দিনের মূল আকর্ষণ ছিলেন সেঞ্চুরিয়ান কাভেম হজ। ৯৭ রানে খেলতে গিয়ে শরীরে আঘাত পেলেও হাল ছাড়েননি তিনি। শেষ পর্যন্ত স্কয়ার লেগের দিকে পুল করে নিজের টেস্ট ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় শতরান পূর্ণ করেন তিনি। পাশাপাশি দিনের খেলা শেষ করেন ১০৯ রানে অপরাজিত থেকে।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের ইনিংসে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে দু’জন ব্যাটারের অবস্থান নিয়ে। শাই হোপ অসুস্থতার কারণে হোটেলেই ছিলেন এবং আদৌ তিনি ব্যাটিং করতে পারবেন কি না তা স্পষ্ট নয়। অন্য দিকে, প্রথম দিন চোট পাওয়া কেমার রোচের খেলা নিয়েও সংশয় রয়েছে।
নিউজিল্যান্ড শেষ সেশনে কিছুটা ঘুরে দাঁড়ানোর ইঙ্গিত দেয়। দীর্ঘ সময় ধরে উইকেট না পেলেও ড্যারিল মিচেল ও ইজাজ প্যাটেলের টানা সাফল্যে ম্যাচে ফেরার সুযোগ তৈরি হয়। ৪৩ রান করা জাস্টিন গ্রিভসকে এলবিডব্লিউ করেন মিচেল, আর তার পরপরই দুই রানে থাকা রস্টন চেজকে এলবিডব্লিউ করেন ইজাজ।
এর আগে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্যাটাররা একের পর এক জুটি গড়ে চাপ কমিয়েছে। টপ অর্ডারের ব্যাটাররা সময় নিয়ে খেলেছেন এবং নিউজিল্যান্ডের বোলারদের ধৈর্য পরীক্ষা করেছেন। তবে হঠাৎ করেই দুটি উইকেট পড়ে যাওয়ায় ইনিংসের গতি কিছুটা থেমে যায়।
হজের সঙ্গে ভালো সঙ্গত দেন টেভিন ইমলাখ ও অ্যালিক আথানেজ। ইমলাখ ২৭ রানে আউট হন। আথানেজ সাবলীল ব্যাটিং করে ইজাজের বলে বোল্ড হওয়ার আগে ৪৫ রান করেন।
নিউজিল্যান্ডের বোলিংয়ে জ্যাকব ডাফি ছিলেন সবচেয়ে ধারাবাহিক। ৭৯ রান খরচায় দুই উইকেট নেন তিনি। ইজাজ ঘরের মাঠে দীর্ঘদিন পর টেস্ট খেলে বাতাসের সাহায্য নিয়ে কার্যকর বোলিং করেন। তিনিও নেন দুই উইকেট।