পার্থে এদিন ওপেনিংয়ে নামতে পারেননি উসমান খাওয়াজা। মাঠের বাইরে বেশিক্ষণ সময় বাইরে থাকায় নিয়ম অনুযায়ী ওপেনিংয়ে নামতে পারেননি তিনি। এদিন মার্নাস ল্যাবুশেনের সঙ্গে ওপেনিং করতে নামেন অভিষিক্ত জেইক ওয়েদারাল্ড। অবশ্য এই জুটিকে থিতু হতে দেননি আর্চার। ইংল্যান্ডের মতো তারাও প্রথম ওভারে উইকেট হারিয়েছে। শুরুতেই শূন্য রানে এলবিডব্লিউ হয়ে যান ওয়েদারাল্ড। এরপর ল্যাবুশেনকেও আউট করেন আর্চার। ৯ রান করা এই ব্যাটারকে বোল্ড করেন এই ইংলিশ পেসার। এরপর ২ রান করা খাওয়াজা ও ১৭ রান করা স্টিভ স্মিককে আউট করেন টানা দুই উইকেট নেন কার্স।
বাকি সময়টা ছিল স্টোকসময়। ইংলিশ অধিনায়ক এরপর টানা ৫ উইকেট নিয়েছেন। অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটারদের কাউকে দাঁড়াতেই দেননি তিনি। ট্রাভিস হেডকে দিয়ে শুরু। এরপর একেএকে স্টোকস উইকেট নেন ক্যামেরন গ্রিন, মিচেল স্টার্ক, অ্যালেক্স ক্যারি ও স্কট বোল্যান্ডের। এরপর ৯ উইকেটে ১২৩ রান নিয়ে প্রথম দিনের খেলা শেষ করে অজিরা। তারা এখনও ইংল্যান্ডের চেয়ে পিছিয়ে আছে ৪৯ রানে। ফলে অল্প রানে অল আউট হওয়ার পর উল্টো লিড নেয়ার পথ অনেকটাই সুগম করে নিয়েছে ইংল্যান্ড।
অ্যাশেজ শুরুর আগে ইনজুরির ধাক্কায় বিধ্বস্ত ছিল অস্ট্রেলিয়া। প্যাট কামিন্স, জশ হ্যাজেলউডদের ছাড়াই সিরিজের প্রথম টেস্টে মাঠে নামতে হবে তাদের সেটা আগেই জানা গিয়েছিল। অস্ট্রেলিয়ার একমাত্র ভরসা হয়ে ছিলেন মিচেল স্টার্ক। তার পেসের সামনেই প্রথম টেস্টে মুখ থুবড়ে পড়েছে ইংল্যান্ড। নিজেদের প্রথম ইনিংসে ১৭২ রানেই অল আউট হয়ে গেছে তারা। তাও আবার মাত্র ৩২.৫ ওভারের মধ্যে।
এর মধ্যে স্টার্কই নিয়েছেন ৭ উইকেট। এর চেয়ে কম ওভার ইংল্যান্ড কোনো ইনিংসে খেলেছে একবারই সেটাও ১৮৮৭ সালে। এবার নতুন এক অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হলো ইংল্যান্ড। সফরকারীদের শুরু থেকেই চেয়ে ধরেছিলেন স্টার্ক। ইংলিশদের প্রথম ৩ উইকেটই নিয়েছেন এই অজি পেসার। প্রথম ওভারেই তিনি ফেরান জ্যাক ক্রলিকে। ইংলিশ এই ওপেনার রানের দেখাই পাননি তিনি। এরপর স্টার্ক আউট করেছেন আরেক ওপেনার বেন ডাকেটকেও।
ইংল্যান্ডের সফলতম ব্যাটার জো রুটকেও ফিরিয়েছেন স্টার্ক। রুটকে আউট করে অ্যাশেজের ১০০ উইকেটের ক্লাবে জায়গা করে নিয়েছেন এই অজি তারকা। ইংল্যান্ডের হয়ে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৪৬ রান করা অলি পোপকে এলবিডব্লিউ করে ফিরিয়েছেন ক্যামেরন গ্রিন। খানিক বাদে ইংলিশ অধিনায়ক স্টোকসকে বোল্ড করে ফিরিয়েছেন স্টার্ক।
ইংল্যান্ডের কিছুটা হাল ধরেছিলেন হ্যারি ব্রুক ও জেমি স্মিথ। এই জুটি ভাঙেন বেন ডগেট। তিনি ৫২ রান করা ব্রুকিকে আউট করেন। এরপর অস্ট্রেলিয়ার বাকি বোলারদের আর কোনো কষ্ট করতে দেননি। গাস অ্যাটকিনসন, মার্ক উড ও জেমি স্মিথকে আউট করে ইংল্যান্ডের ইনিংস গুঁড়িয়ে দেন স্টার্ক। ৫৮ রানে ৭ উইকেট নিয়ে ক্যারিয়ারসেরা বোলিংয়ের রেকর্ড গড়েন তিনি।