উইকেটে অতিরিক্ত ঘাস ছিল। যা বোলারদের বাড়তি সুবিধা দিয়েছে। এর প্রভাব পড়েছে আর্থিকভাবেও। বাকি তিনদিনের টিকিট বিক্রি করতে না পেরে ১ কোটি ৬০ লাখ মার্কিন ডলার বা বাংলাদেশি মূদ্রায় প্রায় ৬০ কোটি টাকার বেশি ক্ষতি হয়েছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার। এবার এমসিজির উইকেটকে অসন্তোষজনক আখ্যা দিয়েছে আইসিসি।
আইসিসির ম্যাচ রেফারি জেফ ক্রো এই মূল্যায়ন দিয়েছেন। এর ফলে এমসিজির নামের পাশে একটি ডিমেরিট পয়েন্ট যুক্ত হয়েছে। ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার (সিএ) চিফ অব ক্রিকেট জেমস অলসপ এক বিবৃতিতে বলেন, 'তৃতীয় ও চতুর্থ দিনের টিকিটধারী দর্শকরা, একই সঙ্গে অস্ট্রেলিয়া ও বিশ্বের কোটি কোটি ক্রিকেটভক্ত যারা ম্যাচটি দেখার অপেক্ষায় ছিলেন—তাদের জন্য আমরা হতাশ। এই পিচ ব্যাট ও বলের মধ্যে এমসিজির যে ঐতিহ্যগত ভারসাম্য, তা ধরে রাখতে পারেনি।'
এমসিজির গ্রাউন্ড স্টাফদের কাজের প্রশংসাও করেন অলসপ। তিনি বলেন, 'গত কয়েক বছরে তারা ধারাবাহিকভাবে দারুণ টেস্ট পিচ তৈরি করেছে। আমরা আত্মবিশ্বাসী, আগামী বছর নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে বক্সিং ডে টেস্ট এবং ২০২৭ সালের মার্চে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে বহুল প্রতীক্ষিত ১৫০ বছর পূর্তি টেস্টের জন্য তারা আবারও উন্নতমানের পিচ উপহার দেবে।'
আইসিসির চার ধাপের পিচ-রেটিং ব্যবস্থায় ‘অসন্তোষজনক’ হলো তৃতীয় স্তর। এই ক্যাটাগরিতে সেই পিচগুলো পড়ে, যেখানে ব্যাট ও বলের মধ্যে সমান লড়াই হয় না। বরং অতিরিক্তভাবে বোলারদের পক্ষে চলে যায়। বোলাররাই সবচেয়ে বেশি সুবিধা পান। যেকোনোভাবে বেশি উইকেট নেয়ার সুযোগ তৈরি হয়।
এর আগের তিনটি বক্সিং ডে টেস্ট আয়োজন করে এমসিজি। তারা সর্বোচ্চ ‘ভেরি গুড’ রেটিং পেয়েছিল। চলতি অ্যাশেজে এটি ছিল দ্বিতীয় দুই দিনের টেস্ট। সিরিজের প্রথম তিন টেস্ট জিতে অস্ট্রেলিয়া এগিয়ে গেলেও, মেলবোর্ন টেস্ট জিতে হোয়াইটওয়াশের সম্ভাবনা এড়িয়ে গেছে ইংল্যান্ড। তবে এ নিয়ে বিতর্ক থেমে থাকেনি।