বিগ ব্যাশের সবশেষ সপ্তাহে ডান হাতের বুড়ো আঙুলে চোট পেয়েছিলেন মাথু কুনেমান। অস্ত্রোপচার শেষে সপ্তাহখানেকের মাঝে ব্যথামুক্ত বোলিংয়ে ফিরেছেন বাঁহাতি এই স্পিনার। ফলে শ্রীলঙ্কা সফরে যেতে আর কোন বাঁধা থাকছে না কুনেমানের। এক বিবৃতিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া (সিএ)।
অস্ট্রেলিয়ার বিশ্বকাপ জয়ী অধিনায়ক মাইকেল ক্লার্ক। ব্যাট হাতে দারুণ সব কৃতি ও স্মরণীয় সব পারফরম্যান্সের পাশাপাশি বল হাতেও অবদান রেখে অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটে কিংবদন্তী হিসেবে নাম খোঁদাই করেছেন তিনি। এবার তারই স্বীকৃতি পেলেন তিনি।
বোর্ডার-গাভাস্কার সিরিজের চতুর্থ টেস্ট দিয়ে সাদা পোশাকের ক্রিকেটে অভিষেক হয়েছে স্যাম কনস্টাসের। নিজের অভিষেক ইনিংসেই পেয়েছেন হাফ সেঞ্চুরির দেখা। দুই টেস্টে তার ব্যাট থেকে এসেছে মোটে ১১৩ রান। পারফরম্যান্স আহামরি না হলেও তার ব্যাটিংয়ের ধরন ও বিরাট কোহলি-জসপ্রিত বুমরাহদের সঙ্গে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে আলোচনায় এসেছেন অস্ট্রেলিয়ার এই ক্রিকেটার।
নেপালের মতো অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষেও ব্যাট হাতে রানের দেখা পেলেন না বাংলাদেশের টপ অর্ডার ব্যাটাররা। শেষের দিকে আফিয়া আশিমা ইরার ব্যাটে লড়াইয়েও পুঁজি পায় টাইগ্রেসরা। তবে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে মাত্র ৯১ রানের পুঁজি নিয়ে জিততে চাওয়া প্রায় অসম্ভব ব্যাপারই। তবে জান্নাতুল মাওয়া, হাবিবা ইসলাম পিংকিরা হাল ছাড়লেন না।
অস্ট্রেলিয়ার আসন্ন শ্রীলঙ্কা সফর সূচিতে কিছুটা পরিবর্তন এসেছে। আগে প্রকাশিত সেই সূচিতে দুটি টেস্টের সাথে কেবল একটি ওয়ানডে ম্যাচ খেলার কথা ছিল দুই দলের। এবার সেখানে একটি ওয়ানডে বাড়ানো হয়েছে।
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির স্কোয়াড ঘোষণা করেছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া (সিএ)। ইনজুরি থাকা সত্ত্বেও এই স্কোয়াডে জায়গা করে নিয়েছেন প্যাট কামিন্স ও জশ হ্যাজেলউড। অস্ট্রেলিয়ার ১৫ সদস্যের স্কোয়াডে ডাক পাওয়া ক্রিকেটারদের মধ্যে প্রথমবার কোনো আইসিসি টুর্নামেন্ট খেলবেন ম্যাট শর্ট এবং অ্যারন হার্ডি।
পুরো সিরিজে রান না পাওয়ায় সিডনি টেস্টের একাদশ থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছিলেন রোহিত শর্মা। এমন সিদ্ধান্তের পর ভারতের অধিনায়ক নিজেই জানিয়েছেন, এখানেই শেষ নয়। তবে বেশিরভাগ সমর্থক কিংবা ক্রিকেট বিশ্লেষকদের ধারণা জাতীয় দলে শেষ দেখে ফেলেছেন রোহিত। অ্যাডাম গিলক্রিস্টও মনে করছেন তেমনই। অস্ট্রেলিয়ার সাবেক উইকেটকিপার ব্যাটার তাই ইংল্যান্ড সফরে দেখছেন না রোহিতকে।
