ইংল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে ৬৯ রানে তিন উইকেট নিয়েছিলেন কামিন্স। দ্বিতীয় ইনিংসে অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক নিয়েছেন আরও তিনটি উইকেট। দুই ইনিংসে ৬ উইকেট নিলেও সিরিজের চতুর্থ টেস্টে অনিশ্চিত কামিন্স। যদিও অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক জানিয়েছেন, তিনি সুস্থ অনুভব করছেন। তবে সিডনি টেস্টে খেলবেন কিনা সেটা মেডিকেল বিভাগের সঙ্গে আলোচনা করবেন ডানহাতি এই পেসার।
এ প্রসঙ্গে কামিন্স বলেন, ‘আমি ভালো অনুভব করছি। কিন্তু সিরিজের বাকি অংশের ব্যাপারটা নিয়ে অপেক্ষা করতে হবে এবং দেখতে হবে। আগামী কয়েক দিনে এটা নিয়ে আমরা কাজ করব। মেলবোর্নে আমি খেলবে এটা নিয়ে আমার সন্দেহ আছে। পরবর্তীতে সিডনি নিয়ে আমরা আলোচনা করব।’
কামিন্স মেলবোর্ন টেস্ট মিস করলেও সিরিজের বাকি অংশে অনিশ্চিত নাথান লায়ন। অ্যাডিলেডে ক্যামেরন গ্রিনের বলে পুল করে ফাইন লেগে বল পাঠান জেমি স্মিথ। সেখানে দাঁড়িয়ে ফিল্ডিং করছিলেন লায়ন। তবে তাৎক্ষণিকভাবে ডান হ্যামস্ট্রিংয়ে চোট পাওয়ায় ড্রেসিংরুমে ইশারা করেন তিনি। প্রাথমিক চিকিৎসা দিলেও ফিজিওর সঙ্গে মাঠ ছাড়েন ডানহাতি এই লেগ স্পিনার।
লাঞ্চের আগে ক্রাচে ভর করে মাঠ ছাড়তে দেখা যায় তাকে। তবে স্ক্যান শেষে আবারও স্টেডিয়ামে ফেরেন লায়ন। তৃতীয় টেস্টে ইংল্যান্ড হারিয়ে অ্যাশেজ জিতে নেয়ার উদযাপনেও ছিলেন তিনি। অধিনায়ক কামিন্স নিশ্চিত করেছেন, লায়নের চোট গুরুতরই মনে হচ্ছে।
কামিন্স বলেন, ‘দেখে ভালো কিছু মনে হচ্ছে না। আমি এখনো জানি না কিন্তু টেস্ট ম্যাচের এক সপ্তাহ আগে কাউকে ক্রাচে দেখাটা ভালো লক্ষণ নয়। গেজকে রিপ্লেস করা প্রায় অসম্ভব। সে যেভাবে ব্রেক থ্রো এনে দেয় তার চেয়েও বড় কথা সে যেভাবে ইনিংসটা কন্ট্রোল করে, এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাকে রিপ্লেস করা কঠিন।’