রাঁচিতে সাউথ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজের প্রথম ম্যাচে ১৩৫ রানের ইনিংস খেলেছিলেন কোহলি। দ্বিতীয় ওয়ানডেতে রায়পুরে করেছিলেন আরেকটি সেঞ্চুরি। যদিও ১০২ রানেই থামতে হয়েছিল তাকে। সিরিজ জেতা তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে ডানহাতি এই ব্যাটার অপরাজিত ছিলেন ৬৫ রানের ইনিংস খেলে। এমন পারফরম্যান্সে সিরিজসেরার পুরস্কারও জিতেছেন কোহলি।
৭৭৩ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে আইসিসির ওয়ানডে ব্যাটারদের র্যাঙ্কিংয়ে দুই নম্বরে আছেন ৩৭ বছর বয়সি এই ব্যাটার। শীর্ষে থাকা রোহিতের রেটিং পয়েন্ট ৭৮১। ফলে রোহিতকে টপকে আবারও শীর্ষে উঠতে কোহলির এখনো ৯ রেটিং পয়েন্ট প্রয়োজন। সবশেষ ২০২১ সালের এপ্রিলে বাবর আজমের কাছে সিংহাসন হারানোর পর আর কখনো শীর্ষে উঠতে পারেননি তিনি। ব্যাট হাতে ছন্দে না থাকায় একটা সময় সেরা দশের বাইরেও যেতে হয়েছিল তাকে।
ভারতীয় ব্যাটারদের মধ্যে দুই ধাপ এগিয়েছেন লোকেশ রাহুল। প্রথম ম্যাচে ৬০ রানের ইনিংস খেলা ডানহাতি ব্যাটার পরের ম্যাচে অপরাজিত ছিলেন ৬৬ রানে। তৃতীয় ওয়ানডেতে ব্যাটিংয়ের সুযোগই মেলেনি তাঁর। দুই হাফ সেঞ্চুরিতে ১২ নম্বরে উঠে এসেছেন রাহুল। তবে অক্ষর প্যাটেল ৯ ও হার্দিক পান্ডিয়া ৮ ধাপ পিছিয়ে গেছেন। তারা দুজনই যথাক্রমে ৯৯ ও ১০০ নম্বরে আছেন।
সাউথ আফ্রিকান ব্যাটারদের মধ্যে উন্নতি হয়েছে কুইন্টন ডি ককের। প্রথম ম্যাচে ডাক মারা বাঁহাতি ওপেনার দ্বিতীয় ওয়ানডেতে করেছিলেন ৮ রান। তবে শেষ ম্যাচে ১০৬ রানের ইনিংস খেলেছিলেন। যদিও সেই ম্যাচে জিততে পারেনি প্রোটিয়ারা। তবে এমন সেঞ্চুরিতে তিন ধাপ এগিয়ে ১৩ নম্বরে উঠে এসেছেন ডি কক। ৪ ধাপ এগিয়ে ২৫ নম্বরে উঠে এসেছেন এইডেন মার্করাম।
বোলারদের র্যাঙ্কিংয়ে এখনো শীর্ষে আছেন রশিদ খান। আগের মতো দুইয়ে আছেন জফরা আর্চার। তবে দুর্দান্ত বোলিংয়ে তিন ধাপ এগিয়ে তিন নম্বরে জায়গা করে নিয়েছেন ভারতের স্পিনার কুলদীপ যাদব। তবে দুই ধাপ পিছিয়ে ১৬ নম্বরে নেমে গেছেন রবীন্দ্র জাদেজা। জাতীয় দলে না থাকা মোহাম্মদ শামি ৩ ধাপ পিছিয়ে ২৩ নম্বরে নেমে গেছেন। অবনতি হয়েছে অক্ষর, লুঙ্গি এনগিডি ও কাগিসো রাবাদার।