অবসরে শেন ওয়ার্নের ‘আইপিএল প্রজেক্ট’ গৌতম

আইপিএল
শেন ওয়ার্নের সঙ্গে কৃষ্ণাপ্পা গৌতম ও জয়দেব উনাদকাট
শেন ওয়ার্নের সঙ্গে কৃষ্ণাপ্পা গৌতম ও জয়দেব উনাদকাট
ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক
ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক
ভারতীয় অলরাউন্ডার কৃষ্ণাপ্পা গৌতম সবধরনের ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন। সোমবার বেঙ্গালুরুর এম চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই সিদ্ধান্তের কথা জানান। ৩৭ বছর বয়সী গৌতম প্রায় ১৪ বছরের দীর্ঘ ঘরোয়া ক্যারিয়ারের ইতি টানলেন।

কর্নাটকের হয়ে সব সংস্করণ মিলিয়ে তিনি শিকার করেছেন ৩৯৪ উইকেট। সেই সঙ্গে ব্যাট হাতে করেছেন ২ হাজার ৭৮৩ রান। রঞ্জি ট্রফিতে তার ব্যাট থেকে এসেছে একটি সেঞ্চুরি ও পাঁচটি হাফ সেঞ্চুরিও। তার ক্যারিয়ারের সবচেয়ে আলোকিত মুহূর্ত আসে ২০১৮-১৯ মৌসুমে। কর্নাটকের সৈয়দ মুশতাক আলি ট্রফি জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন তিনি।

২০২১ সালে শ্রীলঙ্কা সফরে করোনাভাইরাসের আঘাতে ভারতীয় দলের বড় একটি অংশ ছিটকে পড়লে ভাগ্য খুলে যায় গৌতমের। শুরুতে নেট বোলার হিসেবে দলে ডাক পেলেও শেষ পর্যন্ত ভারতের হয়ে ওয়ানডে ক্যাপ পরার সুযোগ পান তিনি। একমাত্র ওয়ানডে ম্যাচে তার বোলিং পরিসংখ্যান ছিল ৪৯ রানে ১ উইকেট।

হরভজন সিংয়ের বোলিং অ্যাকশনের সঙ্গে মিল থাকার কারণে ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে গৌতমের ডাকনাম হয়ে ওঠে ‘ভাজ্জি’। আইপিএলে তার পথচলাও ছিল সংক্ষিপ্ত কিন্তু স্মরণীয়। ২০১৮ সালে রাজস্থান রয়্যালসের হয়ে খেলার সময় প্রয়াত শেন ওয়ার্ন তাকে আখ্যা দিয়েছিলেন নিজের ‘আইপিএল প্রজেক্ট’ হিসেবে।

যা গৌতমের ক্যারিয়ারের এক বিশেষ স্বীকৃতি হয়ে আছে। আইপিএলে তিনি রাজস্থান রয়্যালস, পাঞ্জাব কিংস, মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স, লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টস ও চেন্নাই সুপার কিংসের হয়ে খেলেছেন। আইপিএল ক্যারিয়ারে গৌতম নিয়েছেন ২১ উইকেট, ইকোনমি রেট ছিল ৮.২৪।

২০২৩ সালের ডিসেম্বরে কর্নাটকের হয়ে শেষবার প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটে মাঠে নামেন গৌতম। এরপর রাজ্যের দলে সিনিয়র খেলোয়াড়দের বিদায়ের যে পরিবর্তনের ধারা শুরু হয়, তার মধ্যেই পড়েন তিনি। রাজ্য বদলের প্রস্তাব থাকলেও শুরুতে সে পথে হাঁটেননি তিনি।

সাদা বলের ক্রিকেটে টিকে থাকার আশায় তিনি কর্নাটকের ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট—মহারাজা টি-টোয়েন্টিতে খেলতে থাকেন। তবে নির্বাচকদের ভাবনায় নিজের কোনো আশা দেখতে না পেরে অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। ২০২৫ মৌসুমে তিনি মাইসুরু ওয়ারিয়র্স দলের মেন্টর ও খেলোয়াড়—দুই ভূমিকাতেই যুক্ত ছিলেন। পাশাপাশি গত দুই বছরে তিনি নিয়মিতভাবে স্থানীয় ভাষার ক্রিকেট ধারাভাষ্যেও নিজের জায়গা করে নিয়েছেন।

আরো পড়ুন: