ছোটো লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই সাইফ হাসানকে হারিয়ে বড় ধাক্কা খায় ঢাকা। এরপর উসমান খান ও আব্দুল্লাহ আল মামুন মিলে ঢাকার ইনিংস টানেন। দুজনের ৩৭ রানের জুটিতে ঘুরে দাঁড়ানোর সুযোগ পায় দলটি।
উসমান অবশ্য ইনিংস বড় করতে পারেননি তিনি ১৫ বলে ১৮ রান করে ফিরে যান। আর অধিনায়ম মোহাম্মদ মিঠুনের ব্যাট থেকে আসে ১২ রান। এক প্রান্ত আগলে রাখা মামুন হাফ সেঞ্চুরি মিসের আক্ষেপে পুড়েছেন। তিনি ৪৫ রান করে ফিরেছেন।
নাসির হোসেন কিছুটা ধীর গতির ইনিংস খেললেও দলের জন্য তা ছিল বেশ গুরুত্বপূর্ণ। অভিজ্ঞ এই অলরাউন্ডারের ব্যাট থেকে আসে ১৯ রান। শেষ দিকে শামীম হোসেন পাটোয়ারি ও সাব্বির রহমান অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়ে ঢাকাকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন। সাব্বির ২ ছক্কায় ১০ বলে ২১ রানের ক্যামিও খেলেন। আর ১৩ বলে ১৭ রান নিয়ে শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন শামীম।
তাদের জুটি থেকে আসে ১৮ বলে ৩৬ রান। রাজশাহীর বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে সফল ছিলেন পাকিস্তানি স্পিনার মোহাম্মদ নাওয়াজ। তিনি ২১ রান দিয়ে নেন ৩ উইকেট। এর বাইরে একটি করে উইকেট শিকার করেছেন তানজিম সাকিব ও সন্দীপ লামিচানে।
এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামা রাজশাহীর শুরুটা ভালো হয়নি। ইনিংসের প্রথম বলেই সাহিবজাদা ফারহানকে হারায় তারা। শুরুর ধাক্কা সামলে উঠে জুটি গড়ার চেষ্টা করেন তানজিদ হাসান তামিম ও শান্ত। অফ স্পিনার নাসিরকে পেয়েই আক্রমণাত্বক হয়ে ওঠার চেষ্টা করেন তানজিদ। যদিও নিজের দ্বিতীয় ওভারে বাঁহাতি ওপেনারকে ফেরান নাসির। ডানহাতি অফ স্পিনারের বলে এক্সট্রা কভারে তানজিদ ক্যাচ দিয়েছেন ১৫ বলে ২০ রান করে।
ব্যাট হাতে জ্বলে উঠতে পারেননি ইয়াসির আলী রাব্বিও। রাজশাহীর যখন প্রয়োজন তখন ১৫ বলে ১৩ রান করে ইমাদের বলে পুল করতে গিয়ে শামীমের হাতে ক্যাচ দিয়েছেন তিনি। ভালো শুরু পেলেও ইমাদকে ডাউন দ্য উইকেটে এসে ছক্কা মারতে গিয়ে নিজের উইকেট নিয়েছেন শান্ত। প্রথম ম্যাচে সেঞ্চুরি করা রাজশাহীর অধিনায়কের ব্যাট থেকে এসেছে ২৮ বলে ৩৭ রান। দুইটি করে চার ও ছক্কা মেরেছেন তিনি।
সুযোগ পেলেও ব্যাটিংয়ে সেটা কাজে লাগাতে পারেননি মেহেরব। পেসার জিয়াউর রহমানের অফ স্টাম্পের বাইরের বলে এজ হয়ে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়েছেন। ভালো শুরু পেলেও ২৩ বলে ২৪ রানের বেশি করতে পারেননি মুশফিকুর রহিম। শেষের দিকে নাওয়াজের ২৬ বলে ২৬ রানের ইনিংসে ১৩২ রানের পুঁজি পায় রাজশাহী। ঢাকার হয়ে তিনটি উইকেট নিয়েছেন স্পিনার ইমাদ। নাসির পেয়েছেন দুইটি উইকেট।