হাতে খুব বেশি সময় না থাকায় ‘চ্যালেঞ্জিং’ বিপিএল আয়োজনে শুরু থেকেই একের পর এক চ্যালেঞ্জ সামলাতে হয়েছে বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলকে। শুরুতে পাঁচ ফ্র্যাঞ্চাইজি নিয়ে টুর্নামেন্ট করতে চাইলেও পরবর্তীতে একটি দল বাড়ায় তারা। ফ্র্যাঞ্চাইজি ফি, ব্যাংক গ্যারান্টিসহ নানান কারণে প্রায়শই চাপ ও বিতর্কের মুখে পড়তে হয়েছে তাদের। নিলামের পাশাপাশি বিপিএলের সূচিও পরিবর্তন করেছে বিসিবি। বিপিএল ঢাকায় শুরু হবে নাকি সিলেটে, সেটা নিয়েও জলঘোলা কম হয়নি।
শেষ পর্যন্ত ২৬ ডিসেম্বর থেকে সিলেটেই বিপিএলের দ্বাদশ আয়োজন করতে যাচ্ছে তারা। টুর্নামেন্ট শুরুর আগে ২৪ ডিসেম্বর মিরপুর শের-ই বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে বড় পরিসরে জমকালো উদ্বোধনী আয়োজন করতে চেয়েছিল বিসিবি। কিন্তু জাতীয় নির্বাচনসহ নানান নিরাপত্তা শঙ্কায় সেটা বাতিল করে। তবে বিপিএল শুরুর দিন ছোট পরিসরে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান করার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করেছে গভর্নিং কাউন্সিল। জানুয়ারির শেষের দিকে বিশ্বকাপ খেলতে ভারত যাবে বাংলাদেশ। এ কারণেই সূচিতে পরিবর্তন আনতে পারেনি তারা।
বাংলাদেশ স্পোর্টস জার্নালিস্টস অ্যাসোসিয়েশনের (বিএসজেএ) আয়োজনে রংপুর রাইডার্স-বিএসজেএ ক্রিকেট টুর্নামেন্টের ফাইনাল শেষে মিঠু বলেন, ‘সবাই জানি যে, পরিস্থিতি একটু চ্যালেঞ্জিং। ঘণ্টায় ঘণ্টায় পরিকল্পনা বদলাতে হচ্ছে আমাদের। ২৪ তারিখে যেহেতু আমরা উদ্বোধনী অনুষ্ঠান করতে পারিনি, এখন ২৬ তারিখে ম্যাচের দিন ছোট করে করব। কারণ বাংলাদেশ দল তো (বিশ্বকাপ খেলতে) চলে যাচ্ছে জানুয়ারির শেষে। সুতরাং সূচিতে হাত দেওয়ার কোনো সুযোগই নাই। ২৬ তারিখেই আমরা ছোট করে অনুষ্ঠান করব। ওই দিন জানেন যে শুক্রবার, সুতরাং ২টা ১৫ তে শুরু করতে হচ্ছে, সেইজন্য খেলাটা তিনটার সময় করে দেয়া হয়েছে।’
বেশ কয়েক বারই বড় পরিসরে বিপিএলের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান করেছে বিসিবি। বাংলাদেশের একমাত্র ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগের অনুষ্ঠানে পারফর্ম করেছেন বলিউড তারকা সালমান খান, ক্যাটরিনা কাইফ, জ্যাকুলিন ফার্নান্দেজরা। বিপিএলের গত আসরে এসেছিলেন পাকিস্তানের রাহাত ফাতেহ আলী খান। এ ছাড়া নগর বাউল জেমস, এলআরবির আইয়ুব বাচ্চুসহ দেশের তারকা ব্যান্ড ও শিল্পীরা নানান সময়ে পারফর্ম করেছেন। তবে এবার এসবের কিছুই হচ্ছে না। ছোট পরিসরে আয়োজিত হতে যাওয়া উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে কী কী থাকবে সেটা জানালেন ইফতেখার মিঠু।
এ প্রসঙ্গে বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্য সচিব বলেন, ‘এই ধরেন, এমনি তো ওপেনিংয়ে যেটা হয়, আমাদের সভাপতি সাহেব এবং স্পোর্টস সেক্রেটারি উনারা ওপেন করবেন, সবার সাথে হ্যান্ডশেক করবেন এবং আমরা এক মিনিট নীরবতা পালন করব, সাম্প্রতি যে ইস্যু হয়েছে…. সেইজন্য এক মিনিট নীরবতা পালন করব। আর দুই ম্যাচের মাঝে আঞ্চলিক সব গান নিয়ে একটা অনুষ্ঠান হবে মাঠেই। মাঠেই মঞ্চ করে হবে।’
তিনি আরও যোগ করেন, ‘প্রথম আয়োজনটি ১৫ মিনিটের মতো হবে। কারণ আমাদের সময় নেই। অন্তত আধ ঘণ্টা দিতে হয় দলগুলিকে গা গরম করতে। আড়াইটার মধ্যে আমাদের শেষ করতে হবে। জুমার নামাজের পরে ২টা ১৫-তে শুরু করে ১৫ মিনিটের মধ্যে এটা শেষ করা হবে। পরে দুই খেলার যে মাঝখানে যে সময়টা আছে, সেখানে ৪৫ মিনিটের ওই ছোট অনুষ্ঠানটা করব।’