এনজেডসির প্রকাশিত বিবৃতিতে উইনিঙ্ক নিজেই স্বীকার করেছেন সেই ভিন্নমতের কথা। তিনি বলেন, ‘ভেবেচিন্তে বুঝতে পেরেছি, নিউ জিল্যান্ড ক্রিকেটের ভবিষ্যৎ অগ্রাধিকার, দীর্ঘমেয়াদি দিকনির্দেশনা এবং টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের ভূমিকা নিয়ে আমার দৃষ্টিভঙ্গি কয়েকটি সদস্য সংস্থা ও অংশীজনদের থেকে আলাদা।’
এই মতানৈক্যই শেষ পর্যন্ত তাকে কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য করেছে। উইনিঙ্ক জানিয়েছেন এই পরিস্থিতিতে নিউজিল্যান্ডের ক্রিকেটের স্বার্থেই নতুন নেতৃত্বের হাতে দায়িত্ব তুলে দেওয়া সবচেয়ে যুক্তিসংগত পথ। এর আগে ২০২৩ সালের আগস্টে নিউজিল্যান্ড ক্রিকেটের প্রধান নির্বাহীর দায়িত্ব নিয়েছিলেন স্কট উইনিঙ্ক।
দায়িত্ব নেয়ার দুই বছরের মাথায়ই তার বিদায়ের ঘোষণা এলো। যা দেশটির ক্রিকেট প্রশাসনে বড় ধরনের অস্থিরতার ইঙ্গিত দিচ্ছে। মূল সংকটের কেন্দ্রে ঘরোয়া ক্রিকেটের ভবিষ্যৎ কাঠামো। অভিযোগ আছে, ব্যক্তিমালিকানাধীন নতুন ফ্র্যাঞ্চাইজি টি-টোয়েন্টি লিগ চালুর প্রস্তাবকে সামনে এগোতে দিতে চাননি উইনিঙ্ক।
অথচ ২০২৭ সালের জানুয়ারিতে শুরু হওয়ার কথা রয়েছে ছয় দলের নতুন টুর্নামেন্ট। এই লিগ চালু হলে বর্তমানে দেশের একমাত্র ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি প্রতিযোগিতা সুপার স্ম্যাশের জায়গা নেবে সেটিই। নিউজিল্যান্ডের ছয়টি বড় সংস্থা এবং পেশাদার ক্রিকেটারদের স্বাধীন সংগঠন নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট প্লেয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন (এনজেডসিপিএ) নতুন ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে।
বিপরীতে উইনিঙ্কের ভাবনায় ছিল ভিন্ন পথ—অস্ট্রেলিয়ার বিগ ব্যাশ লিগে কিউই দল পাঠানোর প্রস্তাব দিয়েছিলেন তিনি। এই দুই দৃষ্টিভঙ্গির সংঘাতই শেষ পর্যন্ত নিউজিল্যান্ড ক্রিকেটের প্রধান নির্বাহীর চেয়ার থেকে স্কট উইনিঙ্কের বিদায়ের কারণ হয়ে দাঁড়াল।