সবশেষ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারতের দলে ছিলেন না গিল। টি-টোয়েন্টি দলে ফেরার পর ২০২৫ সালে ১৫ ম্যাচ খেলেছেন ডানহাতি এই ব্যাটার। ২৪.২৫ গড় ও ১৩৭.২৬ স্ট্রাইক রেটে ২৯১ রান করেছেন তিনি। তবে এই সময়ের মধ্যে কোন হাফ সেঞ্চুরি নেই তাঁর। সূর্যকুমার জানিয়েছেন, রান খরার জন্য নয় বরং কম্বিনেশনের কারণে বাদ পড়েছেন গিল। ভারতের টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক নিশ্চিত করেছেন, তাদের চাওয়া ছিল টপ অর্ডারে একজন উইকেটকিপার ব্যাটার।
সেই চাওয়া পূরণ করতেই গিলের পরিবর্তে টপ অর্ডারে যুক্ত করা হয়েছে ইশান কিশানকে। ঘরোয়া টি–টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট সৈয়দ মুশতাক আলী ট্রফিতে ব্যাট হাতে আলো ছড়িয়েছেন বাঁহাতি উইকেটকিপার ব্যাটার। ঝাড়খাণ্ডকে চ্যাম্পিয়ন করার পাশাপাশি ১০ ম্যাচে ৫৭.৪৪ গড় ও ১৯৭.৩২ স্ট্রাইক রেটে ৫১৭ রান করেছেন ইশান। দুইটি সেঞ্চুরির পাশাপাশি দুইটি হাফ সেঞ্চুরিও আছে তাঁর।
গিলের বাদ পড়ার ব্যাখ্যায় সূর্যকুমার বলেন, ‘এটা ছন্দের জন্য নয়, কম্বিনেশনের জন্য। আমরা উপরের দিকে একজন কিপার চেয়েছিলাম। ভিন্ন কম্বিনেশনের জন্য রিংকু সিং কিংবা পরের দিকে ওয়াশিংটন সুন্দরের মতো কাউকে আমরা চেয়েছিলাম। এজন্যই আমরা উপরের দিকে একজন অতিরিক্ত উইকেটকিপার নিয়েছি। সে (গিল) দারুণ একজন খেলোয়াড় এবং এটা নিয়ে কোন সন্দেহ নেই।’
নির্বাচক কমিটির প্রধান আগারকারও জানিয়েছেন সেই কথা। তবে গিল যে ব্যাট হাতে রান করতে পারছেন না সেই ব্যাপারটাও সামনে এনেছেন। আগারকার বলেন, ‘ আমরা জানি সে (শুভমান গিল) কতটা ভালো খেলোয়াড়। কিন্তু এই মুহূর্তে সে রান করতে পারছে না। গিলের বাদ পড়া দুর্ভাগ্যজনক। গত বিশ্বকাপেও সে ছিল না, কারণ আমরা ভিন্ন কম্বিনেশন নিয়ে খেলেছিলাম। স্রেফ দলের প্রয়োজনে বা কম্বিনেশনের কারণেই গিলকে বাইরে থাকতে হচ্ছে।’
ইশানের পাশাপাশি টি-টোয়েন্টি দলে ফেরানো হয়েছে রিংকু সিংকেও। সবশেষ কয়েক মাসে অভিষেকের সঙ্গে গিল ওপেন করলেও বিশ্বকাপে দেখা যেতে পারে ভিন্ন জুটি। সাউথ আফ্রিকার বিপক্ষে শেষ টি-টোয়েন্টিতে অভিষেকের সঙ্গী ছিলেন সাঞ্জু স্যামসন। ব্যাট হাতে রানও করেছেন।