যদিও বিসিবি মঙ্গলবার রাতে তাদের বিপিএলে অংশগ্রহণ নিশ্চিত করে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। তারা জানিয়েছে চট্টগ্রামের ফ্যাঞ্চাইজিটি তাদের সম্পূর্ণ ফি পরিশোধ করেছে। এর পাশাপাশি তারা নির্ধারিত গ্যারান্টি অর্থও যথাযথ এবং প্রামাণিক আর্থিক নথির মাধ্যমে জমা দিয়েছে।
এই ঘোষণার পরই দলটির একটি সূত্র জানিয়েছে। চটগ্রামের হয়ে বিপিএলে খেলতে আসছেন আয়ারল্যান্ড দলের সীমিত ওভারের অধিনায়ক পল স্টার্লিং ও শ্রীলঙ্কান ব্যাটার চারিথ আসালাঙ্কা। স্টার্লিংকে পুরো বিপিএলে পেলেও আসালাঙ্কাকে হয়তো পুরো বিপিএলে পাবে না চট্টগ্রাম।
কারণ জানুয়ারিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে ৩ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে শ্রীলঙ্কা। টি-টোয়েন্টি দলের নেতৃত্বেই আছেন এই লঙ্কান ব্যাটার। ফলে তার বিপিএলের মাঝ পথে খেলা হচ্ছে না। চট্টগ্রামের ফ্র্যাঞ্চাইজি অবশ্য এই বিষয়টি মেনে নিয়েই তাকে দলে নিয়েছে বলে জানা গেছে।
বিপিএলের গত আসরে নিজের নাম জমা দিয়েছিলেন আসালাঙ্কা তবে সেখান থেকে কেউ তাকে দলে নেয়নি। একই পরিণতি হয়েছে তার এবারের বিপিএলেও। তবে নিলাম শেষ হলে তার সঙ্গে সরাসরি চুক্তি করতে যাচ্ছে চট্টগ্রামের ফ্র্যাঞ্চাইজিটি। স্টার্লিং অবশ্য বিপিএলে খেলেছেন। ২০১৮ সালে তিনি খুলনা টাইটান্সের হয়ে খেলতে এসেছিলেন।
এদিকে বিপিএল শুরুর আগেই বড় ধাক্কা খেয়েছে চট্টগ্রামের ফ্র্যাঞ্চাইজিটি। কিছুদিন আগেই হাবিবুল বাশারকে মেন্টরের ভূমিকায় নিয়োগ দেয় চট্টগ্রাম। এর কয়েকদিন পরই সেই পদ থেকে সরে দাঁড়ান বাশার। টুর্নামেন্ট শুরুর আগেই জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক বাশারের সরে যাওয়া নিশ্চিতভাবেই বড় ধাক্কা দলটির জন্য।
যদিও পরবর্তীতে জানা যায় পারিবারিক কারণ দেখিয়েই বিপিএলে থাকেননি বাশার। এরপর তার জায়গায় তুষার ইমরানকে নিয়োগ দেয় চট্টগ্রাম। এবারের বিপিএলে লড়াকু দল গঠন করেছে চট্টগ্রাম। নিলাম থেকে টুর্নামেন্টের সবচেয়ে দামি ক্রিকেটার নাইম শেখকে (এক কোটি ১০ লাখ) দলে নিয়েছে তারা।
চট্টগ্রাম রয়্যালস—
সরাসরি চুক্তি— শেখ মেহেদী, তানভির ইসলাম এবং আবরার আহমেদ।
নিলাম থেকে— নাইম শেখ, শরিফুল ইসলাম, মাহমুদুল হাসান জয়, আবু হায়দার রনি, মাহফিজুল ইসলাম রবিন, সুমন খান, জিয়াউর রহমান, আরাফাত সানি, মুকিদুল ইসলাম মুগ্ধ, শুভাগত হোম চৌধুরি, সালমান হোসেন, জাহিদুজ্জামান খান সাগর, নিরোশান ডিকওয়েলা, অ্যাঞ্জেলো পেরেরা।