পুরো দিন বল হাতে ছন্দের ঝলক দেখিয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। মাঝে মাঝে ভুল শটে উইকেট বিলিয়ে দিয়েছে নিউজিল্যান্ড ব্যাটাররাও। তবে বোলারদের ঢিলেঢালা কিছু ডেলিভারি কাজে লাগিয়ে কনওয়ে ও হে প্রয়োজনীয় রান তুলতে সক্ষম হন এবং ইনিংসকে এগিয়ে নেন।
কনওয়ের ৬০ রান ইনিংসের ভিত্তি গড়ে দেয়। এদিকে অভিষেক ম্যাচে দারুণ ব্যাটিংয়ে ৬১ রানের ইনিংস খেলেন হে। তাদের জুটির ওপর ভর করেই ইনজুরিতে ছিটকে যাওয়া ব্লেয়ার টিকনারকে নামানো ছাড়াই ৯ উইকেটে ২৭৮ রানে ইনিংস ঘোষণা করে নিউজিল্যান্ড।
নতুন বল হাতে কেমার রোচ, জেইডেন সিলস, ওজে শিল্ডস ও অ্যান্ডারসন ফিলিপ দারুণ ধারাবাহিক ছিলেন। সুইং ও মুভমেন্টে ব্যাটারদের সমস্যায় ফেললেও কনওয়ে খোলা বলগুলো কাজে লাগিয়ে আটটি চারে রান তোলেন। অন্যদিকে টম লাথাম (১১) ও কেন উইলিয়ামসনের (৩৭) অফ স্টাম্প উড়িয়ে দেন রোচ ও ফিলিপ।
লাঞ্চের পর রোচের বলেই ফেরেন পাঁচ রান করা রাচিন রবীন্দ্র। এরপর কনওয়ে দুর্বল ডেলিভারিতে লেগচ সাইডে ক্যাচ দিয়ে আউট হলে ১১৭ রান তুলতেই চার উইকেট হারায় কিউইরা।
পঞ্চম উইকেটে ড্যারিল মিচেল (২৫) ও হে'র ৭৩ রানের জুটি ইনিংসকে স্থির করে। মিচেল ফেরার কিছুক্ষণ পর ফিরে যান হে। ও শিল্ডসের বাউন্সারে পুল করতে গিয়ে রোচের হাতে ধরা পড়েন। ছয় উইকেটে ২১৩ রান থেকে এরপর গ্লেন ফিলিপস (১৮) ও লোয়ার অর্ডার লিড বাড়ানোর চেষ্টা করে।
ফিলিপসকে শর্ট বল দিয়ে চাপে রাখে ওয়েস্ট ইন্ডিজ, পরে রস্টন চেজ স্পিনে এসে তাকে ডিপ মিডউইকেটে ক্যাচ তুলতে বাধ্য করেন। এরপর জ্যাক ফোকস ধৈর্য ধরে ৪৩ বল খেলে অপরাজিত ২৩ রান করেন। জ্যাকব ডাফি ও মাইকেল রে'ও শেষদিকে কিছু রান এনে দেন।
দিনের শেষ সেশনটা অবশ্য নিজেদের করে নেয় নিউজিল্যান্ডের বোলাররা। ১৪ রান করা জন ক্যাম্পবেলের অফ স্টাম্প উড়িয়ে দেন রে। পরের ওভারে নাইটওয়াচম্যান ফিলিপকে এলবিডব্লিউ করেন ডাফি।
২৫ রানে দুই উইকেট হারিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ চাপে পড়ে যায়। শেষ পর্যন্ত ব্র্যান্ডন কিং (১৫*) ও কাভেম হজ (৩*) দিনটি আর কোনো বিপদ ছাড়াই শেষ করেন।