১০৩ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরু থেকেই আগ্রাসী ভঙ্গিমায় খেলতে থাকে রংপুর রাইডার্স। প্রথম ছয় ওভারেই ৪০ রান তোলে দলটি। দুই ওপেনার ডেভিড মালান এবং লিটন দাস শুরু থেকেই নিয়ন্ত্রণ নিয়ে খেলতে থাকেন।
৮.২ ওভারে দলীয় পঞ্চাশ রান পূরণ করে রংপুর। মাহমুদুল হাসান জয়ের করা সেই ওভারে তিনটি ছক্কার সাহায্যে ২৪ রান নেয় রংপুরের দুই ওপেনার। মুকিদুল ইসলাম মুগ্ধর বলে সজোরে হাঁকাতে গিয়ে বৃত্তের মাঝেই ধরা পড়েন লিটন।
হাফ সেঞ্চুরি মিস হয় তার। ৩১ বলে ৪৭ রান করেন এই ওপেনার। ইনিংসে ছিল চারটি চার ও একটি ছক্কার মার। সেই ওভারে উইকেট বিসর্জন দিয়ে ফিরে আসেন তাওহীদ হৃদয়ও। মুগ্ধকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ডিপ মিড উইকেটে ধরা পড়েন তাওহীদ হৃদয়। ফেরার আগে করেন তিন বলে এক রান।
লিটন ফিরে গেলেও ৪৫ বলে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন মালান। দলকে জয়ের একদম কাছে রেখে ইংলিশ এই ওপেনার শেষ পর্যন্ত ৪৮ বলে ৫১ রান করে মাহমুদুল হাসান জয়ের বলে এক্সট্রা কাভারে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান। ১৫ ওভারে ম্যাচ শেষ করে রংপুর।
এর আগে চট্টগ্রাম রয়্যালসের হয়ে একাই লড়ে যান নাইম শেখ। তার সাতটি চার ও একটি ছক্কায় করা ২০ বলে ৩৯ রানের ঝড়ো ইনিংসের পর ব্যাটিং ধস নামে দলটির। চট্টগ্রামের হয়ে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২০ রান করেন আগের ম্যাচে হাফ সেঞ্চুরি করা মির্জা তাহির বেগ।
শেষদিকে ২১ বলে ১৩ রান করেন আবু হায়দার রনি। চট্টগ্রামের হয়ে ১৭ রান খরচায় পাঁচ উইকেট নেন ফাহিম আশরাফ। দুটি উইকেট নেন মুস্তাফিজুর রহমান। একটি করে উইকেট নেন নাহিদ রানা, আলিস আল ইসলাম এবং সুফিয়াম মুকিম।