চ্যাম্পিয়ন্স লিগের আগে বিপিএলের গত আসরে রংপুর রাইডার্সের হয়ে টানা ম্যাচ খেলছিলেন নাহিদ। একের পর এক বিরামহীন ম্যাচ খেলায় একটা সময় ডানহাতি পেসারের বোলিংয়ের ধারও কমে আসছিল। টুর্নামেন্টের বেশিরভাগ সময় জুড়েই নাহিদের ফিটনেস ও বিশ্রাম নিয়ে আলোচনা হয়েছে। যদিও রংপুরের এই পেসার সেই সময় জানিয়েছিলেন বিশ্রাম লাগলে তিনিই বলবেন।
২৬ ডিসেম্বর থেকে শুরু হতে যাওয়া বিপিএলেও স্বাভাবিকভাবে নাহিদ, তাসকিন আহমেদ, মুস্তাফিজুর রহমান, শরিফুল ইসলাম ও তানজিম হাসান সাকিবদের ওয়ার্কলোড নিয়ে ভাবনায় থাকবে বাংলাদেশের টিম ম্যানেজমেন্ট। বিশ্বকাপের আগে কোনো ক্রিকেটার যাতে চোটে না পড়ে সেই ভাবনায় অটল বিসিবিও। জিপিএসের মাধ্যমে ক্রিকেটারদের মনিটর করবে বিসিবির মেডিকেল বিভাগ।
কোন ক্রিকেটার যদি রেড জোনে চলে আসেন তখন তাকে বিশ্রাম দেয়া নিয়ে আলোচনা হবে ফ্র্যাঞ্চাইজিদের সঙ্গে। ওয়ার্কলোড ম্যানেজমেন্টের বার্তা নিয়ে নাহিদ বলেন, ‘হ্যাঁ, তারা (বিসিবি) বলেছে এবং পরিকল্পনা দিয়েছে যে আমরা কীভাবে কাজ করব কিংবা কোন প্রক্রিয়ায় এগোব। তারা ইতোমধ্যে আমাদের জানিয়েছে।’
বিপিএলে সব ম্যাচ খেলতে পারবেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আসলে আগের বছরও কোন বাধা ছিল না। শুধু বিসিবি বলেছিল তোমার শরীর কী বলে সেটা অনুযায়ী খেলো। এ বছরও কোন বাধা নেই। তারা বলেছে তুমি তোমার শরীরটা বুঝো, তুমি তোমার নিজের সামর্থ্য বুঝো এবং ওই অনুযায়ী খেলো। নিজে ফিট থেকে খেলো এবং নিজে নিজের যত্ন নাও। এসবই বলেছে।’
ব্যাটারদের তুলনায় পেসারদের পরিশ্রমটা একটু বেশি। স্বাভাবিকভাবে তাদের ওয়ার্কলোড ম্যানেজমেন্টেও বিশেষভাবে নজর দেয় মেডিকেল বিভাগ। সাম্প্রতিক সময়ে তাসকিন যেমন তিন ম্যাচের সিরিজ হলে সেখানে শুধু দুইটা ম্যাচ খেলেন। ঘুরিয়ে ফিরিয়ে খেলানো হয় মুস্তাফিজ, শরিফুল কিংবা তানজিম সাকিবদের। বয়সে তরুণ এবং গতিময় বোলার হওয়ায় নাহিদের শরীর সেই ধকল নিতে পারবে কিনা সেটা নিয়েও অনেকে সংশয় প্রকাশ করেন।
যদিও নাহিদ জানালেন, তাঁর শরীর সেটা মানিয়ে নিয়েছে। ডানহাতি এই পেসার বলেন, ‘হ্যাঁ, অবশ্যই। দেখুন, গত দুই বছর ধরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট চলছে। আমার মনে হয় না একজন পেশাদার খেলোয়াড়ের শরীর মানিয়ে নেয়ার জন্য এত সময় লাগা দরকার। অনেক আগেই আমার সামর্থ্যটা হয়েছে, শরীর পারমিট করতেছে।’