টপ অর্ডারের ঘাটতি পূরণে টিম সেইফার্ট, রাচিন রবীন্দ্র ও ফিন অ্যালেনের মতো মারকুটে ক্রিকেটারদের দলে টেনেছে কলকাতা। তিন নম্বরে ব্যাটিং করতে দেখা যেতে পারে ক্যামেরন গ্রিনকে। অস্ট্রেলিয়ার পেস বোলিং অলরাউন্ডারকে কিনতে ফ্র্যাঞ্চাইজিটির খরচ হয়েছে ২৫ কোটি ২০ লাখ রুপি। শ্রীলঙ্কার পেসার মাথিশা পাথিরানাকে কিনতে কলকাতার খরচ হয়েছে ১৮ কোটি রুপি।
পেস বোলিংয়ে শক্তি বাড়াতে পাথিরানার সঙ্গে মুস্তাফিজুর রহমানকেও দলে নিয়েছে তারা। বাংলাদেশের বাঁহাতি পেসারকে কিনতে ৯ কোটি ২০ লাখ রুপি খরচ হয়েছে তাদের। এ ছাড়া তেজস্বী সিং, আকাশ দীপ, রাহুল ত্রিপাঠী, কার্তিক তিয়াগি, প্রশান্ত সোলাঙ্কি, সার্থক রঞ্জনদের মতো ক্রিকেটারদেরও নিলাম থেকে দলে টেনেছে ফ্র্যাঞ্চাইজিটি। কলকাতার দল নিয়ে বেশ খুশি রবিচন্দ্রন অশ্বিন।
নিজের ইউটিউব চ্যানেলে ভারতের সাবেক অফ স্পিনার বলেন, ‘কেকেআরের দুর্দান্ত একটা দল আছে। আমি জানি না আজিঙ্কা (রাহানে) নেতৃত্ব দেবে কিনা। কিন্তু সে যদি ধৈর্য্য ধরে নেতৃত্ব দেয় তাহলে দারুণ কিছু হবে। তাদের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হবে কিভাবে পাথিরানার সেরাটা ফিরিয়ে আনে। একজন রহস্যময় স্পিনারের সঙ্গে তাঁর ওভারগুলো যদি ম্যানেজ করতে পারে তাহলে প্রতিপক্ষ কিভাবে রান করবে? দুর্দান্ত একটা দল হয়েছে।’
গ্রিন সবচেয়ে বেশি দামে বিক্রি হবেন সেটা প্রত্যাশিতই ছিল। অস্ট্রেলিয়ার অলরাউন্ডারকে দলে নিতে বেশ কয়েকটি দল কাড়াকাড়ি করেছে। শুরুতে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স বিড করলেও পরবর্তীতে লড়াইটা হয়েছে রাজস্থান রয়্যালস ও কলকাতার মধ্যে। ১৩ কোটি ৪০ লাখ রুপি দাম বলে সরে যায় রাজস্থান। ওই সময় গ্রিনকে পেতে লড়াইয়ে যোগ দেন চেন্নাই সুপার কিংস। শেষ পর্যন্ত এই দুই ফ্র্যাঞ্চাইজির মধ্যে লড়াই হয়েছে।
২৫ কোটি রুপি দাম বলে চেন্নাইও শেষ পর্যন্ত পিছু হটে। ২৫ কোটি ২০ লাখ রুপিতে তাই তাকে দলে নেয় কলকাতা। আইপিএলের ইতিহাসে গ্রিনই এখন সবচেয়ে দামি বিদেশি ক্রিকেটার। অশ্বিন মনে করেন, ছোট একটা কৌশল মিস করেছে চেন্নাই। পাঁচবারের চ্যাম্পিয়নদের জন্য গ্রিন ভালো একটা সংযোজন হতো বলেও মনে করেন তিনি।
অশ্বিন বলেন, ‘ব্যক্তিগতভাবে আমি মনে করি ক্যামেরন গ্রিন সিএসকের জন্য দুর্দান্ত সংযোজন হতো। সেক্ষেত্রে তারা হয়ত ছোট একটা কৌশল মিস করেছে। যাই হোক, এটা মূল্যর বিষয় নয়। ক্যামেরন গ্রিন জেনারেশনাল ট্যালেন্ট এবং সে কেকেআরের জন্য দারুণ সংযোজন।’