আবারও ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজ দিয়ে মাঠে ফিরছেন লিটন। সিরিজ শুরুর আগে তিনি জানিয়েছেন তার দল যেন আসন্ন দুটি সিরিজে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ে সেটাই চাওয়া তার। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজের পর আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ঘরের মাঠে সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ। এই ছয় ম্যাচে বাংলাদেশ যত পিছিয়ে থাকবে ততই ভালো হবে বলে বিশ্বাস লিটনের।
তিনি সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, ‘সত্যি কথা বলতে, আমি দুইটা সিরিজে চাই, যেন আমাদের খেলোয়াড়রা চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ে। সেটা ব্যাটিংয়ে হতে পারে, বোলিংয়ে হতে পারে। আমি মনে করি, এই ছয়টা ম্যাচে আমরা যতটা পিছিয়ে থাকব, ততটাই ভালো। ব্যাকফুটে থাকব, এর অর্থ… চ্যালেঞ্জের কথা বলছি। এই না যে, আমরা ম্যাচে পিছিয়ে থাকব। আমি চাই, বোলাররা যখন বল করবে তখন যেন চাপ থাকে। যে জিনিসগুলো ভবিষ্যৎ মানে সামনে যেহেতু বিশ্বকাপ, সেখানে আমাকে সাহায্য করবে।’
আগামী বছর শ্রীলঙ্কা ও ভারতে অনুষ্ঠিত হবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। এর আগে নিজেদের সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নেয়ার চেষ্টা করছে বাংলাদেশ দল। সীমিত ওভারের এই বিশ্বকাপে বাংলাদেশের রেকর্ড খুব বেশি ভালো নয়। সর্বশেষ বিশ্বকাপে বাংলাদেশ জিতেছিল শ্রীলঙ্কা, নেদারল্যান্ডস ও নেপালের বিপক্ষে। সেবার সাউথ আফ্রিকার বিপক্ষে চার রানে হারের ক্ষত রয়ে গেছে।
বিশ্বকাপের প্রস্তুতি নিয়ে লিটন বলেছেন, ‘পার্থক্য তেমনটা কিছু না। এখন আমরা চেষ্টা করছি ভালো উইকেটে খেলার জন্য। আপনি যখনই ভালো উইকেটে খেলবেন। ব্যাটারদের সফল হওয়ার সুযোগটা বেশি থাকবে। দলে যতগুলো ক্রিকেটার আছে ছয় থেকে সাত পর্যন্ত যত ব্যাটার আছে তাদের মধ্যে আমার ছয়ের সংখ্যা কম। দলের এখন বেশির ভাগ ক্রিকেটারই বড় বড় ছয় মারতে পারেন। এটা বাংলাদেশ দলের জন্য ইতিবাচক দিক। কিন্তু একই সঙ্গে ক্রিকেট শুধু ছয়ের ওপর দিয়ে গেলে হবে না। যদি প্রয়োজন হয় ছক্কা মারবে। অন্যথায় প্রয়োজন পড়লে এক দু্ই রানের দিকেও যেতে হবে।’
বাংলাদেশ দল সঠিক পথেই আছে জানিয়ে লিটন বলেন, ‘সংস্করণ ভেদে না ক্রিকেটারের মানসিকতা বলেন বা আগ্রাসনটা একটু পরিবর্তন হয়ে যায়। উইকেট ভেদেও হয়, সংস্করণ ভেদেও হয়। তাই আমার মনে হয়, যেহেতু এই সংস্করণটা খেলোয়াড়রা জানে, অনেকদিন ধরে খেলছে এবং বেশিরভাগ খেলোয়াড় সফল হয়েছে। তো তারা জানে যে কোন ঘরানার ক্রিকেট খেললে এখানে সফল হওয়া যাবে।’