এমন অবস্থাতেও নোয়াখালী এক্সপ্রেসের বিপক্ষে দাপুটে জয় পেয়েছে চট্টগ্রাম। অলরাউন্ড পারফরম্যান্সে দলের জয়ে বড় অবদান রাখেন শেখ মেহেদী। ম্যাচসেরা না হয়েও অধিনায়ক হিসেবে সংবাদ সম্মেলনে এলেন মেহেদী নিজেই। সংবাদ সম্মেলনের একেবারে শেষ প্রশ্নে চট্টগ্রামের অধিনায়কের কাছে জানতে চাওয়া হলো, কমিটির টিম, এটা শুনতে কেমন লাগে? প্রশ্নটা যে মজার ছলে সেটা বুঝতে একটু সময় নিলেন তিনি।
পরোক্ষণে হাসতে হাসতে শেখ মেহেদী বললেন, ‘দেখুন, কমিটির দল এটা তো আমরা এলাকাগত (ব্যাপার) জানি… এখানে কমিটির দল কীভাবে বলব (হাসি)… খেলা সরাসরি সম্প্রচার হচ্ছে, কমিটির দল থাকলেও লাভ নেই আসলে।’
টুর্নামেন্ট শুরুর একদিন আগে মালিকানা পরিবর্তন। প্রধান কোচ, টিম ডিরেক্টর কিংবা ম্যানেজার, সবকিছুতেই পরিবর্তন এসেছে। নতুন করে যোগ দেন প্রধান কোচ মিজানুর রহমান বাবুল, টিম ডিরেক্টর হাবিবুল বাশার সুমন। যদিও ক্রিকেটারদের নিয়ে সেভাবে কাজ করতে পারেননি তারা কেউই। এমন ঝড় তুফান পেরিয়ে নোয়াখালীকে ৬৫ রানে হারিয়েছে চট্টগ্রাম।
কঠিন পরিস্থিতির ব্যাখ্যায় মেহেদী বলেন, ‘পরিস্থিতি যেমনই হোক, খেলার ভেতর ঢুকলে তো সবটুকু প্রচেষ্টা থাকবে খেলা নিয়ে। এরকমই ছিল আমাদের। চেষ্টা ছিল, মাঠে ঢুকলে যেন আমরা সবাই যথাযথ তাড়না দেখাতে পারি। যতই ঝড়-তুফান যাক না কেন, খেলা তো মাঠের ভেতরে। আপনি যখন ২২ গজে ঢুকবেন, মানসিকতা তখন খেলার জন্যই থাকবে।
বিপিএল শুরুর আগেই এমন ঘটনা ঘটনায় বরং ইতিবাচক দিক দেখছেন মেহেদী। চট্টগ্রামের অধিনায়ক বলেন, ‘এটা একটু কঠিন ছিল, তবে যেটা বললাম, দিনশেষে ক্রিকেট খেলা। আমরা তাড়াতাড়ি মানিয়ে নিয়েছি, এটাই গুরুত্বপূর্ণ ছিল। ক্রিকেটার হিসেবে স্বস্তির একটা ব্যাপার থাকে। এটা খেলার ভেতরে (টুর্নামেন্ট চলার সময়) হতে পারত। খেলা শুরুর আগেই সমাধান হওয়ায় ক্রিকেটারদের জন্য ভালো হয়েছে।’
দেশের একমাত্র ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগের নিলামের আগেই সরাসরি চুক্তিতে চট্টগ্রামের হয়ে খেলতে রাজি হয়েছিলেন মেহেদী। দল নিয়ে প্রশ্ন ওঠার মাঝেই নিলামের দিন ফেসবুকে একটা স্ট্যাটাস দিয়েছিলেন তিনি। এ ছাড়া সবশেষ কয়েক দিনের অব্যবস্থাপনায় ক্রিকেটাররা যে একটু সংশয়ে ছিলেন সেটা অকপটে স্বীকার করলেন অফ স্পিন বোলিং অলরাউন্ডার নিজেই।
মেহেদী বলেন, ‘ব্যবস্থাপনা যদি ভালো না থাকে, ক্রিকেটাররা তো একটু… আমরা যেহেতু আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার, এই পরিবেশনটা তো… মূলত এরকম পরিবেশ কোনো ফ্র্যাঞ্চাইজিতে আমি পাইনি। আমার জন্য কঠিন ছিল।’