পাঁজরের ইনজুরির কারণে চলতি মৌসুমে সেন্ট্রাল ডিস্ট্রিক্টসের হয়ে মাঠে নামতে পারেননি ব্রেসওয়েল। এই চোট দীর্ঘ সময় ধরে তাকে ভোগাচ্ছিল, যা তার খেলা চালিয়ে যাওয়ার পথে বড় বাধা হয়ে দাঁড়ায়। শেষ পর্যন্ত শারীরিক অবস্থার কথা বিবেচনায় নিয়েই অবসরের পথ বেছে নেন তিনি।
এক বিবৃতিতে ব্রেসওয়েল বলেন, 'এটা আমার জীবনের এক গর্বের অধ্যায়, আর তরুণ ক্রিকেটার হিসেবে আমি সবসময়ই এমন কিছুর স্বপ্ন দেখতাম। ক্রিকেট আমাকে যে সুযোগগুলো দিয়েছে, তার জন্য আমি চিরকাল কৃতজ্ঞ থাকব, নিজের দেশের হয়ে খেলার সুযোগ, পাশাপাশি ঘরোয়া ক্রিকেটে সেন্ট্রাল ডিস্ট্রিক্টসের হয়ে দীর্ঘদিন খেলার সুযোগ পাওয়াটা আমার জন্য বিশেষ সম্মানের।'
'প্রথম শ্রেণি ও আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলা সত্যিই এক বিরাট সৌভাগ্যের বিষয়, আর এতদিন ধরে খেলতে পারা ও খেলাটাকে উপভোগ করতে পারার জন্য আমি কৃতজ্ঞ।'
২০১১ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিউজিল্যান্ডের হয়ে ২৮টি টেস্ট, ২১টি ওয়ানডে ও ২০টি টি-টোয়েন্টি খেলেছেন ব্রেসওয়েল। তার ক্যারিয়ারের সবচেয়ে স্মরণীয় মুহূর্ত আসে ২০১১ সালে হোবার্ট টেস্টে। ক্যারিয়ারের মাত্র তৃতীয় ম্যাচেই ৬০ রানে ৯ উইকেট নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ঐতিহাসিক জয় পায় নিউজিল্যান্ড, যা এখনো দেশটির মাটিতে তাদের শেষ টেস্ট জয়।
টেস্ট ক্রিকেটে ২৮ ম্যাচে ৭৪ উইকেট নিয়েছেন ব্রেসওয়েল, গড় ৩৮.৮২। সাদা বলের ক্রিকেটে তার মোট উইকেট সংখ্যা ৪৬। ব্যাট হাতেও দলের প্রয়োজনে অবদান রেখেছেন তিনি, বিশেষ করে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে তার ধারাবাহিকতা ছিল চোখে পড়ার মতো।
নিউজিল্যান্ডের একটি সমৃদ্ধ ক্রিকেট পরিবার থেকেই উঠে এসেছেন ব্রেসওয়েল। তার বাবা ব্রেন্ডন ও চাচা জন দুজনেই টেস্ট ক্রিকেট খেলেছেন, জন পরে জাতীয় দলের কোচের দায়িত্বও পালন করেন। পরিবারের আরও সদস্য প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে প্রতিনিধিত্ব করেছেন, এমনকি চাচাতো ভাই মাইকেলের সঙ্গে আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতাও রয়েছে ব্রেসওয়েলের।
ঘরোয়া ও ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটেও নিয়মিত ছিলেন ব্রেসওয়েল। আইপিএলে দিল্লি ডেয়ারডেভিলসের হয়ে খেলেছেন তিনি। পাশাপাশি এসএ টোয়েন্টি ও গ্লোবাল সুপার লিগেও অংশ নেন। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ১৩৭ ম্যাচে চার হাজার ৫০৫ রান ও ৪৩৭ উইকেট নেয়ার বিরল কীর্তি নিয়ে অবসর নিলেন তিনি।