২০ দলকে মোট চারটি গ্রুপে ভাগ করা হবে। তাদের প্রতিবেদন অনুযায়ী, দুইবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজের সঙ্গে একই গ্রুপে রাখা হয়েছে বাংলাদেশকে। ২০১০ ও ২০২২ সালে ইংল্যান্ড এবং ২০১৪ ও ২০১৬ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের শিরোপা জিতেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। বিপরীতে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ অর্জন সুপার এইট। ২০২৪ বিশ্বকাপেই সেরা আটে জায়গা করে নিয়েছিলেন লিটন দাস-নাজমুল হোসেন শান্তরা।
বাংলাদেশ, ওয়েস্ট ইন্ডিজ এবং ইংল্যান্ডের পাশপাশি এই গ্রুপে থাকতে পারে নেপাল ও ইতালি। ইউরোপ অঞ্চলের বাছাইপর্ব পেরিয়ে গত জুলাইয়ে বিশ্বকাপের টিকিট কেটেছে ইতালি। নিজেদের ইতিহাসে এবারই প্রথম আইসিসির কোনো বিশ্বকাপ টুর্নামেন্টে খেলবে তারা। আগামী বিশ্বকাপে কয়েকটি ‘গ্রুপ অব ডেথ’ থাকতে পারে। যার একটা ধরা হচ্ছে বাংলাদেশ, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও ইংল্যান্ডের এই গ্রুপকে।
তুলনামূলক সহজ গ্রুপে জায়গায় পেয়েছে ভারত ও পাকিস্তান। তাদের প্রতিপক্ষ হিসেবে থাকতে পারে নেদারল্যান্ডস, নামিবিয়া এবং যুক্তরাষ্ট্র। স্বাগতিক ভারত তাদের বিশ্বকাপ মিশন শুরু করতে পারে যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে। পাকিস্তান ও ভারতের ম্যাচটি হবে শ্রীলঙ্কার কলম্বোতে। পুরনো চুক্তি অনুযায়ী, ভারতের মাটিতে খেলতে যাবে না পাকিস্তান।
বিশ্বকাপের আরেক আয়োজক শ্রীলঙ্কা বেশ কঠিন গ্রুপেই পড়েছে। চারিথ আসালাঙ্কার দলের সঙ্গে ওই গ্রুপে থাকতে পারে অস্ট্রেলিয়া, জিম্বাবুয়ে, আয়ারল্যান্ড এবং ওমান। অন্যগ্রুপে গত বিশ্বকাপের রানার্সআপ সাউথ আফ্রিকার সঙ্গে থাকবে নিউজিল্যান্ড, আফগানিস্তান, কানাডা এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত।
আগামী বছরের ৭ মার্চ পর্দা উঠবে বিশ্বকাপের। গ্রুপ পর্বের লড়াই পেরিয়ে প্রতিটি গ্রুপ থেকে পয়েন্ট টেবিলের সেরা দুইটি দল জায়গা করে নেবে সুপার এইটে। যেখান থেকে সেমিফাইনাল এবং পরবর্তীতে ৮ মার্চ ফাইনাল হবে। বিশ্বকাপের ভেন্যু হিসেবে রাখা হয়েছে ভারতের মুম্বাই, কলকাতা, চেন্নাই, আহমেদাবাদ এবং দিল্লি। এ ছাড়া সহ-আয়োজক শ্রীলঙ্কার ক্যান্ডি এবং কলম্বোর দুইটি ভেন্যু রাখা হয়েছে।