ভূমিকম্পে ভয় পেয়েছিলেন তাইজুলরা, আতঙ্কিত ছিল আয়ারল্যান্ডও

বাংলাদেশ
ভূমিকম্পে ভয় পেয়েছিল তাইজুলরা, আতঙ্কিত ছিল আয়ারল্যান্ডও
মুশফিকুর রহিম ও তাইজুল ইসলাম, ক্রিকফ্রেঞ্জি
Author photo
ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক
· ১ মিনিট পড়া
শুক্রবার সকালে অনেকেই হয়তো ঘুম ঘুম চোখে বাংলাদেশ এবং আয়ারল্যান্ডের মধ্যকার দ্বিতীয় টেস্টে চোখ রেখেছিলেন। অনেকে আড়মোড় ভাঙার আগেই ভূমিকম্প সবার হৃদয় কাঁপিয়ে দেয়। রিখটার স্কেলে যা ৫ দশমিক ৭ মাত্রার ভূমিকম্প। বাংলাদেশ দল তখন ফিল্ডিংয়ে। ভূমিকম্প টের পেয়ে বাংলাদেশ দলের খেলাও মিনিট তিনেকের জন্য থমকে যায়।

শততম টেস্ট খেলতে থাকা মুশফিকুর রহিমকে মাঠ থেকেই ফোন করার ভঙ্গিতে কাউকে যেন বলছিলেন তার পরিবারের খোঁজ নিতে। বিসিবিও টেস্টে ব্যস্ত থাকা ক্রিকেটারদের পরিবারের খোঁজ নিয়েছে দায়িত্ব নিয়ে। ম্যাচ শেষে তাইজুল ইসলাম জানিয়েছেন মিডিয়া বক্সের চিৎকার শুনেই তারা ভূমিকম্পের কথা বুঝতে পারেন।

এরপর তারাও শারীরিক ভাবে ঝাঁকি টের পেয়েছেন। এরপর সবাই অস্থির হয়ে পড়েছিলেন। আয়ারল্যান্ড ইনিংসের ৫৬তম ওভারে তৃতীয় ডেলিভারিটি করত যখন প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন মেহেদী হাসান মিরাজ, ঠিক সেই মুহূর্তে হঠাৎ কেঁপে ওঠে পুরো স্টেডিয়াম। এরপর মিডিয়া কর্মীরা প্রেসবক্স ছেড়ে নিচে নেমে আসেন।

এরপর ডাগ আউটে থাকা ক্রিকেটার ও সাপোর্ট স্টাফরাও উঠে দাঁড়ান। এর রেশ ছিল আয়ারল্যান্ড শিবিরেও। সেই সময়ের অনুভূতির কথা জানিয়ে তাইজুল বলেন, 'আসলে প্রথমে বুঝিনি (ভূমিকম্প)। কিন্তু একটা সময় সম্ভবত মিডিয়া বক্স যে জায়গা থেকে, সেদিক থেকে একটা আওয়াজ আসছিল। ওই… একটা শব্দ এসেছে। তারপরে শারীরিকভাবেও অনুভব করেছি। ওই সময়ে একটা আতঙ্ক কাজ করছিল।’

আয়ারল্যান্ড দলও আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিল বলে জানিয়েছেন দলটির প্রধান কোচ হেনরিখ মালান। অনেক ক্রিকেটারেরই এবার প্রথমবারের মতো ভূমিকম্পের অভিজ্ঞতা হয়েছে। তবে মালান চিন্তিত ছিলেন যেখানে আঘাত করেছে এর কারণে কোনো ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে কিনা সেসব নিয়ে।

তিনি বলেন, 'আমি ব্যাক্তিগতভাবে কিছু ভূমিকম্পের ঘটনার স্বাক্ষী হয়েছি। নিউজিল্যান্ডে কিছুদিন থেকেছি আমি। এটা কখনওই ভালো অনুভূতি নয়। এখানেও তা-ই। ওই সময়ে বোঝার চেষ্টা করছিলাম কী হচ্ছে। পাশাপাশি বৃহত্তর ছবিটাও মনে ভাসছিল যে, কোথায় ভূমিকম্পটা আঘাত করল, সেটার ক্ষতি যেন খুব বেশি না হয়, এই আশা করছিলাম। কয়েক মিনিটের জন্য যেন সব থমকে গিয়েছিল। তারপর আবার আমরা খেলায় ফিরেছি। এখন ভাবনা একটাই, যেন কোথাও বড় ধরনের ক্ষতি না হয়ে থাকে।'

আরো পড়ুন: বাংলাদেশ