ে বাকি কাজটা সেরেছেন রাকিবুল হাসান, মারুফ মৃধারা। খুলনার এনামুল হক বিজয়, নুরুল হাসানদের সোহানদের ব্যাটিং ব্যর্থতায় ৬ রানের জয় তুলে নিয়েছে ঢাকা মেট্রো। জাতীয় ক্রিকেট লিগ টি-টোয়েন্টির তিন ম্যাচ জিতে পয়েন্ট টেবিলে সবার উপরে নাইম শেখরা।
২০২১ সালে টেস্ট খেলার মর্যাদা পেলেও এখন পর্যন্ত সাদা পোশাকের ক্রিকেটে ম্যাচ খেলা হয়ে ওঠেনি বাংলাদেশের মেয়েদের। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট চালু না হওয়ায় সুযোগ থাকার পরও টেস্ট খেলতে পারেননি নিগার সুলতানা জ্যোতি। সেই আক্ষেপ ঘুচাতে ২০২৩ সালের মার্চে পদ্মা, মেঘনা ও যমুনা নামের তিন দল নিয়ে আয়োজিত হয়েছিল মেয়েদের প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটার।
তিনটি সিঙ্গেল নিয়ে ইনিংস শুরু করেছিলেন তামিম ইকবাল। এরপর একটি বাউন্ডারি ও একটি ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে ছক্কা। তবে এরপর আর ইনিংস বড় করতে পারেননি বাঁহাতি এই ওপেনার। তিনি ১০ বলে ১৩ রান করে শেষ হয়েছে তামিমের প্রত্যাবর্তনের ইনিংস। জাতীয় ক্রিকেট লিগ টি-টোয়েন্টিতে নিজেদের প্রথম ম্যাচে রংপুর বিভাগের বিপক্ষে ৫ উইকেটে হেরেছে চট্টগ্রাম বিভাগ।
রাজশাহী বিভাগের জন্য ১৭৩ রানের লক্ষ্যটা একেবারে সহজ ছিল না। তবে রাজশাহীর কাজটা সহজ করে দিয়েছেন হাবিবুর রহমান সোহান ও সাব্বির হোসেন। বিশেষ করে সোহানের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে জয়ের ভিত পায় রাজশাহী। ম্যাচ জিততে বাকি কাজটা সেরেছেন প্রীতম কুমার ও এসএম মেহেরব হাসানরা। আলোকস্বল্পতায় খেলা শেষের আগে ডিএলএস মেথডে ১১ রানের জয় পেয়েছে রাজশাহী। ফলে জাতীয় ক্রিকেট লিগ টি-টোয়েন্টির প্রথম ম্যাচেই হার দেখতে হলো খুলনা বিভাগকে।