বিসিবির ইন্টিগ্রিটি ইউনিটের নজরদারিতে নোয়াখালীর ‘রহস্যজনক’ কোচ

বিপিএল
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি
ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক
ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) সবশেষ আসরে ঢাকা ক্যাপিটালসের স্ট্রেন্থ অ্যান্ড কন্ডিশনিং কোচ হিসেবে কাজ করেছিলেন নিয়াজ খান। চলতি বছর কাজ করছেন নোয়াখালী এক্সপ্রেসের সহকারী কোচ হিসেবে। বিপিএল চলাকালীন আচমকা অ্যালেক্স মার্শালের নেতৃত্বধীন ইন্টিগ্রিটি ইউনিটের নজরদারিতে আছেন নিয়াজ। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ইফতেখার রহমান মিঠু।

বড় কোন পর্যায়ে কাজ করার অভিজ্ঞতা না থাকলেও টানা দুই মৌসুম ধরে বিপিএলে কাজ করছেন নিয়াজ। ২০১৯-২০ সালে আফগানিস্তানের প্রতিভা খুঁজে বের করতে অবদান রেখেছিলেন! মিডিয়া কিংবা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এমন কথা নিয়মিত বলে বেড়ান তিনি। এমনকি এশিয়া কাপেও কাজ করেছেন আফগানিস্তানের সঙ্গে। যদিও এমন তথ্য অস্বীকার করেছে আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (এসিবি)।

দেশটির ক্রিকেট বোর্ডের সঙ্গে ডেইলি সান যোগাযোগ করলে তারা জানায়, এমন তথ্যের কোন ভিত্তি নেই। জানা গেছে, আফগানিস্তানের শাপাগিজা টুর্নামেন্টে একবার সহকারী কোচ হিসেবে কাজ করেছেন। বর্তমানে সংযুক্ত আরব আমিরাতের শারজাহতে একটি প্রাইভেট একাডেমি চালাচ্ছেন। এমন একজনকে কোন যোগ্যতার ভিত্তিতে বিপিএলে কাজ করার সুযোগ দেয়া হয়েছে সেটা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। যার ফলে তাকে নজরদারিতে রাখা হয়েছে।

নিয়াজের প্রশ্নে কথা বলতে গিয়ে মিঠু বলেন, ‘আপনি জানেন আমাদের একটা স্বতন্ত্র কমিটি আছে। অ্যালেক্স মার্শাল প্রধানের দায়িত্বে এবং আমাদের এখানে যোগ দিয়েছেন। আপনাদের সামনে হয়ত আসেনি কিন্তু এরকম হয়েছে এবং অনেক দলকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে, ‘তাদের কেউ দলের সঙ্গে থাকতে পারবে না।’ আপনারা খোঁজ নিয়ে দেখতে পারেন।’

বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্য সচিব আরও যোগ করেন, ‘এটা (নিয়াজ খানের ইস্যু) সিরিয়াসলি নেয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে অ্যালেক্স মার্শালের ইন্টিগ্রিটি দলের কাছে গেছে। আপনি যে কথাটা বলেছেন, আমরা কিন্তু যেকোন ইস্যু সিরিয়াসলি নিচ্ছি।’

টুর্নামেন্ট শুরুর আগে থেকেই গভর্নিং কাউন্সিলের পক্ষ থেকে নিশ্চিত করা হয়েছে দুর্নীতিতে জিরো টলারেন্স নীতি পালন করা হবে। এখনো পর্যন্ত সেটা ভালোভাবেই করতে পেরেছে তারা। অভিযোগ থাকায় বিপিএলের নিলামে রাখা হয়নি এনামুল হক বিজয়, মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত ও শফিউল ইসলামদের মতো ক্রিকেটারদের। অনেক কর্মকর্তাকেও বিপিএলের সঙ্গে থাকতে দেননি তারা। এ ছাড়া আর্থিক সমস্যা থাকায় চট্টগ্রাম রয়্যালসের মালিকানা নিয়েছে বিসিবি।

জিরো টলারেন্স নিয়ে মিঠু বলেন, ‘অন্তত গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্য সচিব হিসেবে আমি বলতে পারি এখানে জিরো টলারেন্স। সেই জিরো টলারেন্সের জন্যই কিন্তু আপনারা হঠাৎ হঠাৎ করে দেখতেছেন...আপনারা চিন্তা করেন একটা দলে নিয়েছে, খেলোয়াড়দের টাকা দিয়েছে, আমাদের টাকা দিয়েছে তারপরও কেন হঠাৎ সরিয়ে নিলো। আমাদের জন্য কষ্ট হয়েছে, তাৎক্ষণিকভাবে অ্যাকশনে যেতে হয়েছে।’

আরো পড়ুন: