দুই বছর পর টেস্টে ফেরা টিকনার এ দিন ছিলেন নিউজিল্যান্ডের সেরা পারফর্মার। ৩২ রানে চার উইকেট নিয়ে তিনি ক্যারিবিয়ানদের ব্যাটিং লাইনআপ ভাঙতে মূল ভূমিকা রাখেন। তাকে দারুণ সঙ্গ দেন অভিষেক টেস্ট খেলতে নামা ৩০ বছর বয়সী মাইকেল রে। ৬৭ রানে তিন উইকেট নেন তিনি।
প্রথম ঘণ্টায় উইন্ডিজ ওপেনার জন ক্যাম্পবেল ও ব্র্যান্ডন কিংয়ের ৬৬ রানের জুটিতে স্বস্তিতে থাকলেও পরের ঘণ্টায় ম্যাচের রূপ পাল্টে যেতে থাকে। প্রথম টেস্ট থেকে অতিরিক্ত কাজের চাপে থাকা জ্যাক ফক্স ও জেকব ডাফি শুরুতে উইকেট না পেলেও টিকনার ও রে এসে ধারাবাহিকভাবে স্টাম্পে আক্রমণ করেন।
এর ফলেই ক্যারিবয়ানদের ইনিংসে দ্রুত ভাঙন ধরে। টিকনার প্রথমে কিংকে (৩৩) এলবিডব্লিউ করেন, এরপর কাভেম হজকে শূন্য রানে ফেরান। লাঞ্চের আগে এই আঘাতেই উইন্ডিজ চাপে পড়ে।
লাঞ্চের পর রে আঘাত হানেন। ৪৪ রান করা ক্যাম্পবেলকে স্লিপে ক্যাচ করিয়ে তিনি প্রথম সফলতা পান। এরপর উইন্ডিজকে সামলে তোলার চেষ্টা করেন শাই হোপ ও রস্টন চেজ। দুজনের ৬০ রানের জুটি কিছুটা স্থিরতা আনলেও হোপকে বারবার শর্ট বলে বিপদে ফেলেন টিকনার ও রে।
৪৮ রানে পৌঁছানো হোপ শেষ পর্যন্ত টিকনারের বাউন্সারে উইলিয়ামসনের হাতে ক্যাচ দেন। ২৯ রান করা চেজও বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি; টিকনারের ভেতরে ঢোকা বলে বোল্ড হন তিনি। এরপর জাস্টিন গ্রিভস (১৩) সেট হওয়ার চেষ্টা হলেও রে তাকে স্লিপে ক্যাচ করান।
কেমার রোচকে শুন্য রানে রে এলবিডব্লিউ করলে ১৮৪ রানে উইন্ডিজের সপ্তম উইকেট পড়ে। এই সময়েই ঘটে দিনের সবচেয়ে অস্বস্তিকর ঘটনা। বাউন্ডারি বাঁচাতে ছুটে গিয়ে ডাইভ দেওয়ার পরই মারাত্মকভাবে আঘাত পান টিকনার। মাঠে লম্বা সময় চিকিৎসার পর তাকে স্ট্রেচারে করে বের করে নেয়া হয়।
পর অ্যাম্বুলেন্সে করে তাকে হাসপাতালে পাঠানো হয়। ধারণা করা হচ্ছে, তার বাম কাঁধ সরে গেছে। শেষদিকে গ্লেন ফিলিপস টেভিন ইমলাচকে (১৬) বোল্ড করেন, অ্যান্ডারসন ফিলিপ (৫) রানে আউট হন, আর জেকব ডাফি ওজে শিল্ডসকে আউট করে ইনিংস শেষ করেন। শেষ সাত উইকেটে মাত্র ৫২ রান যোগ করতে পারে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
দিনের খেলা শেষ হওয়ার আগে নিউজিল্যান্ডের দুই ওপেনার টম লাথাম (৭*) ও ডেভন কনওয়ে (১৬*) মিলে ২৪ রান তুলে দিন শেষ করেন। কিছু দুশ্চিন্তার মুহূর্ত থাকলেও তারা আর উইকেট হারাননি। প্রথম দিনের খেলা শেষে নিউজিল্যান্ড এখনো ১৮১ রানে পিছিয়ে আছে।