চট্টগ্রাম থেকে বিপিএল সরিয়ে সমর্থকদের কাছে মিঠুর দুঃখ প্রকাশ

বিপিএল
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি
ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক
ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক
বিপিএলের সূচি অনুযায়ী, আগামী ৫ জানুয়ারি থেকে চট্টগ্রামে হওয়ার কথা ছিল দেশের একমাত্র ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ। তবে নানান বাস্তবতায় চলতি বিপিএলের কোন ম্যাচই হচ্ছে না চট্টগ্রামে। ওই ম্যাচগুলো সরিয়ে আনা হয়েছে সিলেটে। এরপর ঢাকা পর্ব দিয়ে পর্দা নামবে টুর্নামেন্টের। ইফতেখার রহমান মিঠু জানিয়েছেন, বাংলাদেশ দলের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রস্তুতি ও দলগুলোর ভ্রমণ, লজিস্টিক্যাল বিভিন্ন সমস্যা, সম্প্রচার-সরঞ্জাম ব্যবস্থাপনার সুবিধার কথা মাথায় রেখে ভেন্যু হিসেবে চট্টগ্রামকে বাদ দিয়েছেন তারা।

পুরনো সূচিতে ৩০ ডিসেম্বর দুপুর একটায় সিলেট টাইটান্সের বিপক্ষে খেলার কথা ছিল চট্টগ্রাম র‌য়্যালসের। একই দিন রাতে রংপুর রাইডার্সের প্রতিপক্ষ ছিল ঢাকা ক্যাপিটালস। তবে সেদিন ভোর ৬ টায় বাংলাদেশ সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এমন পরিস্থিতিতে ওইদিনের খেলা স্থগিত করে বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল। পরবর্তীতে জানানো হয়, ৩১ ডিসেম্বর হবে ম্যাচ দুইটি।

যদিও রাষ্ট্রীয় সাধারণ ছুটির পাশাপাশি প্রয়াত প্রধানমন্ত্রীর জানাজার জন্য ৩১ ডিসেম্বরের খেলাও স্থগিত করে। নতুন সূচিতে সেটি নিয়ে যাওয়া হয়েছে আগামী ৪ জানুয়ারি। এদিকে পরদিন থেকে চট্টগ্রামে শুরু হওয়ার কথা ছিল বিপিএলের খেলা। সিলেটে কোন খেলা না থাকায় নোয়াখালী এক্সপ্রেস চট্টগ্রামও পৌঁছে গেছে। তবে তাদেরকে আবারও ফেরত আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিসিবি। মূলত সূচির জটিলতায় চট্টগ্রামে বিপিএল আয়োজনের সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে তারা।

টানা দুইদিন খেলা স্থগিত থাকায় চট্টগ্রামে খেলা নিয়ে অ্যাডজাস্ট করতে পারছে না বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল। এ ছাড়া সুযোগ না থাকায় বিপিএলের ফাইনালের সূচিও পরিবর্তন করতে পারছেন না। কারণ ভারত ও শ্রীলঙ্কায় হতে যাওয়া টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলতে ২৬ জানুয়ারি দেশ ছাড়তে পারেন লিটন দাস-তানজিদ হাসান তামিমরা। যার ফলে ১২ জানুয়ারি পর্যন্ত সিলেটে বিপিএল করে পরবর্তীতে সেটা ঢাকায় আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিসিবি।

এ প্রসঙ্গে মিঠু বলেন, ‘আমাদের প্রথম সমস্যা হচ্ছে ২৩ তারিখেই ফাইনাল করতে হচ্ছে। বাংলাদেশ দল বিশ্বকাপে যাবে ২৬ জানুয়ারির দিকে। এ ছাড়া আমাদের প্রোডাকশন, এমনকি আপনাদেরও একটা পরিকল্পনা আছে। সেই পরিকল্পনা অনুযায়ী দল, গভর্নিং কাউন্সিল, টেকনিক্যাল কমিটি সবার সাথে আলাপ করে আমাদের যে দুইদিন গ্যাপ হয়েছে সেটা আমার অ্যাডজাস্ট করার জন্য দুইটি ভেন্যুতে খেলা নিয়ে আসা হচ্ছে। এ ছাড়া আমরা অনেক চেষ্টা করেছি, এটা ছাড়া অ্যাডজাস্ট করা যাচ্ছে না।’

সূচি কিভাবে অ্যাডজাস্ট করেছেন সেটার ব্যাখ্যায় বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্য সচিব বলেন, ‘আমরা এখানে ভ্রমণের দুদিন বাঁচাব। অ্যাডজাস্ট করার জন্য চট্টগ্রামের খেলাগুলো আমরা ঢাকায় ও এখানে (সিলেট) নিয়ে এসেছি। সিলেটে ১২ তারিখ পর্যন্ত খেলা হবে। ১৩ তারিখ দলগুলো ঢাকায় চলে যাবে। বাকি অন্য কিছু পরিবর্তন না করে কিছু খেলা সকাল-বিকেল করতে হয়েছে। তিনটা ভেন্যু থেকে আমরা দুটো ভেন্যু করেছি।’

বিপিএলকে সামনে রেখে সব ধরনের প্রস্তুতি সেরেছে চট্টগ্রাম স্টেডিয়ামের দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিরা। তবে আপাতত তাদের কাজের সুযোগ থাকছে না। এ ছাড়া চট্টগ্রামের সমর্থকরাও মাঠে বসে বিপিএল দেখার স্বাদ নিতে পারছেন না। এমন অবস্থায় তাদের সমর্থকদের কাছে দুঃখ প্রকাশ করেছেন বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্য সচিব।

মিঠু বলেন, ‘আমরা চট্টগ্রামের দর্শকদের কাছে দুঃখিত। চট্টগ্রামের সমর্থক, ম্যানেজমেন্ট সবাই সবকিছু প্রস্তুত করে ফেলেছিল। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে আমাদের চট্টগ্রাম ভেন্যু বাতিল করতে হয়েছে।’

আরো পড়ুন: