
সুপার ফোরের দলগুলোর সাথে আমরা আগেও জিতেছি: বাশার
এশিয়া কাপের সুপার ফোরের তিনটি ম্যাচে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ শ্রীলঙ্কা, ভারত এবং পাকিস্তান। এই দলগুলোর বিপক্ষে জিতে ফাইনালে পৌঁছানো সম্ভব বলে মনে করেন বাংলাদেশ দলের সাবেক অধিনায়ক হাবিবুল বাশার সুমন।
এশিয়া কাপের সুপার ফোরের তিনটি ম্যাচে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ শ্রীলঙ্কা, ভারত এবং পাকিস্তান। এই দলগুলোর বিপক্ষে জিতে ফাইনালে পৌঁছানো সম্ভব বলে মনে করেন বাংলাদেশ দলের সাবেক অধিনায়ক হাবিবুল বাশার সুমন।
এশিয়া কাপের সুপার ফোরের ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বাংলাদেশকে জিততে হলে লিটন দাসকে রান করতে হবে বলে মনে করেন হার্শা ভোগলে। মিডল অর্ডারে তাওহীদ হৃদয়কেও দায়িত্ব নিতে হবে বলে মনে করছেন জনপ্রিয় এই ধারাভাষ্যকার ও ক্রিকেট বিশ্লেষক।
দুই ম্যাচে দুই জয়—ভারতের সুপার ফোর নিশ্চিত হয়েছে সবার আগে। প্রতিপক্ষকে অল্প রানে গুটিয়ে দেয়ার পর দুই ম্যাচেই দাপুটে ব্যাটিংয়ে সহজ জয় পেয়েছে ভারত। সংযুক্ত আরব আমিরাত ও পাকিস্তানের বিপক্ষে বেশিরভাগ ব্যাটারই ব্যাটিংয়ের সুযোগ পাননি। ওমানের বিপক্ষে সাঞ্জু স্যামসন, হার্দিক পান্ডিয়া, অক্ষর প্যাটেলদের ব্যাটিংয়ের সুযোগ দিয়েছে তারা। ৮ উইকেট হারালেও ব্যাটিংয়ে আসেননি অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদব। সুপার ফোর শুরুর আগে একাদশেও আসে পরির্তন।
এশিয়া কাপে এখনো ‘মুস্তাফিজসূলভ’ ঝলক দেখাতে পারেননি মুস্তাফিজুর রহমান। সুপার ফোরে দুবাইয়ের তুলনামূলক স্পিন সহায়ক উইকেট পেয়ে প্রতিপক্ষের ব্যাটারদের ত্রাস হয়ে উঠতে পারেন বাঁহাতি এই পেসার। ধীরগতির উইকেট পেলেই ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠা মুস্তাফিজ দুবাইয়েও এমন কিছু করবেন আশা বাংলাদেশের সমর্থকদের। পেস বোলিং কোচ শন টেইটেরও আশা, দুবাইয়ের ‘চেনা’ উইকেট পেয়ে প্রতিপক্ষের জন্য হুমকি হয়ে উঠবেন মুস্তাফিজ। সেই সঙ্গে বাঁহাতি পেসারের পারফরম্যান্স নিয়েও সন্তুষ্টির কথা জানিয়েছেন টেইট।
‘বি’ গ্রুপের শেষ ম্যাচে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ৬ উইকেটের জয় পেয়েছে শ্রীলঙ্কা। তাদের জয়ে সুপার ফোর নিশ্চিত হয়েছে বাংলাদেশের। যেখানে প্রতিপক্ষ হিসেবে পাচ্ছে শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তান ও ভারতকে। এমনিতেই কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হবে লিটন দাসদের। বাংলাদেশের বাড়তি চ্যালেঞ্জ হবে ভারত ও পাকিস্তানের সঙ্গে পরপর দুইদিনে খেলা। যদিও এমন সূচি নিয়ে খুব বেশি মাথা ব্যথা নেই শন টেইটের।
