ম্যাচের শেষ মুহূর্তটা আসে স্কট বোল্যান্ডের হাতে। জশ টাংয়ের ব্যাটে লেগে যাওয়া এজ প্রথম স্লিপে মার্নাস ল্যাবুশানের কাছে ধরা পড়ে। এটিই ছিল ম্যাচে ল্যাবুশানের চতুর্থ ক্যাচ। অন্য প্রান্তে ৩৯ রানে অপরাজিত থেকে যান ব্রাইডন কার্স, যিনি জেমি স্মিথ (৬০) ও উইল জ্যাকসের (৪৭) সঙ্গে মিলে ইংল্যান্ডকে ঘুরে দাঁড়ানোর আশা দেখিয়েছিলেন।
তৃতীয় টেস্টে অস্ট্রেলিয়া জিতে ৮২ রানে। প্রথম দিনে পাঁচ রানে জীবন পেয়ে উসমান খাওয়াজাও করেছিলেন ৮২ রান! একইভাবে ট্রাভিস হেড ৯৯ রানে বেঁচে গিয়ে পরে আরো ৭১ রান যোগ করেন, যা সিরিজে ইংল্যান্ডের জন্য বড় ক্ষতির কারণ হয়।
শেষ দিন শুরু হয় নতুন বল পাওয়ার আগে ১৭ ওভার বাকি থাকতে। নাথান লায়ন ও ক্যামেরন গ্রিন পুরোনো বলের দায়িত্ব ভাগ করে নেন। জেমি স্মিথ ও জ্যাকস ধীরে কিন্তু আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে খেলতে থাকেন। কয়েকটি দারুণ শটে প্রয়োজনীয় রান ২০০-এর নিচে নামিয়ে আনেন। মেঘলা আবহাওয়ায় বার্মি আর্মির আশাও বাড়তে থাকে, বৃষ্টির কারণে কিছু সময় খেলা বন্ধ থাকাও ইংল্যান্ডের জন্য ইতিবাচক ছিল।
ওদিকে অস্ট্রেলিয়া শিবিরে বড় ধাক্কা আসে নাথান লায়নের ইনজুরিতে। ফাইন লেগে ডাইভ দিতে গিয়ে ডান হ্যামস্ট্রিংয়ে চোট পান তিনি এবং মাঠ ছাড়তে বাধ্য হন। আগের সিরিজের মতো এবারও তার বাকি সিরিজ খেলা অনিশ্চিত হয়ে পড়ে। এরপর ইংল্যান্ড আক্রমণাত্মক হতে শুরু করে।
নতুন বলে মিচেল স্টার্ক ও প্যাট কামিন্স ফিরলে ম্যাচের মোড় ঘুরে যায়। স্মিথ টানা বাউন্ডারিতে নিজের প্রথম ফিফটি পূর্ণ করলেও অতিরিক্ত ঝুঁকি নিতে গিয়ে স্টার্কের বলে ক্যাচ দেন।
লাঞ্চের পর কার্স কিছুটা ভাগ্যের সহায়তা পান। একবার এলবিডব্লিউ থেকে বেঁচে যান তিনি। কয়েকটি বড় শট খেলে ব্যবধানও কমান। যদিও অস্ট্রেলিয়ার পেস আক্রমণ তখন ক্রমেই চাপ বাড়াচ্ছিল। ল্যাবুশানের আরেকটি দুর্দান্ত ক্যাচ ম্যাচ কার্যত শেষ করে দেয়।
শেষ পর্যন্ত ইংল্যান্ডের প্রতিরোধ ভেঙে পড়ে। স্টার্ক শেষ ভাগে গুরুত্বপূর্ণ উইকেট তুলে নেন এবং অস্ট্রেলিয়া ঘরের মাঠে টানা চতুর্থ অ্যাশেজ সিরিজ জয়ের আনন্দে মেতে ওঠে।