দীর্ঘ দিনের খরা কাটিয়ে ২০২৪ সালে রোহিত শর্মার নেতৃত্বে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের শিরোপা ঘরে তোলে ভারত। চ্যাম্পিয়ন তকমা নিয়ে ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারি-মার্চে ঘরের মাঠে বিশ্বকাপ খেলতে নামবেন সূর্যকুমার যাদবরা। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে টি-টোয়েন্টিতে ভালো ক্রিকেট খেলছেন অভিষেক শর্মা, হার্দিক পান্ডিয়ারা। আক্রমণাত্বক ক্রিকেটে ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেছেন তারা।
দলের শক্তিমত্তা ও সামর্থ্যের পাশাপাশি দেশের মাটিতে খেলা হওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই শিরোপা জয়ে এগিয়ে থাকবে ভারত। হরভজনও মনে করেন, আগামী বিশ্বকাপেও ট্রফি উঁচিয়ে ধরতে পারে স্বাগতিকরা। টুর্নামেন্ট শুরুর মাসখানেক আগেই এমন ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন ভারতের সাবেক স্পিনার। তবে অন্যদের চেয়ে যে ভালো চাপ সামলাতে হবে সেটাও মনে করিয়ে দিয়েছেন তিনি।
এ প্রসঙ্গে হরভজন বলেন, ‘আমি মনে করি, বিশ্বকাপ জয়ের ভালো সুযোগ রয়েছে ভারতের। ঘরের মাঠে খেলার সঙ্গে তারা খুবই শক্তিশালী দল। অন্যদের থেকে কন্ডিশন ভালো জানা। তবে বিশ্বকাপের চাপ যেহেতু ভিন্ন তাই অন্যদের থেকে ভালোভাবে সামলানোও জানতে হবে। এটাই তাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।’
সাম্প্রতিক পারফরম্যান্সের বিচারে অস্ট্রেলিয়া ও সাউথ আফ্রিকাকে সেরা চারে রাখছেন হরভজন। ভারতের সাবেক স্পিনার মনে করেন, যেকোন বিশ্বকাপেই অস্ট্রেলিয়া চ্যাম্পিয়ন হওয়ার মতো দল। একটু অবাক করার মতো হলেও সেমিফাইনালে আফগানিস্তানকে রেখেছেন তিনি। ভারত ও শ্রীলঙ্কার কন্ডিশনে ভয়ঙ্কর হয়ে উঠে যেকোন দলকে হারাতে পারে আফগানরা, এমনটাই মনে করেন হরভজন। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও ইংল্যান্ডের মতো বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের ভাবনায় রাখেননি তিনি।
হরভজন বলেন, ‘যেকোনো বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার মতো দল অস্ট্রেলিয়া। সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স হিসেবে দক্ষিণ আফ্রিকাও অন্যতম দল। তারা সম্প্রতি অবিশ্বাস্য পারফর্ম করেছে। স্পিনারদের কারণে আফগানিস্তানও শক্তিশালী দল। আমার মতে, এই কন্ডিশনে যেকোনো দলকেই হারাতে পারে তারা। এরাই হচ্ছে আমার শেষ চারের দল।’