প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে মার্শাল আইয়ুবের ২৮তম সেঞ্চুরি ও ১০ হাজার রান ছোঁয়ার ম্যাচে প্রত্যাশা মেটাতে পারেননি ঢাকা বিভাগের ব্যাটাররা। মার্শালের ১২০ রানের ইনিংস খেলার পরও মোজাম্মেল হাসান ও তাওহীদুল ইসলাম রাসেলের বোলিংয়ে ২৭৩ রানে থেমেছে ঢাকা। পরবর্তীতে ব্যাটিংয়ে নেমে ইফতেখার হোসেন ইফতি ও মোহাম্মদ আব্দুল্লাহর হাফ সেঞ্চুরিতে ৫ উইকেটে ২৪৩ রান তুলেছে বরিশাল বিভাগ। এখনো ঢাকার চেয়ে ৩০ রানে পিছিয়ে তারা।
রহিমের ৬ উইকেট, রাজশাহীর লিড
আগের দিনের বিনা উইকেটে ৩৭ রান নিয়ে সকালে ব্যাটিংয়ে নামেন জাহিদ জাভেদ ও আব্দুল্লাহ আল মামুন। যদিও সকালের শুরুতেই ফেরেন ৩১ রান করা জাহিদ। রানের খাতা খোলার আগেই আউট হয়েছেন নবীন ইসলাম ও নাইম ইসলাম। পঞ্চাশের আগেই ৩ উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়ে রংপুর। পরবর্তীতে মামুন ও নাসির হোসেন মিলে জুটি গড়ে শুরুর ধাক্কা সামাল দেয়ার চেষ্টা করেন। ৩০ রান করা নাসিরের বিদায়ে ভাঙে মামুনের সঙ্গে ৮১ রানের জুটি।
ব্যাট হাতে জ্বলে উঠতে পারেননি তানবীর হায়দারও। ১২০ বলে হাফ সেঞ্চুরি করা মামুন আউট হয়েছেন ৬৪ রানের ইনিংস খেলে। শেষের দিকে মীম মোসাদ্দেক ১৮, রবিউল হক ২২, মেহেদী হাসান ২৬ ও মুগ্ধ ২৯ রান করার পরও ২৫৮ রানে অল আউট হয় রংপুর। রাজশাহীর হয়ে ৭২ রানে ৬ উইকেট নিয়েছেন পেসার রহিম। ১০ রানের লিড নিয়ে ব্যাটিংয়ে নেমে শেষ বিকেলে বিনা উইকেটে ১২ রান তুলেছে রাজশাহী। ২২ রানের লিড নিয়ে তৃতীয় দিনের সকালে ব্যাটিংয়ে নামবেন নাঈম আহমেদ ও সাব্বির হোসেন।
ইফতেখার-আব্দুল্লাহর হাফ সেঞ্চুরি, সুমনের ৪ উইকেট
কক্সবাজার আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে আগের দিনের ৭ উইকেটে ২৪৬ রান নিয়ে ব্যাটিংয়ে নেমে ভালো করতে পারেনি ঢাকা। দ্বিতীয় দিন সকালে ২৭ রান যোগ করে ২৭৩ রানে অল আউট হয়েছে তারা। ১১৮ রানে অপরাজিত থেকে ব্যাটিংয়ে নামা মার্শাল আউট হয়েছেন ১২০ রানে ইনিংস খেলে। বরিশালের হয়ে তিনটি করে উইকেট নিয়েছেন মোজাম্মেল ও তাওহীদুল। এ ছাড়া স্পিনার তানভির ইসলাম নিয়েছেন দুইটি উইকেট।
জবাবে প্রথম ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমে ভালো শুরু পায় বরিশাল। সাবধানী ব্যাটিংয়ে এগিয়ে নেয়ার চেষ্টা করলেও আদিল বিন সিদ্দিক ও ইফতেখারের জুটি টিকেছে ১১ ওভার পর্যন্ত। তাদের দুজনের ৩৯ রানের উদ্বোধনী জুটি ভাঙেন সুমন খান। ৩৭ বলে ২৭ রান করে ফেরেন আদিল। তিনে নেমে সুবিধা করতে পারেননি ফজলে মাহমুদ রাব্বিও। অভিজ্ঞ ব্যাটার ২৪ বলে ১৫ রান করে আউট হয়েছেন পেসার সুমনের বলেই। দ্রুতই ফিরে গেছেন সালমান হোসেনও। একপ্রান্ত আগলে রেখে অবশ্য ১৩৯ বলে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন ইফতেখার।
এ ছাড়া আব্দুল্লাহর সঙ্গে ১০৬ রানের জুটি গড়ে তোলেন। সাবধানী ব্যাটিংয়ে ১০২ বলে হাফ সেঞ্চুরি করেন আব্দুল্লাহ। যদিও পঞ্চাশ ছোঁয়ার পর বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি তিনি। ১১০ বলে ৫৫ রান করা আব্দুল্লাহকেও ফিরিয়েছেন সুমন। পরবর্তীতে ৭৮ রান করা ইফতেখারের উইকেট নিয়েছেন আশরাফুল ইসলাম সিয়াম। শেষ বিকেলে বরিশালের আর কোন উইকেট হারাতে দেননি তাসামুল হক ও সোহাগ গাজী। ৫ উইকেটে ২৪৩ রান নিয়ে দিন শেষ করেছে বরিশাল। ঢাকার হয়ে চারটি উইকেট নিয়েছেন সুমন।