এই অসাধারণ ব্যাটিংয়ের ওপর ভর করে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সামনে ৪৬২ রানের লক্ষ্য দাঁড় করিয়েছে নিউজিল্যান্ড। চতুর্থ দিনের শুরুতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ প্রথম ইনিংসে ছয় উইকেটে ৩৮১ রান নিয়ে খেলতে নেমে শেষ পর্যন্ত অলআউট হয়েছে ৪২০ রানে। এতে প্রথম ইনিংসে স্বাগতিকদের লিড দাঁড়ায় ১৫৫ রান।
এরপর দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে নিউজিল্যান্ড দুই উইকেটে ৩০৬ রান করে ইনিংস ঘোষণা করে। ওপেনিং জুটিতেই লাথাম ও কনওয়ে যোগ করেন ১৯১ রান। কনওয়ে ১০০ রান করে কাভেম হজের বলে আউট হন, আর লাথাম ফেরেন দলীয় ২৩৪ রানে, তাকেও আউট করেন হজ।
ওপেনারদের বিদায়ের পর কেন উইলিয়ামসন ও রাচিন রবীন্দ্র দ্রুত রান তুলতে থাকেন। দুজনে মাত্র ৩৭ বলে ৭২ রানের জুটি গড়েন। উইলিয়ামসন ৩৭ বলে ৪০ রান এবং রাচিন ২৩ বলে ৪৬ রানে অপরাজিত থাকেন।
৪৬২ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিং করতে নেমে ওয়েস্ট ইন্ডিজ চতুর্থ দিনের শেষ বিকেলে ১৬ ওভারে বিনা উইকেটে ৪৩ রান তোলে। ওপেনার ব্রেন্ডন কিং ৩৭ ও জন ক্যাম্পবেল ২ রানে অপরাজিত থেকে দিন শেষ করেন। স্কোরবোর্ডে উইকেট না হারালেও লক্ষ্য এখনও অনেক দূরে।
চতুর্থ দিনেই পিচে অসমান বাউন্স দেখা গেছে, যা পঞ্চম দিনে ব্যাটিংকে আরও কঠিন করে তুলতে পারে। তাই সাবলীল শুরু হলেও শেষ দিনে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সামনে বড় চ্যালেঞ্জ অপেক্ষা করছে। রান তাড়া করতে হলে দীর্ঘ সময় উইকেটে টিকে থাকার পাশাপাশি বড় ইনিংসের প্রয়োজন হবে।
এর আগের টেস্টে ওয়েস্ট ইন্ডিজ শেষ দুই দিনে ১৬৩.৩ ওভার ব্যাটিং করে ম্যাচ ড্র করেছিল, যেখানে জাস্টিন গ্রিভস খেলেছিলেন ডাবল সেঞ্চুরির ইনিংস। সেই স্মৃতি থেকেই ক্যারিবিয়ানদের আশা বেঁচে আছে, তবে এবারও তেমন কিছু করতে হলে কাউকে বড় ইনিংস খেলতেই হবে।
এই টেস্টে প্রথম ইনিংসে কাভেম হজ ১২৩ রানে অপরাজিত থেকে লড়াইয়ের ভিত্তি গড়েছিলেন। তবে আজ সকালে অ্যান্ডারসন ফিলিপ, শাই হোপ, জেইডেন সিলস ও কেমার রোচ দ্রুত ফিরে যাওয়ায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ মাত্র ৩৯ রান যোগ করতে পেরেছিল। সব মিলিয়ে পঞ্চম দিনে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ স্পষ্টভাবেই নিউজিল্যান্ডের হাতে।
