জয়ের জন্য ১৫৭ রানের লক্ষ্য তাড়ায় শুরু থেকেই দেখেশুনে ব্যাটিং করতে থাকেন সেদিকউল্লাহ অটল ও জাহাঙ্গীর। ইনিংসের পঞ্চম ওভারে তাদের দুজনের ৩৪ রানের জুটি ভাঙেন আজমতউল্লাহ ওমরজাই। ডানহাতি পেসারের ব্যাক অব লেংথ ডেলিভারিতে ব্যাকফুটে গিয়ে পাঞ্চ করার চেষ্টায় কাইল মেয়ার্সের হাতে ক্যাচ দিয়েছেন। ১০ বলে ৯ রান করেছেন বাঁহাতি এই ওপেনার।
একই ওভারে আউট হয়েছেন জর্ডান কক্সও। ভালো শুরু পেলেও ইনিংস বড় করতে পারেননি লিউস ডি পলি। ১৫ বলে ২২ রান করে আউট হয়েছেন ফ্রেড ক্লাসেনের বলে। সাবধানী ব্যাটিংয়ে হাফ সেঞ্চুরির কাছে গেলেও ৪৪ বলে ৪৮ রান করে ফিরতে হয় জাহাঙ্গীরকে। পরবর্তীতে পাওয়েল ৪৭ ও নবি ২৫ রানে অপরাজিত থেকে দুবাইয়ের জয় নিশ্চিত করেছেন। গালফের হয়ে দুইটি উইকেট পেয়েছেন ওমরজাই।
এর আগে গালফের বিপক্ষে শুরুটা ভালো হয়নি মুস্তাফিজের। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে একটি করে ছক্কা ও চারে ১৩ রান খরচা করেন বাঁহাতি এই পেসার। দ্বিতীয় স্পেলে ১৪তম ওভারে আবারও বোলিংয়ে আনা হয় তাকে। বোলিংয়ে এসেই প্রথম বলে চার হজম করেন। তবে দ্বিতীয় বলেই উইকেটের দেখা পেয়েছেন মুস্তাফিজ। বাঁহাতি পেসারের অফ স্টাম্পের বাইরের লেংথ ডেলিভারিতে অন সাইডে খেলার চেষ্টায় উইকেটকিপার শায়ানকে ক্যাচ দিয়েছেন ৩৬ রান করা জেমস ভিন্স।
দুবাইয়ের বিপক্ষে ব্যাট হাতে তাণ্ডব চালাচ্ছিলেন ওমরজাই। চতুর্থ বলে আফগানিস্তানের অলরাউন্ডারকেও ফেরান মুস্তাফিজ। বাঁহাতি পেসারের কাটারে বোকা বনে গিয়ে বোল্ড হয়েছেন ২৬ বলে ৪৩ রানের ইনিংস খেলে। ওভারের পঞ্চম বলে বাংলাদেশের তারকা পেসারের শিকার শেন ডিকসন। হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনা জাগলেও সেটা হতে দেননি মার্ক অ্যাডায়ার। নিজের দ্বিতীয় ওভারে ৬ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিয়েছেন মুস্তাফিজ। ইনিংসের শেষ ওভারে আবারও বোলিংয়ে আনা হয় তাকে।
সেই ওভারে রান আউট হয়েছেন আয়ান খান, হায়দার রাজ্জাক এবং অ্যাডায়ার। সব মিলিয়ে ৩.৫ ওভারে ৩৪ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিয়েছেন মুস্তাফিজ। বাংলাদেশের পেসারের এমন বোলিংয়ের দিনে মাত্র ১৫৬ রানে অল আউট হয়েছে গালফ। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৪৩ রান করেছেন ওমরজাই। এ ছাড়া ভিন্স ৩৬, রহমানউল্লাহ গুরবাজ ২৫ ও কাইল মেয়ার্স ২৪ রান করেছেন। দুবাইয়ের হয়ে মুস্তাফিজের বাইরে দুইটি উইকেট নিয়েছেন হায়দার আলী।