৪ ওভারে ২১ রান দিয়ে রিশাদের শিকার একটি উইকেট। ডানহাতি লেগ স্পিনারের এমন বোলিংয়ের দিনে ৪ উইকেট নিয়েছেন ইংল্যান্ডের পেসার ক্রিস জর্ডান। তাদের দুর্দান্ত বোলিংয়ের পর নিখিল চৌধুরির ৭৯ এবং বেন ম্যাকডরমটের অপরাজিত ৪৯ রানের ইনিংসে ৭ উইকেটের জয় পেয়েছে হোবার্ট হারিকেন্স। তিন ম্যাচে এটা তাদের দ্বিতীয় জয়।
জয়ের জন্য ১৪৬ রানের লক্ষ্য তাড়ায় ইনিংসের প্রথম বলেই উইকেট হারায় হোবার্ট। জেসন বেহরনডর্ফের বলে রিজওয়ানকে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন মিচেল ওয়েন। আরেক ওপেনার টিম ওয়ার্ডও বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। বেহনডর্ফের শিকার হওয়ার আগে করেছেন ৮ রান। দ্রুতই দুই উইকেট হারানোর পর হোবার্টকে পথ দেখান নিখিল ও ম্যাকডরমট। তাদের দুজনের ব্যাটেই এগিয়ে যেতে থাকে তারা।
আক্রমণাত্বক ব্যাটিংয়ে ২৯ বলে হাফ সেঞ্চুরি পেয়েছেন নিখিল। পঞ্চাশ ছোঁয়ার পর আরও দ্রুত রান তুলতে থাকেন ডানহাতি এই ব্যাটার। হোবার্টকে জয়ের খুব কাছে গিয়ে আউট হয়েছেন তিনি। ৭ চার ও ৪ ছক্কায় ৩৮ বলে ৭৯ রানের ইনিংস খেলে গুরিন্দার সান্ধুর বলে আউট হয়েছেন নিখিল। ম্যাকডরমট অপরাজিত ছিলেন ৪৯ রান করে। টিম ডেভিড করেছেন ৫ বলে অপরাজিত ৮ রান।
এর আগে ইনিংসের পঞ্চম ওভারে রিশাদকে বোলিংয়ে আনেন অধিনায়ক এলিস। ভালো শুরু করলেও সেই ওভারে এক চারে ৭ রান দেন ডানহাতি এই লেগ স্পিনার। নিজের দ্বিতীয় ওভারেও সাত রান খরচা করে ছিলেন উইকেটশূন্য। দ্বিতীয় স্পেলে ১১তম ওভারে বোলিংয়ে এসে মাত্র ৩ রান দিয়েছেন তিনি। মিতব্যয়ী বোলিং করলেও উইকেট পাচ্ছিলেন না বাংলাদেশের লেগ স্পিনার। তবে নিজের কোটার শেষ ওভারে এসে উইকেট পেয়েছেন রিশাদ।
তৃতীয় বলে ফুলার লেংথ ডেলিভারিতে বড় শট খেলতে চেয়েছিলেন জেক ফ্রেজার-ম্যাকগার্ক। তবে বলের লাইন মিস করে বোল্ড হয়েছেন ডানহাতি এই ব্যাটার। সেই ওভারে রিশাদ দিয়েছেন ৪ রান। সব মিলিয়ে ৪ ওভারে ২১ রান দিয়ে এক উইকেট নিয়েছেন রিশাদ। বাংলাদেশের লেগ স্পিনারের এমন বোলিংয়ের দিনে ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৪৫ রান করছে রেনেগেডস। তাদের হয়ে সর্বোচ্চ ৩৪ রান করেছেন টিম সেইফার্ট। এ ছাড়া মোহাম্মদ রিজওয়ান ৩২ এবং হাসান খান ২৩ রান করেছেন।