ড্রেসিং রুমে কফি খাচ্ছিলাম, হঠাৎই ৫ উইকেট পড়ে গেল: তাসকিন

ছবি: ৪ উইকেট নেয়ার পথে বোলিংয়ে তাসকিন, ক্রিকফ্রেঞ্জি

শ্রীলঙ্কার দেয়া ২৪৫ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে শুরুতে পারভেজ হোসেন ইমনের উইকেট হারালেও তানজিদ হাসান তামিম ও নাজমুল হোসেন শান্ত মিলে বাংলাদেশের প্রাথমিক বিপর্যয় সামাল দিয়েছিলেন বেশ ভালোভাবেই। শান্ত ও তানজিদ যোগ করেছিলেন ৭১ রান। বাংলাদেশের সংগ্রহ এক সময় ছিল ১ উইকেটে ১০০।
ক্রিকেটাররা স্বস্তিতে ঘুমাতে পারবে না, এই ১৫-২০ জনই আমাদের সেরা: তাসকিন
১০ ঘন্টা আগে
সেখান থেকে ১০৫ রানের মধ্যে নেই ৮ উইকেট। এমন অবিশ্বাস্য ধস আশা করেনি বাংলাদেশ দলও। ম্যাচ শেষে বাংলাদেশ দলের হয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসেছিলেন তাসকিন আহমেদ। তিনি জানিয়েছেন, কফি খাচ্ছিলেন ড্রেসিং রুমে। হুট করেই বাংলাদেশের ৫ উইকেট পড়ে গেল। ক্রিকেট যে অনিশ্চয়তার খেলা সেটা আবারও মনে করিয়ে দিলেন এই পেসার।
সংবাদ সম্মেলনে তাসকিন বলেছেন, 'এটা আমাকে মনে করিয়ে দেয় যে, ক্রিকেটে কিছু অনিশ্চয়তা আছে... আমি আশা করিনি, কারণ আমি ড্রেসিংরুমে বসে কফি খাচ্ছিলাম, কিন্তু হঠাৎই ৫ উইকেট পরে গেলো। কিন্তু আশা করি, আমরা পরের ম্যাচে আরও শক্তিশালী হয়ে ফিরব। সবাই ভুল থেকে শিখে, কিন্তু, এটা ভালো লাগেনি।'

অবিশ্বাস্য ব্যাটিং ধসে বাংলাদেশের হার
১২ ঘন্টা আগে
এমন ধসের ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে তাসকিন জানিয়েছেন হুট করে শান্ত ও তানজিদের মতো সেট ব্যাটসম্যান ফিরে যাওয়াতেই হয়তো সবাই একটু ঘাবড়ে গিয়েছিলেন। এমন ধসকে অপ্রত্যাশিত বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশের এই পেসার। বাংলাদেশ এতো বাজে খেলার মতো দল না বলেও দাবি করেছেন তিনি।
তাসকিন বলেছেন, 'না, আসলে একটা ওভারে ২জন সেট ব্যাটসম্যান আউট হয়ে যাওয়াতে হয়তো কিছুটা প্যানিক হয়েছিলো। তো তখন দেখা গেছে, চাপের মধ্যে প্যানিক হওয়াতে যেভাবে আউট গুলো হয়েছে, একটু অপ্রত্যাশিত ছিলো। কারণ আপনারাও জানেন, যে আমরা যে ভাবে আউট হয়ে গেছি, এতটাও বাজে টিম আমরা না।'
তাসকিন আরও বলেন, 'সবার ক্যাপাবিলিটি আছে, অপ্রত্যাশিত এই ধসের জন্যই হেরে গেলাম, কিন্তু, আমরা আশা করছি, দ্রুত কাটিয়ে উঠবো সব সমস্যা এবং সামনে ভালো জয় নিয়ে আসবো, কারন স্বপ্ন দেখা ছাড়া তো আগানো যাবে না, প্রতিদিন আমরা অনেক কঠোর পরিশ্রম করছি, বাকিটা আল্লাহর ইচ্ছা, দোয়া রাখবেন।'
তাসকিন অবশ্য এই ম্যাচে ব্যক্তিগত পারফরম্যান্সে আলো ছড়িয়েছেন। শ্রীলঙ্কাকে অল আউট করে দিতে বড় অবদান রেখেছেন এই পেসার। বাংলাদেশের নাটকীয় ধসের আগে বল হাতে ৪৭ রানে ৪ উইকেট নেন এই পেসার। ইনজুরি কাটিয়ে ফিরে বল হাতে পারফর্ম করলেও সতীর্থদের খামখেয়ালীতে ম্যাচটা স্মরণীয় হলো না তাসকিনের।