৭ বছর কোমায় থাকার পর মারা গেলেন শ্রীলঙ্কান ক্রিকেটার

শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট
আকশু ফার্নান্দো, ফাইল ফটো
আকশু ফার্নান্দো, ফাইল ফটো
ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক
ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক
কয়েক বছর কোমায় থাকার পর গতকাল মারা গেছেন শ্রীলঙ্কার অনূর্ধ্ব-১৯ দলের সাবেক ক্রিকেটার আকশু ফার্নান্দো। দীর্ঘদিন লাইফ সাপোর্টে থাকার পর ৩৪ বছর বয়সে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। ইএসপিএনক্রিকইনফোর তথ্য অনুযায়ী, দুর্ঘটনার পর থেকেই তার শারীরিক অবস্থার উন্নতি আর হয়নি।

২০১৮ সালের ২৮ ডিসেম্বর সাউথ কলম্বোর মাউন্ট লাভিনিয়া এলাকায় অনুশীলন সেশন শেষে একটি অরক্ষিত রেলপথ পার হওয়ার সময় ট্রেনের ধাক্কায় গুরুতর আহত হন ফার্নান্দো। তখন তার বয়স ছিল ২৭ বছর। সেই দুর্ঘটনার পর কোমায় চলে যান তিনি, এরপর বছরের পর বছর কেটেছে হাসপাতাল আর লাইফ সাপোর্টের মধ্যেই।

শ্রীলঙ্কার ঘরোয়া ক্রিকেটে ফার্নান্দোকে ধরা হতো সম্ভাবনাময় এক ব্যাটার হিসেবে। ঠিক যে সময়ে তার ক্যারিয়ার গতি পাচ্ছিল, সেখানেই থেমে যায় সবকিছু। দুর্ঘটনার কয়েক সপ্তাহ আগেই রাগামা ক্রিকেট ক্লাবের হয়ে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে পেয়েছিলেন নিজের প্রথম সেঞ্চুরি। অফ স্পিনেও কার্যকর ছিলেন তিনি।

ফার্নান্দোর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন রাগামা ক্রিকেট ক্লাবের সিনিয়র প্রশাসক ও আন্তর্জাতিক ধারাভাষ্যকার রোশান আবেসিংয়ে। তিনি বলেন, 'সে ছিল এক অসাধারণ তরুণ, যার প্রতিশ্রুতিময় ক্যারিয়ার নির্মম এক দুর্ঘটনায় খুব অল্প সময়ের মধ্যে শেষ হয়ে যায়। আমাদের সবার জন্য দিনটা দুঃখের।'

২০১০ সালে নিউজিল্যান্ডে অনুষ্ঠিত অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কার প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন ফার্নান্দো। সেমিফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ম্যাচে দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৫২ রান করেছিলেন তিনি। সেই দলে তাঁর সতীর্থ ছিলেন দানুশকা গুনাথিলাকা ও ভানুকা রাজাপাকশের মতো ভবিষ্যৎ জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা।

কলম্বোর সেন্ট পিটার কলেজ থেকে উঠে আসা ফার্নান্দো স্কুল ক্রিকেটেও ছিলেন পরিচিত মুখ। অনূর্ধ্ব-১৩, অনূর্ধ্ব-১৫ ও অনূর্ধ্ব-১৭ দলে নেতৃত্ব দিয়েছেন তিনি। ক্রিকেটভক্তদের কাছে আকশু ফার্নান্দো থেকে যাবেন এক অপূর্ণ সম্ভাবনার নাম হয়ে, যার স্বপ্ন আর ক্যারিয়ার দুটোই থেমে গিয়েছিল সময়ের অনেক আগেই।