ইনিংসের প্রথম ওভারেই তাসকিনের হাতে বল তুলে দেন সিকান্দার রাজা। বল হাতে নিয়েই অধিনায়কের আস্থার প্রতিদান দিয়েছেন বাংলাদেশের তারকা পেসার। প্রথম তিন বলে ডট দিয়ে শুরু করেন তিনি। তাসকিনের অফ স্টাম্পের বাইরের বলে পয়েন্ট দিয়ে খেলার চেষ্টায় ইন সাইড এজে চার মারেন ফিল সল্ট। যদিও ওভারের শেষ বলে ইংল্যান্ডের ওপেনারকে ফিরিয়ে প্রতিশোধ নেন তিনি।
তাসকিনের বলে বড় শট খেলতে চেয়েছিলেন সল্ট। তবে ব্যাটে-বলে ঠিকঠাক টাইমিং না হওয়ায় আদিল রশিদের দুর্দান্ত ক্যাচে ফিরতে হয় ডানহাতি ওপেনারকে। সেই ওভারে ৪ রান দিয়ে এক উইকেট নেন তাসকিন। তৃতীয় ওভারে আবারও বোলিংয়ে আসনে তিনি। প্রথম বলেই ডানহাতি পেসারকে কভার দিয়ে চার মেরে আমন্ত্রণ জানান অ্যালেক্স হেলস।
পরের বলেই অবশ্য ইংল্যান্ডের সাবেক ওপেনারের উইকেট নিয়েছেন ঢাকা এক্সপ্রেস। তাসকিনের লেংথ ডেলিভারিতে সোজা ব্যাটে খেলার চেষ্টায় কভারে ইথান ডি’সুজাকে ক্যাচ দিয়েছেন তিনি। হেলসকে ফেরানোর ওভারে তাসকিনের খরচ ৪ রান। তবে নিজের তৃতীয় ওভারে দুই চারে ৮ রান দিয়েছেন তাসকিন।
পাওয়ার প্লেতে ৩ ওভারে ১৬ রান খরচা করে তাসকিন নিয়েছেন দুই উইকেট। কোটার শেষ ওভার করানোর জন্য ইনিংসের ১৯তম ওভারে বোলিংয়ে নিয়ে আসেন রাজা। সেই ওভারের প্রথম বলেই এক্সট্রা কভারের উপর দিয়ে ছক্কা মারেন আন্দ্রে রাসেল। তবে দ্বিতীয় বলে দারুণ এক ইয়র্কারে ডট আদায় করে নেন ডানহাতি এই পেসার। তৃতীয় বলে স্লোয়ার দিলেও ছক্কা মারেন রাসেল।
প্রথম তিন বলে ১২ রান দিয়ে চাপে পড়েন তাসকিন। চতুর্থ বলে অবশ্য সিঙ্গেল নিয়েছেন রাসেল। পঞ্চম বলে ছক্কা মারেন জেসন হোল্ডার। শেষ বলেও ছক্কা মারেন ডানহাতি এই ব্যাটার। চার ছক্কায় সেই ওভারে ২৫ রান দিয়েছেন তাসকিন। ভালো শুরু করলেও শেষটা ভালো করতে পারেননি বাংলাদেশের এই পেসার।