৪৬২ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে শেষ দিনের শুরুটা ভালোই করেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। দুই ওপেনার জন ক্যাম্পবেল ও ব্রেন্ডন কিং দলকে এগিয়ে নিচ্ছিলেন। তবে ৮৭ রানে উদ্বোধনী জুটি ভাঙার পর দ্রুতই ছন্দ হারায় তারা। জ্যাকব ডাফির বলে গালিতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ৯৬ বলে ৬৭ রান করা ব্র্যান্ডন কিং।
এর পরের ওভারেই ইজাজ প্যাটেলের বলে ১০৫ বলে ১৬ রান করা ক্যাম্পবেল আউট হন। মিড অন থেকে গ্লেন ফিলিপসের দারুণ ক্যাচে থামে তার ইনিংস। একই স্পেলে কাভেম হজকেও শুন্য রানে ফেরান প্যাটেল।
ডাফি পরপর অ্যালিক অ্যাথানেজ (২) ও জাস্টিন গ্রিভসকে (০) আউট করলে স্কোর দাঁড়ায় পাঁচ উইকেটে ৯৮। চা বিরতির আগে মাত্র এক রান যোগ করতে পারে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
চা বিরতির পর ম্যাচ বাঁচানোর লক্ষ্যেই খেলতে থাকে ক্যারিবীয়রা। দ্বিতীয় সেশনে ৩২ ওভারে তারা তোলে মাত্র ৩৯ রান, হারায় ৩ উইকেট। তবে প্রয়োজনীয় সময় টেনে নেয়ার মতো শক্ত ভিত তখন আর গড়ে ওঠেনি।
শেষ সেশনে আবারও আঘাত হানে নিউজিল্যান্ডের বোলিং আক্রমণ। জ্যাকব ডাফি রস্টন চেজ ও জেইডেন সিলসকে ফিরিয়ে ম্যাচের সমাপ্তি টানেন। দ্বিতীয় ইনিংসে ওয়েস্ট ইন্ডিজ গুটিয়ে যায় ১৩৮ রানে।
এই জয়ে তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজ ২-০ ব্যবধানে নিজেদের করে নেয় নিউজিল্যান্ড। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে এটি তাদের টানা পঞ্চম টেস্ট সিরিজ জয়। রানের ব্যবধানে এটি ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে নিউজিল্যান্ডের সবচেয়ে বড় টেস্ট জয়। আগের রেকর্ড ছিল ২০১৭ সালে হ্যামিল্টনে ২৪০ রানের জয়।
ম্যাচে জ্যাকব ডাফি ছিলেন সবচেয়ে কার্যকরী বোলার। ম্যাচে ৯ উইকেট নেয়ার পাশাপাশি সিরিজে মোট ২৩ উইকেট নিয়ে তিনি হন সিরিজসেরা। ম্যাচসেরার পুরস্কার জেতেন ডেভন কনওয়ে। টেস্ট সিরিজের আগে নিউজিল্যান্ড পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ ৩-১ ও তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ ৩-০ ব্যবধানে জিতেছিল।