এসবের বাইরে বিসিবির অধীনে কখনো এইচপি আবার কখনো বাংলাদেশ ‘এ’ দলের হয়ে খেলেছেন। যুব দল থেকে বের হওয়ার পর তরুণ ক্রিকেটারদের অপেক্ষা করতে হয় এইচপির দ্বিপাক্ষিক সিরিজের জন্য। যদিও প্রত্যাশিতভাবে ম্যাচ খেলতে পারেন না তারা। সুযোগ-সুবিধা না থাকায় অনুশীলনের ঘাটতিও থেকে যায় অনেক সময়। একটু বয়স হতেই তাদের পাঠানো হয় ‘এ’ দলে। এ ছাড়া ডিপিএল কিংবা এনসিএল দল পেলেও ম্যাচ খেলবেন সেটার নিশ্চয়তা নেই কারও কাছে।
এমন অবস্থায় কোন কোন ক্রিকেটার বছরান্তর দুই-চার ম্যাচের বেশি খেলতে পারেন না। যার ফলে অনুশীলন করেও আন্তর্জাতিক মঞ্চের জন্য নিজেকে প্রস্তুত করতে পারেন না। এমন ক্রিকেটারদের জন্য এইচপি কিংবা ‘এ’ দলের বাইরে অনূর্ধ্ব-২৩ রাজ্য ট্রফি, অনূর্ধ্ব-১৯ ওয়ানডে চ্যালেঞ্জার ট্রফি আয়োজন করে ভারত। অস্ট্রেলিয়াতে হয়ে থাকে অস্ট্রেলিয়ান ক্যাপিটাল টেরিটোরি অনূর্ধ্ব-২৩ টুর্নামেন্ট।
ভারত ও অস্ট্রেলিয়ার পথে হাঁটতে যাচ্ছে বাংলাদেশও। তরুণ ক্রিকেটারদের জন্য রাইজিং স্টার্স অনূর্ধ্ব-২৩ টুর্নামেন্ট আনছে বিসিবি। বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগের (বিসিএল) আদলে চারটি আঞ্চলিক দল নিয়ে টুর্নামেন্টটি আয়োজন করবে তারা। গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আমজাদ হোসেন।
বিসিবির মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান বলেন, ‘নতুন সিদ্ধান্ত হচ্ছে রাইজিং স্টার অনূর্ধ্ব-২৩ ক্রিকেট টুর্নামেন্ট হবে। বিসিএলের মতো করে হবে কিন্তু অনূর্ধ্ব-২৩। অনূর্ধ্ব-১৯ এর পরে বয়সভিত্তিক নির্দিষ্ট কোন টুর্নামেন্ট ছিল না। কিন্তু ফেব্রুয়ারিতে এটা হবে ইনশাআল্লাহ। প্রাথমিক পরিকল্পনা হচ্ছে চট্টগ্রামের দুটো স্টেডিয়ামে ম্যাচগুলো হবে। ডাবল (রাউন্ড রবিন) লিগ সিস্টেমে। ফাইনাল ঢাকায় হবে।’
আগামী ফেব্রুয়ারিতে ডাবল রাউন্ড রবিন পদ্ধতিতে চট্টগ্রামের দুইটি ভেন্যুতে মাঠে গড়াবে রাইজিং স্টার্স অনূর্ধ্ব-২৩ লিগ। ৬০ ক্রিকেটারের পুল তৈরি করতেই অনূর্ধ্ব-১৯ থেকে অনূর্ধ্ব-২৩ ক্রিকেটারদের এমন সুযোগ করে দিচ্ছে বিসিবি। চট্টগ্রামে গ্রুপ পর্বের ম্যাচগুলো হলেও ঢাকায় হবে ফাইনাল। আপাতত কোন ফরম্যাটে খেলা হবে সেটা জানা যায়নি। তবে শোনা যাচ্ছে তিন ফরম্যাটের জন্যই রাইজিং স্টার্স অনূর্ধ্ব-২৩ টুর্নামেন্ট করবে বিসিবি।