‘রিশাদ-ফিজদের বিদেশি লিগ খেলা বাংলাদেশ দলের ৫ শতাংশ হলেও উন্নতি করবে’

আইএল টি-টোয়েন্টি
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি
ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক
ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক
সংযুক্ত আরব আমিরাতে চলমান আইএল টি-টোয়েন্টিতে দুবাই ক্যাপিটালসের হয়ে খেলেছেন মুস্তাফিজুর রহমান। টুর্নামেন্টে শারজাহ ওয়ারিয়র্সের জার্সিতে তাসকিন আহমেদ ও এমআই এমিরেটসের হয়ে খেলেছেন সাকিব আল হাসান। একই সময়ে অস্ট্রেলিয়ার বিগ ব্যাশে রিশাদ হোসেন খেলছেন হোবার্ট হারিকেন্সের হয়ে। তাসকিন মনে করেন, এসব বড় লিগ খেলে তারা যা শেখার সুযোগ পাচ্ছেন সেসব ৫ শতাংশ হলেও বাংলাদেশের দলের উন্নতিতে প্রভাব ফেলবে।

২০২৪ সালে লঙ্কা প্রিমিয়ার লিগে (এলপিএল) খেলেছিলেন তাসকিন। চলতি বছর খেলেছেন আবুধাবি টি-টেন লিগেও। সবশেষ কয়েক বছরে নিয়মিত পারফর্ম করায় আইএল টি-টোয়েন্টিতেও সুযোগ মেলে ডানহাতি এই পেসারের। শুরুর দিকে সুযোগ না পেলেও শেষের সময়ে এসে ম্যাচ পেয়েছেন তিনি। শারজাহর জার্সিতে ৯ ম্যাচে ৮.৭৬ ইকনোমি রেটে নিয়েছেন ৯ উইকেট।

একই টুর্নামেন্টে বল হাতে রীতিমতো আলো ছড়িয়েছেন মুস্তাফিজ। দুবাইয়ের হয়ে ৮.০৮ ইকনোমি রেটে ৮ ম্যাচে নিয়েছেন ১৫ উইকেট। বল হাতে সময়টা ভালো যাচ্ছে সাকিবেরও। বিগ ব্যাশে লেগ স্পিনে সবাইকে মুগ্ধ করছেন রিশাদ। এখনো পর্যন্ত হোবার্টের হয়ে ৫ ম্যাচে ৮ উইকেট নিয়েছেন তিনি। নিজের পারফরম্যান্সে খুশি হওয়ার পাশাপাশি তাসকিন জানান, বিদেশি লিগে খেলার অভিজ্ঞতা বিশ্বকাপের প্রস্তুতির জন্য ভালো হচ্ছে।

তাসকিন বলেন, ‘ভালোর তো আসলে শেষ নাই। যা হয়েছে, আলহামদুলিল্লাহ। আমি প্রথমবারের মতো আইএল টি-টোয়েন্টি খেললাম। আমরা তিনজন বাংলাদেশি ছিলাম, রিশাদও বিগ ব্যাশ খেলছে। আমাদের জন্য ভালো একটা অভিজ্ঞতা হচ্ছে। ফিজ মাশা আল্লাহ অনেক ভালো করছে। আমি হয়ত মোটামুটি ভালো করেছি, রিশাদও ভালো করছে। ভবিষ্যতে আমাদের বিপিএল আছে, এটার পর বিশ্বকাপ খেলতে যাব—আমাদের জন্য ভালো একটা প্রস্তুতি হচ্ছে।’

বিদেশি লিগে নানান দেশের তারকা ক্রিকেটারদের সঙ্গে ড্রেসিংরুম শেয়ার করার সুযোগ মেলে তাসকিন-মুস্তাফিজদের। কন্ডিশন সম্পর্কে ধারণা পাওয়ার পাশাপাশি কঠিন চ্যালেঞ্জে নিজেকে সামলানোর উপায়ও রপ্ত করতে পারেন তারা। তাসকিন মনে করেন, মুস্তাফিজ, রিশাদ ও তিনি যা শিখেছেন সেসব বাংলাদেশ দলেও প্রভাব ফেলবে। ডানহাতি এই পেসার বলেন, ‘সত্যি বলতে এটা বড় একটা লিগ। দেখা গেছে প্রত্যেকটা দলের ব্যাটিং বিভাগ অনেক শক্তিশালী।’

‘দেখতাম একটার পর একটা ব্যাটার আসতেই আছে। সহজ ছিল না বোলার হিসেবে। চেষ্টা করেছি, যতটুকু হয়েছে এটা আমার ভবিষ্যতের জন্য আত্মবিশ্বাস বাড়াবে—যাতে আমি আরও ভালো করতে পারি। সংস্কৃতি অনুযায়ী, পেশাদারিত্বের দিক থেকে সবকিছু অনেক সুন্দর ছিল। জিনিসগুলো থেকে যতটুকুই শিক্ষা গ্রহণ করেছি, ফিজ যা শিখেছে, আমিও যা শিখলাম, রিশাদ যা শিখল— এটা ভবিষ্যতে আমাদের বাংলাদেশ দলেও প্রভাব ফেলবে। ৫ শতাংশ হলেও উন্নতি হবে এটা থেকে।’

বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের বিদেশি লিগে সুযোগ না পাওয়ার সবচেয়ে বড় কারণ ছিল পুরো টুর্নামেন্টের জন্য এনওসি না পাওয়া। তবে সবশেষ কয়েক মাসে ক্রিকেটারদের লিগ খেলতে ছেড়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। মুস্তাফিজ, তাসকিন আইএল টি-টোয়েন্টি খেলে এলেন, রিশাদ বিপিএলে ছেড়ে খেলছেন বিগ ব্যাশে। আইপিএলেও ৯০ শতাংশ সময়ের জন্য এনওসি পাচ্ছেন মুস্তাফিজ। বিদেশি লিগ খেলার জন্য ক্রিকেটারদের এনওসি দেয়াকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন তাসকিন। বিসিবিকে তাই ধন্যবাদও দিয়েছেন ডানহাতি এই পেসার।

তাসকিন বলেন, ‘এনওসি পেয়ে খুবই ভালো লাগছে। সত্যি বলতে ভিন্ন ভিন্ন কালচারের খেলোয়াড়দের সাথে ড্রেসিংরুম শেয়ার করা, অনেক কিছু শেখার আছে ওইখানে। এ ছাড়া ভিন্ন কোচিং প্যানেল থাকে এবং সবাই সবার অভিজ্ঞতাটা শেয়ার করে। যেটা নিজের ক্রিকেটে উন্নতি করতে অনেক সহায়তা করবে। বোর্ডকে ধন্যবাদ যে তারা এনওসি দেয়া শুরু করেছে এবং ভবিষ্যতে আমাদের খেলোয়াড়দের জন্য একটা ইতিবাচক দিক হবে আশা করছি।’

আরো পড়ুন: