অ্যাশেজে এক ম্যাচেই খেলেই আইসিসির টেস্ট বোলারদের র্যাঙ্কিংয়ে লম্বা লাফ দিয়েছেন কামিন্স। দুই ইনিংসে ৬ উইকেট নিয়ে ৪ ধাপ এগিয়েছেন তিনি। ৮৪৯ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে অস্ট্রেলিয়ান পেসার আছেন দুই নম্বরে। ৮৭৯ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছেন জসপ্রিত বুমরাহ। ভারতের তারকা পেসারকে ছাড়িয়ে যেতে আরও ৩১ রেটিং পয়েন্ট লাগবে কামিন্সের। অস্ট্রেলিয়ার টেস্ট অধিনায়কের উন্নতি হলেও পিছিয়ে গেছেন মিচেল স্টার্ক।
প্রথম দুই টেস্টে অস্ট্রেলিয়ার জয়ের নায়ক ছিলেন বাঁহাতি এই পেসার। অ্যাডিলেডে প্রথম ইনিংসে একটি ও দ্বিতীয় ইনিংসে নিয়েছিলেন তিনটি উইকেট। এমন পারফরম্যান্সের পরও এক ধাপ পিছিয়ে তিনে নেমে গেছেন স্টার্ক। কামিন্সের সঙ্গে তাঁর রেটিং পয়েন্টের ব্যবধান মাত্র ৪। অস্ট্রেলিয়ার পেসারদের মধ্যে এক ধাপ পিছিয়ে গেছেন মাইকেল নেসার। যৌথভাবে জফরা আর্চারের সঙ্গে ৫৪ নম্বরে আছেন তিনি।
ইংল্যান্ড জিততে না পারলেও অ্যাডিলেডে বল হাতে আলো ছড়িয়েছেন আর্চার। প্রথম ইনিংসে পাঁচ উইকেট নেয়া ইংলিশ পেসার দ্বিতীয় ইনিংসে এক উইকেট নিয়েছেন। দুই ইনিংসে ৬ উইকেট নেয়া আর্চারের ২৩ ধাপ উন্নতি হয়েছে। তবে দুই ধাপ পিছিয়ে ১৭ নম্বরে নেমে গেছেন গাস অ্যাটকিনসন। শীর্ষ দশের মধ্যে ম্যাট হেনরি ২ ধাপ পিছিয়ে পাঁচ ও মার্কো জানসেন এক ধাপ পিছিয়ে নেমে গেছেন ৬ নম্বরে।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে মাউন্ট মঙ্গানুই টেস্টে দুই ইনিংসেই তিনটি করে উইকেট নিয়েছেন এজাজ প্যাটেল। ৬ উইকেট নিয়ে বাঁহাতি স্পিনার ৪ ধাপ এগিয়ে ২৪ নম্বরে উঠে এসেছেন। প্রথম ইনিংসে ৪ উইকেট নেয়া জ্যাকব ডাফি দ্বিতীয় ইনিংসে পাঁচটি উইকেট পেয়েছেন। এমন দুর্দান্ত বোলিংয়ে ১০ ধাপ এগিয়েছেন নিউজিল্যান্ডের এই পেসার। ৫১২ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে ডাফি আছেন ৩৮ নম্বর অবস্থানে।
ব্যাটারদের মধ্যে উন্নতি হয়েছে ট্রাভিস হেডের। প্রথম ইনিংসে ১০ রান করলেও দ্বিতীয় ইনিংসে ১৭০ রান করেছেন বাঁহাতি এই ওপেনার। এমন ব্যাটিং পারফরম্যান্সে ৪ ধাপ এগিয়েছেন তিনি। সমান ৮১৫ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে অসুস্থতার জন্য অ্যাডিলেডে খেলতে না পারা স্টিভ স্মিথের সঙ্গে যৌথভাবে তিন নম্বরে আছেন হেড। লম্বা লাফ দিয়েছেন অ্যালেক্স ক্যারি। প্রথম ইনিংসে ১০৬ ও দ্বিতীয় ইনিংসে ৭২ রান করেছেন অস্ট্রেলিয়ার উইকেটকিপার ব্যাটার।
প্রথম উইকেটকিপার ব্যাটার হিসেবে অ্যাশেজে একই ম্যাচে সেঞ্চুরি ও হাফ সেঞ্চুরি করেছেন ক্যারি। তাতেই ৬ ধাপ এগিয়ে ৯ নম্বরে উঠে এসেছেন তিনি। তিন ধাপ এগিয়ে ২০ নম্বরে জায়গা করে নিছেন উসমান খাওয়াজা। তবে ৬ ধাপ নিচে নেমে গেছেন মার্নাশ ল্যাবুশেন। ৩০ নম্বরে আছেন ডানহাতি এই ব্যাটার। এক ধাপ পিছিয়ে ৪ নম্বরে নেমে গেছেন হ্যারি ব্রুক। তবে ৫ ধাপ এগিয়ে ২৬ নম্বরে আছেন ইংল্যান্ডের জেমি স্মিথ।
প্রথম ইনিংসে ১৩৭ রান করেছিলেন টম লাথাম। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দ্বিতীয় ইনিংসেও পেয়েছিলেন সেঞ্চুরি। বাঁহাতি ওপেনার থেমেছিলেন ১০১ রানের ইনিংস খেলে। এমন ব্যাটিংয়ে ৭ ধাপ এগিয়ে ৩১ নম্বরে জায়গা করে নিয়েছেন লাথাম। একই ম্যাচে প্রথম ইনিংসে ২২৭ ও দ্বিতীয় ইনিংসে ১০০ রান করেছিলেন ডেভন কনওয়ে। এক লাফে ১৭ ধাপ উন্নতি করে ১৭ নম্বরে উঠেছেন তিনি। যদিও কনওয়ের সঙ্গে যৌথভাবে ১৭ নম্বরে আছেন এইডেন মার্করাম।