যদিও পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত কিছুটা পরিবর্তন করে বিসিবি। জমকালো আয়োজনে করতে না পারলেও বিপিএলের উদ্বোধনী দিনেই ছোট পরিসরে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান করবে বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল। দুপুর তিনটা মাঠে গড়াবে প্রথম ম্যাচ। এর আগে সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে পোড়ানো হবে ‘ডে লাইট ফায়ার ওয়ার্ক’ বা আতশ বাজি। বাংলাদেশের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এবারই প্রথম ‘ডে লাইট ফায়ারওয়ার্কস’ হবে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্যসচিব ইফতেখার রহমান মিঠু। সংক্ষিপ্ত আয়োজন হলেও সেটা দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে। যার প্রথম অংশে শহীদ শরীফ ওসমান হাদির স্মারণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হবে। এরপর সমন্বিত সুরে গাওয়া হবে বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত। থাকছে কোরআন তিলওয়াতও। এরপর বেলুন উড়িয়ে টুর্নামেন্টের উদ্বোধন করবেন আমিনুল ইসলাম বুলবুল।
জানা গেছে, একই সঙ্গে ২৫ হাজার বেলুন উড়িয়ে বিপিএলের উদ্বোধন করা হবে। বিপিএলের জন্য সেটা অবশ্য রেকর্ডও। বেলুন উড়ানোর পর ডে লাইট ফায়ারওয়ার্কস। ম্যাচ শুরুর আগে প্রথম অংশে কাজ অনুষ্ঠান এটুকুই। এরপর মাঠে বসেই রাজশাহী ও সিলেটের ম্যাচ উপভোগ করবেন বিসিবি কর্তারা। অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় ভাগ হবে উদ্বোধনী ম্যাচ শেষে। যেখানে নাচ ও গানের আয়োজন থাকছে।
বিপিএলে অংশ নিতে যাওয়া ছয় ফ্র্যাঞ্চাইজির জার্সি পড়ে শিল্পীরা নৃত্য পরিবেশন করবেন। দেখা যাবে অভিনেত্রী তানজিন তিশাকে। নাচের সঙ্গে গানও শোনার সুযোগ পাবেন দর্শকরা। ফুয়াদ আল মুকতাদিরের কোরিওয়াগ্রাফিতে হবে হবে গানের অনুষ্ঠান। ৪৫ মিনিটের সেই অনুষ্ঠান শেষে মাঠে গড়াবে নোয়াখালী এক্সপ্রেস ও চট্টগ্রাম রয়্যালসের ম্যাচ।
এবারের বিপিএলের অন্যতম আকর্ষণ পাকিস্তানের জয়নব আব্বাস। বিপিএলের অফিসিয়াল হোস্ট হিসেবে কাজ করবেন তিনি। মাঠের ক্রিকেটের সঙ্গে কমেন্ট্রি বক্স মাতাবেন ওয়াকার ইউনুস, ড্যানি মরিসন, ড্যারেন গফ, ফারভেজ মাহরুফ, আতহার আলী, রমিজ রাজাররা। ধারাভাষ্যের মান বাড়াতেই সাবেক আন্তর্জাতিক ক্রিকেটারদের নিয়ে এনেছে বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল।