টেস্টে ব্যাট হাতে বেশ ভালো সময় পার করছেন শান্ত। গত আয়ারল্যান্ড সিরিজে সেঞ্চুরি করেছেন, দুইটা সেঞ্চুরি আছে সবশেষ শ্রীলঙ্কা সফরেও। নিয়মিত রান পেলেও নিজের ব্যাটিংয়ের আরও বেশি উন্নতি করতে তামিমকে ডেকে নিয়েছেন বাংলাদেশের টেস্ট অধিনায়ক। শান্তর ফোন পেয়েই মিরপুর শের-ই বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ছুটে আসেন তামিম। মিরপুরের ইনডোরে লম্বা সময়ের সেশন করেছেন। সেই ব্যাটিং সেশনে তামিম ছিলেন শান্তর মেন্টরের ভূমিকায়।
ব্যাটিং টেকনিকের নির্দিষ্ট কিছু বিষয় তামিমের সঙ্গে কাজ করেছেন বাঁহাতি এই ওপেনার। টেকনিক্যাল বিষয়ের পাশাপাশি গেইম সেন্স নিয়ে কাজ করেছেন তিনি। ক্রিকফ্রেঞ্জির সঙ্গে একান্ত আলাপে শান্ত বলেন, ‘আমি নিজে ফোন করেছিলাম। আমার কিছু বিষয় নিয়ে ব্যাটিংয়ের একটু পরামর্শ প্রয়োজন ছিল। কিছু টেকনিক্যাল বিষয় ও গেইম সেন্সের কিছু বিষয় নিয়েও আলাপ করেছি। আমি ব্যক্তিগতভাবে উনাকে (তামিম ইকবাল) ফোন করেছিলাম, ফোন করে ডেকেছি এবং উনি খুবই আনন্দের সঙ্গে এসেছেন। আমি মনে করি আমার জন্য খুবই ভালো একটা ব্যাপার ছিল, নিজেকে খানিকটা ভাগ্যবানও বলব যে উনি (তামিম) এত ব্যস্ততার মধ্যে এসেছেন এবং আমাকে লম্বা একটা সময় দিয়েছেন। আমি যে জিনিসটা নিয়ে কাজ করতে চেয়েছিলাম সেটা পুরোপুরি করতে পেরেছি।’
কদিন আগেই ক্যারিয়ারের একশতম টেস্ট খেলেছেন মুশফিকুর রহিম। অবসর নিয়ে ব্যাটিং কোচের কোর্স করেছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। তাদের না ডেকে তামিমকেই কেন বেছে নিয়েছেন সেটার ব্যাখ্যাও দিয়েছেন শান্ত। বাংলাদেশের টেস্ট অধিনায়ক বলেন, ‘প্রথমত, আমি যেই বিষয়টা নিয়ে কাজ করেছি এটার জন্য আমি মনে করি শুধু বাংলাদেশ নয়, আমার জন্য উনি (তামিম) বিশ্বের অন্যতম একজন। এটার পেছনে আরেকটা কারণ হচ্ছে আমিও বাঁহাতি ব্যাটার, উনিও বাঁহাতি ব্যাটার। যেই বিষয়টা নিয়ে কাজ করেছি সেটাতে উনি অনেক সফল।’
‘একটা সময় উনি স্ট্রাগল করতেন কিন্তু পরবর্তীতে দেখা গেছে ওই জায়গা থেকে উনি ওভারকাম করেছেন। সবকিছু চিন্তা করে আমার কাছে মনে হয়েছে আমার জন্য উনিই সবচেয়ে সেরা পার্সন ওই জিনিসটা ঠিক করার জন্য। কালকে খুব ভালো একটা আলোচনা হয়েছে, পাশাপাশি একটু ব্যাটিংয়েরও সুযোগ হয়েছে। সুতরাং আশা করছি এই জিনিসটা সামনের দিনে আমাকে সহায়তা করবে।’
বিশ্বকাপে যাওয়ার আগে মাশরাফি বিন মুর্তজার কাছে বোলিংয়ের পরামর্শ নিয়েছিলেন তাসকিন আহমেদ। বর্তমান সময়ে ক্রিকেটারদের ডাকে ছুটে আসছেন তামিমও। কিছুদিন আগেই জাকের আলীর সঙ্গে কাজ করতে দেখা গেছে তাকে। সাম্প্রতিক সময়ে অফ সাইডে শটস খেলতে না পারায় সমালোচনার মুখে পড়েছেন জাকের। সেই সমস্যা কাটাতেই তামিমের সঙ্গে ব্যাটিং সেশন করেছেন জাকের। শান্ত জানালেন, তামিমের সঙ্গে কমফোর্টের জোনের কথাও।
শান্ত বলেন, ‘ওরটা (জাকের আলী) তো আসলে বলতে পারব না— কেন কাজ করেছেন, কী কারণে কাজ করেছেন। কিন্তু আমি যেটা বললাম আমি ওই কমফোর্টটা ফিল করেছি এবং আমার কাছে মনে হয়েছে তাঁর কাছ থেকে আমি ওই সহায়তা টুকু পাব। আপনারা জানেন আমি সোহেল স্যারের সাথে সবসময় ব্যাটিং নিয়ে কাজ করি। সোহেল স্যারের সঙ্গে আলোচনা করে তারপর কিন্তু আমি তামিম ভাইকে ডেকেছি। যেটা বললাম উনি আনন্দের সঙ্গে এসেছেন এবং আমাকে সহায়তা করেছেন। আমার ওই কমফোর্ট জোনটা ছিল, আমি মন খুলে কথা বলতে পেরেছি। আমার যেই সমস্যাগুলো হচ্ছিল সেগুলো নিয়ে কথা বলেছি। আমার জায়গায় আমি নিশ্চিত করতে পারি— আমি খুব কমফোর্টেবলভাবে কাজ করেছি।’