মুস্তাফিজ ১৮ কোটি পেলেও অবাক হতেন না তাসকিন

আইপিএল
কলকাতা নাইট রাইডার্সের ফেসবুক থেকে নেয়া
কলকাতা নাইট রাইডার্সের ফেসবুক থেকে নেয়া
ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক
ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক
আইপিএলে কয়েক মৌসুম খেলেছেন, পারফর্মও করেছেন—তবুও মুস্তাফিজুর রহমানকে নিলাম থেকে কখনই তিন কোটি রুপি দিয়ে কেনেনি কোন ফ্র্যাঞ্চাইজি। সেই মুস্তাফিজই আগামী আসরের জন্য বিক্রি হয়েছেন ৯ কোটি ২০ লাখ রুপি। বাংলাদেশের তারকা পেসারকে খেলতে দেখা যাবে কলকাতা নাইট রাইডার্সের জার্সিতে। তাসকিন আহমেদ মনে করেন, মুস্তাফিজের দাম ৯ কোটির জায়গায় ১৮ কোটি হলেও অবাক হওয়ার কিছু ছিল না।

সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের হয়ে টি-টোয়েন্টি বল হাতে নিয়মিত পারফর্ম করছেন মুস্তাফিজ। আইপিএলে দল পেতে পারেন, এমন ধারণা ছিল আগে থেকেই। যদিও বাঁহাতি পেসার পুরো মৌসুমের জন্য এনওসি পাবেন কিনা সেটা নিয়ে সংশয় ছিল। সেই সংশয় উপেক্ষা করেই তাকে পেতে আগ্রহ দেখায় আইপিএলের তিন ফ্র্যাঞ্চাইজি। পেসারদের দ্বিতীয় সেটে থাকা বাঁহাতি পেসারের ভিত্তিমূল্য ছিল ২ কোটি ‍রুপি।

মুস্তাফিজকে পেতে শুরুতে আগ্রহ দেখায় দিল্লি ক্যাপিটালস ও চেন্নাই সুপার কিংস। যদিও একটা সময় পর দিল্লি লড়াই থেকে ছিটকে যায়। সেই সময় চেন্নাইয়ের সঙ্গে লড়াইয়ে যোগ দেয় কলকাতা। দুই দলের চাহিদা থাকায় দ্রুতই দাম বাড়তে থাকে বাঁহাতি পেসারের। একটা সময় চেন্নাইকে হটিয়ে ৯ কোটি ২০ লাখ রুপিতে মুস্তাফিজকে নিজেদের করে নেয় শাহরুখ খানের কলকাতা। ষষ্ঠ দল হিসেবে কলকাতার হয়ে আইপিএল খেলবেন মুস্তাফিজ।

এর আগে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ, রাজস্থান রয়্যালস, দিল্লি, চেন্নাই এবং মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের হয়ে খেলেছেন। ৮ মৌসুমে ৬০ ম্যাচে ৮.১৩ ইকোনমি রেটে নিয়েছেন ৬৫ উইকেট। ২০১৬ অভিষেক আসরে ক্যারিয়ারসেরা ১৭ উইকেট নিয়েছিলেন হায়দরাবাদের জার্সিতে। বাংলাদেশের সবচেয়ে দামি খেলোয়াড় হিসেবে আগামী মার্চে আইপিএল খেলতে ভারত যাবেন মুস্তাফিজ। তাসকিনের বিশ্বাস, এভাবে চলতে থাকলে বাংলাদেশের বাকি খেলোয়াড়দেরও কদর বাড়তে থাকবে।

এ প্রসঙ্গে তাসকিন বলেন, ‘এটা তো দেখতেই পারছেন। ফিজ মাশাআল্লাহ বিশ্ব ক্রিকেটে পরীক্ষিত একজন খেলোয়াড়। ও যদি ৯ কোটির জায়গায় ১৮ কোটিও পেতো, এটাও অবাক হওয়ার কিছু হতো না। কারণ ও প্রাপ্য। ও (মুস্তাফিজ) আইপিএলেও অনেক ম্যাচ খেলেছে, ভালো করে দেখিয়েছে। আইএল টি-টোয়েন্টিতে তো দুর্দান্ত খেলেছে। এটা আসলে আমাকে অবাক করে না। আমি মনে করি ফিজ আরও বেশি ডিজার্ভ করে। আশা করছি এভাবে যদি হতে থাকে আমাদের সব খেলোয়াড়দেরই কদর বাড়বে, ইনশাআল্লাহ।’

একটা সময় সাকিব আল হাসানই শুধু আইপিএল, বিগ ব্যাশ, সিপিএলে খেলে বেড়াতেন। সবশেষ কয়েক বছরে বাংলাদেশ বেশ কয়েকজন ক্রিকেটার বিভিন্ন লিগে খেলেছেন। তাসকিন, মুস্তাফিজ, শরিফুল ইসলাম খেলেছেন লঙ্কা প্রিমিয়ার লিগের (এলপিএল) গত আসরে। পিএসএলে খেলতে দেখা গেছে নাহিদ রানা, মেহেদী হাসান মিরাজ, রিশাদ হোসেন ও সাকিবকে। চলমান আইএল টি-টোয়েন্টি মাতিয়েছেন মুস্তাফিজ, সাকিব ও তাসকিন।

অস্ট্রেলিয়াতে হওয়া বিগ ব্যাশে হোবার্ট হারিকেন্সের হয়ে বল হাতে আলো ছড়াচ্ছেন রিশাদ। সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের পেসারদের কদর বাড়তে শুরু করেছে। তাসকিন মনে করেন, এরকম ভালো লিগে খেলতে পারলে ভবিষ্যতে ক্রিকেটারদের উন্নতি হবে। ডানহাতি এই পেসার বলেন, ‘মাশা আল্লাহ, উন্নতিটা তো চোখে পড়ার মতো। সত্যি বলতে দেশের বাইরে গেলে কিন্তু একটা চাপ থাকে বিদেশি খেলোয়াড় হিসেবে। কারণ ওইখানে এমন না আপনি খারাপ করলেও আপনাকে খেলাবে। দুই-একটা ম্যাচ খারাপ হলেই হয়ত বসিয়ে দেয়।’

‘আমি যেই দলে গেছিলাম সেখানে ২৩টা খেলোয়াড়ের মধ্যে ১৭ জন বিদেশি খেলোয়াড়। কিন্তু ভালো লেগেছে আমি শেষের দিকে কিছু ম্যাচ খেলেছি। দুর্ভাগ্যক্রমে হয়ত আমাদের দলটা কোয়ালিফাই করেনি। বেশ কিছু ব্যাটার ছিল না, অধিনায়ক চোটে পড়েছিল, টিম ডেভিড চলে গেছিল। কিন্তু সব মিলিয়ে আমি মনে করি এরকম একটা লিগ আমরা খেলতে পারলে আমাদের আরও বেশি উন্নতি হবে।’

আরো পড়ুন: