মাউন্ট মঙ্গানুইয়ের বে ওভালে এক উইকেটে ৩৩৪ রান নিয়ে ব্যাটিংয়ে নেমে দ্বিতীয় দিনের সকালের শুরুতেই উইকেট হারায় নিউজিল্যান্ড। প্রথম দিনের শেষ বিকেলে নাইটওয়াচম্যান হিসেবে ব্যাটিংয়ে নামা জ্যাকব ডাফিকে ফেরান জেইডেন সিলস। ডানহাতি পেসারের অফ স্টাম্পের বাইরের বলে এজ হয়ে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়েছেন ১৭ রানে। পরবর্তীতে কেন উইলিয়ামসনের সঙ্গে ৬৯ রানের জুটি গড়ে তোলেন কনওয়ে।
জুটি গড়ার মাঝেই সিলসের অফ স্টাম্পের বাইরের বলে পয়েন্ট দিয়ে চার মেরে ডাবল সেঞ্চুরি করেছেন বাঁহাতি এই ওপেনার। ২০২১ সালে টেস্ট অভিষেকেও ডাবল সেঞ্চুরি পেয়েছিলেন তিনি। একটু পর উইলিয়ামসনকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন গ্রিভস। ডানহাতি পেসারের বলে ড্রাইভ করতে চেয়েছিলেন উইলিয়ামসন। তবে ব্যাটের কানায় লেগে বল চলে যায় উইকেটকিপারের গ্লাভসে। ৬০ বলে ৩১ রান করে ফেরেন ডানহাতি এই ব্যাটার।
ডাবল সেঞ্চুরির পর বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি কনওয়ে। প্রায় সাড়ে ৮ ঘণ্টা ব্যাটিং করে ৩১ চারে ৩৬৭ বলে ২২৭ রান করে বাঁহাতি ব্যাটার আউট হয়েছেন গ্রিভসের বলে লেগ বিফোর উইকেট হয়ে। দ্রুতই ফিরে গেছেন ড্যারিল মিচেলও। ৩০ বলে ১১ রান করে রস্টন চেজের বলে আউট হয়েছেন। ব্যাট হাতে জ্বলে উঠতে পারেননি টম ব্লান্ডেলও। ৪৬১ রানে ৬ উইকেট হারানোর পর নিউজিল্যান্ডকে এগিয়ে নেয়ার চেষ্টা করেন রাচিন রবীন্দ্র ও গ্লেন ফিলিপস।
৯২ বলে হাফ সেঞ্চুরি করেন রাচিন। দলের রান পাঁচশ ছাড়িয়ে যাওয়ার পর ২৯ রানে আউট হয়েছেন ফিলিপস। এজাজ প্যাটেলকে সঙ্গে নিয়ে কিউইদের পুঁজি ৮ উইকেটে ৫৭৫ রানে নিয়ে গেছেন। ৬ চার ও ২ ছক্কায় ১০৬ বলে ৭২ রান করে অপরাজিত ছিলেন রাচিন। ৩০ বলে ৩০ রান করে অপরাজিত ছিলেন এজাজ। ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে দুইটি করে উইকেট নিয়েছেন গ্রিভস, সিলস ও অ্যান্ডারসন ফিলিপ।
নিউজিল্যান্ডের রান পাহাড়ের জবাব দিতে নেমে ভালো শুরু পেয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। শুরু থেকেই দ্রুত রান তুলতে থাকেন দুই ক্যারিবীয় ওপেনার ক্যাম্পবেল ও কিং। তাদের দুজনের ব্যাটেই বিনা উইকেটে ১১০ রান তুলে দিনের খেলা শেষ করেছে সফরকারীরা। ৬৩ বলে হাফ সেঞ্চুরি করা কিং অপরাজিত আছেন ৫৫ রানে। আরেক ওপেনার ক্যাম্পবেল ৬০ বলে ৪৫ রান নিয়ে ব্যাটিংয়ে নামবেন।