বিপিএল শুরুর দিন পাঁচেক আগেই রংপুর রাইডার্সের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন আর্থার। সোমবার রংপুর প্রস্তুতি ম্যাচ খেলেছে রাজশাহী ওয়ারিয়র্সের বিপক্ষে। ফল বোঝাই যাচ্ছে আসর শুরুর আগেই তারা নিজেদের প্রস্তুতির ঘাটতি রাখছে না ফ্র্যাঞ্চাইজিটি। এবার নিজেদের পারফরম্যান্সের উন্নতি করতে টিম ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে আলোচনা করবেন বলে জানিয়েছেন আর্থার।
তিনি বলেন, 'আপনি সব সময়ই চাইবেন প্রথম থেকে প্রতিটি ম্যাচে জয় পেতে। গত বছর আমরা প্রথম আটটি ম্যাচে অপরাজিত ছিলাম, কিন্তু এরপর আর কোনো ম্যাচে জিততে পারিনি। আমরা যেন খাদের কিনারায় পড়ে গিয়েছিলাম। আমরা অবশ্যই এ বছর এমন কিছু চাই না। ম্যানেজমেন্ট হিসেবে আমরা বসে আলোচনা করব যে গতবার কেন এমনটা হয়েছিল এবং এবার যেন তার পুনরাবৃত্তি না হয়।'
রংপুর রাইডার্সের সঙ্গে লম্বা সময় ধরেই কাজ করছেন আর্থার। দলটির হয়ে গ্লোবাল সুপার লিগের শিরোপা জয়ের স্বাদ পেয়েছেন তিনি। আর্থারও জানিয়েছেন ফ্র্যাঞ্চাইজিটি তার হৃদয়ের খুব কাছের। বিশেষ করে ম্যানেজমেন্টের অনেক প্রশংসা করেছেন তিনি। দলটির অংশ হতে পেরে নিজেকে গর্বিত মনে করছেন আর্থার।
তিনি বলেন, 'আমি এই ফ্র্যাঞ্চাইজিকে খুব পছন্দ করি। এটি একটি চমৎকার ফ্র্যাঞ্চাইজি। এখানকার মানুষগুলো অসাধারণ এবং মালিকপক্ষ থেকে শুরু করে ম্যানেজমেন্ট—সবার সাথে কাজ করা সব সময়ই আনন্দের। এটি খুব সুন্দরভাবে পরিচালিত এবং সুসংগঠিত। এর অংশ হতে পেরে আমি গর্বিত।'
রংপুরে দেশি ক্রিকেটারদের মধ্যে আছেন নুরুল হাসান সোহান ও মুস্তাফিজুর রহমানের মতো তারকা। নিলাম থেকে তারা দলে ভিড়িয়েছেন লিটন দাস, তাওহীদ হৃদয় ও নাহিদ রানার মতো ক্রিকেটারদের। বিদেশিদের মধ্যে ডেভিড মালান, কাইল মেয়ার্স, ফাহিম আশরাফের মতো আন্তর্জাতিক তারকা। তাদের সামলানো নিশ্চিতভাবেই বড় চ্যালেঞ্জ হবে আর্থারের। তবে রংপুরের কোচ মনে করেন এটা নিয়ে ভাবার কোনো কারণ নেই। সবাই চাইবে রংপুরের হয়ে ভালো খেলতে।
তিনি নিজের ভাবনা জানিয়ে বলেছেন, 'আশা করি কাউকে খুব একটা বাদ দিতে হবে না কারণ তারা পারফর্ম করবে। এটি কেবল খেলোয়াড়দের সামলানোর ব্যাপার। এতে কোনো সমস্যা নেই; সবাই দারুণ মানুষ এবং দুর্দান্ত খেলোয়াড়। আমি বিশ্বাস করি তারা সবাই এখানে একটি সাধারণ উদ্দেশ্য নিয়ে এসেছে—রংপুরের হয়ে ভালো খেলা। এটাই আমার কাছে প্রধান বিষয়।'