রানার হ্যাটট্রিক ছাপিয়ে নাটকীয় ম্যাচ জিতল সিলেট

বিপিএল
সিলেট টাইটান্স, বিসিবি
সিলেট টাইটান্স, বিসিবি
ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক
ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক
ঘরের মাঠে ম্যাচে রাজশাহী ওয়ারিয়র্সের বিপক্ষে হেরে বিপিএল শুরু করেছিল সিলেট টাইটান্স। হাফ সেঞ্চুরি করে সিলেটের ১৯০ রানের পুঁজি নিশ্চিত করেও জয় দেখতে পারেননি পারভেজ হোসেন ইমন। দ্বিতীয় ম্যাচে ৪১ বলে ৬০ রান করেন ইমন। এরপর নিজের শেষ ওভারে হ্যাটট্রিক করে নোয়াখালীকে ম্যাচে ফেরান মেহেদী হাসান রানা। এই পেসার ৩৪ রানে ৪ উইকেট নেন। তাতেও রক্ষা হয়নি নোয়াখালীর। সিলেট শেষ বলে নাটকীয় ম্যাচ জিতে নেয়।

নোয়াখালীর দেয়া ১৪৪ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ৩৪ রানে ৩ উইকেট হারায় সিলেট। শূন্য রানে ফেরেন ওপেনার সাইম আইয়ুব। ১৩ রানে ফেরেন জাকির হাসান। আরেক ওপেনার রনি তালুকদার আউট হন ৯ রান করে। দুই ওপেনারকেই আউট করেন হাসান মাহমুদ। আর বাকি এক উইকেট নেন মেহেদী হাসান রানা।

৩ উইকেট হারানোর পর সিলেটের হাল ধরেন অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ ও উইকেটরক্ষক ব্যাটার পারভেজ হোসেন ইমন। দুজনে গড়ে ফেলেন পঞ্চাশ রানের জুটিও। আর তাতেই ম্যাচে ফিরে সিলেট। এরপর মিরাজকে নিয়ে মাত্র ৩৬ বলে ইমন তুলে নেন হাফ সেঞ্চুরি।

অবশ্য দলকে জিতিয়ে ফিরতে পারেননি ইমন। ব্যক্তিগত ৬০ রানে তিনি জহির খানের বলে বোল্ড হয়ে যান। আর তাতেই মিরাজের সঙ্গে তার জুটি ভাঙে ৮৩ রানে। এরপর ব্যাটিংয়ে নামা আফিফ হোসেন ধ্রুবও বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। তাকে আউট করেছেন রেজাউর রহমান রাজা। এই পেসারের বলে শর্ট ফাইন লেগে দারুণ ক্যাচ নিয়েছেন হাসান।

একপ্রান্ত আগলে রাখা মিরাজও ফিরে যান শেষদিকে। তিনি ৩৭ বলে ৩৩ রান করে আউট সাইড এজ হয়ে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়েছেন রানার বলে। মিরাজকে আউট করার পরের বলে রানা এলবিডব্লিউ করে আউট করেন নাসুম আহমেদকে। এরপর হ্যাটট্রিক বলে খালেদ আহমেদকে আউট করেছেন।

ফলে বিপিএলে প্রথম হ্যাটট্রিকের দেখা পান এই পেসার। খালেদ লং অনে ইহসানউল্লাহকে ক্যাচ দিয়ে রানার হ্যাটট্রিক শিকার হয়েছেন। এরপর আর ম্যাচ জিততে পারেনি সিলেট। শেষদিকে ১৩ বলে ১৬ রান করে সিলেটের জয়ের আশা দেখাচ্ছিলেন ইথান ব্রুক। তবে রান নিতে গিয়ে উইকেটের মাঝে পড়ে গিয়ে রান আউট হন তিনি।

এক বলে এক রানের সমীকরণের সামনে দাঁড়ায় সিলেট। সেই সময় ওয়াইড করে বসেন সাব্বির হোসেন। ফলে ম্যাচ টাই হয়ে যায়। শেষ বলে এক রান নিয়ে সিলেটকে ম্যাচ জেতান সালমান ইরশাদ। রানার ৪ উইকেট ছাড়াও দুটি উইকেট নেন হাসান। পাশাপাশি একটি করে উইকেট নেন রাজা ও জহির।

এর আগে সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নামে নোয়াখালী। শুরুটা একেবারেই ভালো হয়নি দলটির। তারা ৯ রানেই হারিয়ে ফেলে ৩ উইকেট। ইনিংসের প্রথম বলেই ফেরেন মাজ সাদাকাত। এরপর দ্বিতীয় ওভারে এসে নোয়াখালীর জোড়া উইকেট নেন খালেদ আহমেদ। একে একে ফেরান হাবিবুর রহমান সোহান ও হায়দার আলীকে।

এরপর অধিনায়ক সৈকত আলী ও মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন মিলে দলের হাল ধরেন। তারা যোগ করেন ৩২ রান। সৈকত আউট হন ২৪ রান করে। এরপর সাব্বির হোসেনকে নিয়ে অঙ্কন আরও যোগ করেন ২৯ রান। সাব্বির ১৫ বলে ১৫ রান করে ফিরলে অঙ্কন আবার জুটি বাধেন জাকের আলীর সঙ্গে।

তাকে নিয়ে ৬৬ রানের জুটি গড়ে নোয়াখালীকে লড়াইয়ের পুঁজি এনে দেন অঙ্কন। জাকের দারুণ এক ক্যামিও খেলে আউট হন ১৭ বলে ২৯ রান করে। অন্যদিকে অঙ্কন অপরাজিত থাকেন ৫১ বলে ৬১ রান করে। তার ইনিংস জুড়ে ছিল ৩টি ছক্কা ও একটি চারের মার। অন্যদিকে সিলেটের হয়ে একাই ৪ উইকেট নেন খালেদ। দুটি উইকেট নেন সাইম ও একটি উইকেট পান মোহাম্মদ আমির।

আরো পড়ুন: