উইকেট থেকে বাড়তি সুবিধা নিতে টস জিতে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নিতে দেরি করেননি রাজশাহীর অধিনায়ক শান্ত। যদিও টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে সিলেটকে ভালো শুরু এনে দেন সাইম আইয়ুব ও রনি তালুকদার। তাদের দুজনের জুটি ভাঙতেই বড় ইনিংস খেলার আগেই ফেরেন হযরতউল্লাহ জাজাই। আক্রমণাত্বক ব্যাটিং করতে না পারা রনি আউট হয়েছেন ৪০ রানে।
বাকিটা সময় সিলেটকে পথ দেখান পারভেজ হোসেন ইমন ও আফিফ হোসেন ধ্রুব। তাদের দুজনের ব্যাটেই ১৯০ রানের পুঁজি পায় স্বাগতিকরা। ৫ ছক্কা ও চারটি চারে ৩৩ বলে ৬৫ রানের ইনিংস খেলে অপরাজিত ছিলেন পারভেজ ইমন। শেষ ওভারে রান আউট হওয়ার পর আগে আফিফ করেছেন ১৯ বলে ৩৩ রান। দুইশর কাছাকাছি লক্ষ্য তাড়ায় শুরুটা অবশ্য ভালো হয়নি রাজশাহীর।
তানজিদ হাসান তামিম ফেরেন দ্রুতই। পাওয়ার প্লেতেও প্রত্যাশিত রান তুলতে পারেনি ফ্র্যাঞ্চাইজিটি। একটু পর ১৯ বলে ২০ রান করা সাহিবজাদা ফারহানও ফেরেন। পরবর্তীতে দুর্দান্ত এক জুটি গড়ে তোলেন শান্ত ও মুশফিক। তাদের দুজনের অবিচ্ছিন্ন ১৩০ রানের জুটিতে ৮ উইকেটের জয় পায় রাজশাহী। ১০ চার ও ৫ ছক্কায় ৬০ বলে ১০১ রানের ইনিংস খেলে অপরাজিত ছিলেন শান্ত।
৩১ বলে হাফ সেঞ্চুরি পাওয়া মুশফিক অপরাজিত ছিলেন ৫১ রানে। এমন জয়ের পর সেঞ্চুরিয়ান শান্তকে এক লাখ টাকা বোনাস দিয়েছেন রাজশাহীর মালিকপক্ষ। পঞ্চাশ ছোঁয়া মুশফিক পেয়েছেন ৫০ হাজার টাকা। এ ছাড়া বাকি ক্রিকেটার, কোচিং স্টাফ ও সাপোর্ট স্টাফদের প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে বোনাস দিয়েছেন। রাজশাহীর পরের ম্যাচ ২৭ ডিসেম্বর দুপুুর একটায় ঢাকা ক্যাপিটালসের বিপক্ষে।