বাংলাদেশ দলে আফগানিস্তানের মতো এত ম্যাচ উইনার নেই: শেহজাদ

বাংলাদেশ
বাংলাদেশ দলে আফগানিস্তানের মতো এত ম্যাচ উইনার নেই: শেহজাদ
ফাইল ছবি
Author photo
ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক
· ১ মিনিট পড়া
রহমানুল্লাহ গুরবাজ, রশিদ খান, মোহাম্মদ নবি, মোহাম্মদ গাজানফার, আজমতউল্লাহ ওমরজাই, নূর আহমেদ কিংবা ফজলহক ফারুকি—আফগানিস্তানের স্কোয়াডে যেন ম্যাচ উইনারের মেলা বসেছে। যেকোন পরিস্থিতিতে একাই ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেয়ার সামর্থ্য রাখেন তাদের সবাই। সবশেষ কয়েক বছরে আফগানিস্তানের উত্থান, জয় কিংবা পারফরম্যান্সে সেটা স্পষ্ট হয়েছে ব্যাপকভাবে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আফগানিস্তানের বয়সটা দেড় দশক পেরিয়েছে।

এত অল্প সময়ের মধ্যেই এশিয়ার অন্যতম সেরা দল হয়ে ওঠার পাশাপাশি এত এত ম্যাচ উইনার বের করে এনেছে আফগানরা। অথচ দুই যুগের বেশি সময় ধরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলা বাংলাদেশ এসবে ঢের পিছিয়ে। সাম্প্রতিক সময়ে ম্যাচ জিতলেও হাতেগোনা ক’জনের সম্মিলিত পারফরম্যান্সের উপর নির্ভর করতে হয়। আহমেদ শেহজাদও মনে করেন, বর্তমান বাংলাদেশ দলে আফগানিস্তানের মতো এত বেশি ম্যাচ উইনার নেই।

জিও নিউজের ম্যাচ পরবর্তী অনুষ্ঠানে আফগানিস্তানের প্রশংসা করতে গিয়ে পাকিস্তানের সাবেক ওপেনার বলেন, ‘আফগানিস্তান দলে অনেক বেশি ম্যাচ উইনার আছে। আপনি বাংলাদেশের স্কোয়াডের দিকে তাকান, তাহলে এত বেশি ইমপ্যাক্ট খেলোয়াড় কিংবা ম্যাচ উইনার নেই।’

আফগানিস্তানের উত্থানের পেছনে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) যে বড় একটা অবদান আছে সেই বিষয়টা সামনে এনেছেন শেহজাদ। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দুনিয়ার সব ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগেই চাহিদা বেড়েছে আফগানিস্তানের ক্রিকেটারদের, বিশেষ করে স্পিনারদের। আইপিএলের গত আসরে বিভিন্ন দলের হয়ে খেলেছেন ওমরজাই, রশিদ, নূর, সেদিকউল্লাহ অটল, ফারুকির মতো ক্রিকেটাররা।

আইপিএলের বাইরে বেশিরভাগ লিগেই নিয়মিত খেলছেন তাদের অনেকেই। শেহজাদের ধারণা, আইপিএল খেলে সেখান থেকে শেখার পর তরুণদের মাঝে সেসব ছড়িয়ে দিচ্ছেন তারা। এ ছাড়া কঠোর পরিশ্রম, নিজেদের উদ্যোগে অবকাঠামো এগিয়ে নেয়ায় সেটার ফল পাচ্ছে আফগানরা। তাদের এমন উন্নতিতে ক্রিকেটারদের কৃতিত্ব দিচ্ছেন শেহজাদ।

তিনি বলেন, ‘এখানে তাদের (আফগানিস্তান) খেলোয়াড়দের বড় একটা কৃতিত্ব আছে। আবার তাদের অনেক খেলোয়াড়ই আইপিএলে খেলে, অনেক কিছু শেখার সুযোগ পায়। তারা এসে আবার তরুণদের মধ্যে সেটা ছড়িয়ে দিচ্ছে। তাদের সিনিয়ররা ভালো ছিল, দল বানানোর চেষ্টা করেছে। খেলোয়ড়রা নিজেরা অবকাঠামো গড়ে তুলেছে।’

‘তাদের খেলোয়াড়রা প্রচুর পরিশ্রম করে, একজন আরেকজনের কথা শুনে। আফগানিস্তানকে উপরে নিয়ে যাওয়ার জন্য তারা সবাই মিলে পরিশ্রম করেছে। অনেক কিছুই ভালো করেছে এজন্য আফগানিস্তানকে অন্য সব সহযোগী দলের চেয়ে ভালো মনে হয়। এমনকি আমরা যেভাবে আলোচনা করছি বাংলাদেশের চেয়েও ভালো মনে হয়।’

আফগানিস্তানের ক্রিকেটের উন্নতির পেছনে বড় অবদান আছে পাকিস্তানেরও। শরণার্থী হিসেবে পাকিস্তানে যাওয়ার পর সেখানে ক্রিকেট শুরু করেন তারা। তারপর আস্তে আস্তে সেটা আফগানিস্তানে ছড়িয়ে পড়ে। যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ হওয়ার পরও সাম্প্রতিক সময় বছরগুলো অনেকটা এগিয়ে গেছে তারা। যাদের কাছ থেকে ক্রিকেট ধার করা সেই পাকিস্তানকেই এখন টক্কর দেয় আফগানরা। এমনকি তাদেরকে হারানোর সুখস্মৃতিও আছে তাদের।

এটাকে আফগানিস্তানের অর্জন হিসেবে দেখছেন শেহজাদ। পাকিস্তানের সাবেক ডানহাতি ব্যাটার বলেন, ‘তারা পাকিস্তানকেও পুরোপুরি টক্কর দেয়। তাদের কাছ থেকে আপনি সহায়তা নেন তাদের সঙ্গে আপনি টক্কর দিচ্ছেন। এটা তাদের জন্য অর্জনই। আপনি যদি এটাকে না মানতে চান ওইটা আলাদা বিষয়।’

আরো পড়ুন: বাংলাদেশ