বল হাতে নিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন সৌম্য সরকার! তাঁর ঠিক পাশেই গল্প করছেন এনামুল হক বিজয় ও উইলিয়াম বসিস্তো। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) সুবাদে আইসিসির ক্যামেরায় বন্দী করা এমন ছবি হয়ত ইতোমধ্যে আপনি বেশ ক’বার দেখে ফেলেছেন। ছবির পেছনের গল্পটা একটু বলে নেয়া যাক। ২০১২ যুব বিশ্বকাপের প্রথম কোয়ার্টার ফাইনালের ঘটনা! বাংলাদেশের ১৭১ রানের জবাবে তখন ব্যাটিং করছিলেন বসিস্তো ও পিয়ারসন।
বোর্ডার-গাভাস্কার সিরিজেই টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালের টিকিট পেয়ে গেছে অস্ট্রেলিয়া। এরপরেও পূর্বঘোষিত দুই টেস্টের সিরিজ খেলতে চলতি মাসের শেষে শ্রীলঙ্কা যাবে অস্ট্রেলিয়া। এই সিরিজের জন্য ১৬ সদস্যের স্কোয়াড ঘোষণা করেছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া (সিএ)। উপমহাদেশে টেস্ট খেলতে স্কোয়াডে পার্টটাইম স্পিনারসহ সাত স্পিনার রেখেছে দলটি।
বোর্ডার-গাভাস্কার সিরিজের শেষ ম্যাচে অসাধারণ বোলিং করে র্যাঙ্কিংয়ে সুখবর পেলেন স্কট বোল্যান্ড। প্রথমবারের মতো আইসিসি টেস্ট বোলিং র্যাঙ্কিংয়ের সেরা দশে জায়গা পেলেন অস্ট্রেলিয়ান পেসার। ব্যাটে-বলে আলো ছড়িয়ে আইসিসি র্যাঙ্কিংয়ে আরও উন্নতি হয়েছে কাগিসো রাবাদা, প্যাট কামিন্স, বাবর আজম, টেম্বা বাভুমাদের।
সিডনি টেস্টের প্রথম দিনের শেষ বিকেলের ঘটনা, ২.৪ ওভারে অস্ট্রেলিয়ার রান তখন বিনা উইকেটে ৯। পরের বলটি করার জন্য বোলিং মার্কে পৌঁছে প্রস্তুতি নিয়েছিলেন জসপ্রিত বুমরাহ। দৌড়ও শুরু করেছিলেন ভারতের এই পেসার। তবে স্ট্রাইক প্রান্তে থাকা উসমান খাওয়াজা তখনও ব্যাটিংয়ের জন্য প্রস্তুত নন। দুই হাত প্রসারিত করে হতাশা প্রকাশ করলেন বুমরাহ। তাড়াহুড়ো করে আবারও বোলিংয়ের জন্য দৌড় দেয়ার প্রচেষ্টা চালালেন। খাওয়াজা তখন গার্ডই নেননি।
বাংলাদেশের একমাত্র ক্রিকেটার হিসেবে বিগ ব্যাশ খেলার অভিজ্ঞতা আছে সাকিব আল হাসানের। মেলবোর্ন রেনেগেডস ও অ্যাডিলেড স্ট্রাইকার্সের হয়ে অস্ট্রেলিয়ার টুর্নামেন্টে খেলেছেন বদলি হিসেবে। ফলে দেশের প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে বিগ ব্যাশের ড্রাফট থেকে দল পেয়েছিলেন রিশাদ হোসেন। তরুণ এই লেগ স্পিনারকে দলে নিয়েছিল হোবার্ট হারিকেন্স। দল পেলেও খেলতে পারবেন কিনা সেই শঙ্কা ছিল তখন থেকেই।