‘বি’ গ্রুপের শেষ ম্যাচে আফগানিস্তানকে ৬ উইকেটে হারিয়েছে শ্রীলঙ্কা। কুশল মেন্ডিস, কামিন্দু মেন্ডিসদের ব্যাটে পাওয়া জয়ে সুপার ফোর নিশ্চিত হয়েছে তাদের। শ্রীলঙ্কার পাশাপাশি ‘বি’ গ্রুপ থেকে সুপার ফোরে জায়গা করে নিয়েছে বাংলাদেশও। ‘এ’ গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন হিসেবে সবার আগে সুপার ফোরে উঠেছে ভারত। একই গ্রুপ থেকে জায়গা পেয়েছে পাকিস্তানও।
‘বি’ গ্রুপের শেষ ম্যাচে আফগানিস্তানকে ৬ উইকেটে হারিয়েছে শ্রীলঙ্কা। কুশল মেন্ডিস, কামিন্দু মেন্ডিসদের ব্যাটে পাওয়া জয়ে সুপার ফোর নিশ্চিত হয়েছে তাদের। শ্রীলঙ্কার পাশাপাশি ‘বি’ গ্রুপ থেকে সুপার ফোরে জায়গা করে নিয়েছে বাংলাদেশও। ‘এ’ গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন হিসেবে সবার আগে সুপার ফোরে উঠেছে ভারত। একই গ্রুপ থেকে জায়গা পেয়েছে পাকিস্তানও।
আফগানিস্তানকে হারিয়ে এশিয়া কাপের সুপার ফোরে জায়গা করে নিয়েছে শ্রীলঙ্কা। আফগানিস্তানের বিদায়ে দ্বিতীয় পর্বে খেলার সুযোগ পেয়েছে বাংলাদেশও। সুপার ফোরে শনিবার নিজেদের প্রথম ম্যাচে এবার মাঠে নামছে বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কা। এই ম্যাচের আগে বাংলাদেশকে সমীহের চোখেই দেখছে লঙ্কানরা।
টসের সময় রশিদ খান বলেছিলেন, ‘আবুধাবিতে আমরা অনেক ম্যাচ খেলেছি। ১৬৫ রানের বেশি করতে পারলে সেটা ভালো স্কোর হবে।’ মোহাম্মদ নবির ঝড়ো হাফ সেঞ্চুরিতে অধিনায়কের প্রত্যাশাও ছাপিয়ে গেছে। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ১৬৯ রান করলেও জিততে পারেনি আফগানরা। বোলিংয়ে প্রত্যাশা মেটাতে পারেনি ফজলহক ফারুকি, নূর আহমেদ ও মুজিব উর রহমানরা। বোলিং নিয়ে অতৃপ্তি থাকলেও সুপার ফোরে না যেতে পারার জন্য রশিদ আক্ষেপ করলেন বাংলাদেশের বিপক্ষে হারা নিয়ে।
চলমান এশিয়া কাপে ভারতের বিপক্ষে একপেশে লড়াইয়ে ৭ উইকেটের বড় ব্যবধানে হেরেছে পাকিস্তান। তবে ম্যাচের ফলাফলকে ছাপিয়ে আলোচনার বিষয়বস্তু 'হ্যান্ডশেক'। পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ শেষে ভারতের ক্রিকেটাররা হাত মেলাননি পাকিস্তানের ক্রিকেটারদের সঙ্গে। তারা ড্রেসিং রুমে ফিরে দরজা বন্ধ করে দিয়েছিলেন। এর আগে টসের পরও ভারতের অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদব এড়িয়ে গেছেন সালমান আলী আঘাকে।
শ্রীলঙ্কা ও আফগানিস্তানের মধ্যকার ম্যাচে পেন্ডুলামের মতো ঝুলছিল তিন দলের ভাগ্য। শেষ পর্যন্ত রোমাঞ্চকর লড়াইয়ে আফগানিস্তানকে ৬ উইকেটে হারিয়ে সুপার ফোরে জায়গা করে নিয়েছে শ্রীলঙ্কা। সঙ্গে বাংলাদেশ দলও পেয়েছে সুপার ফোরের টিকিট।
এশিয়া কাপে বাংলাদেশ দল এখন সুপার ফোরে। বি গ্রুপের শেষ ম্যাচে আফগানিস্তানের বিপক্ষে শ্রীলঙ্কার জয়ের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের সুপার ফোর নিশ্চিত হয়। মূলত এই ম্যাচের ওপর বাংলাদেশের ভাগ্য নির্ভর করছিল। বাংলাদেশের দর্শকরাও তাই শুরু থেকে শ্রীলঙ্কাকে সমর্থন দিচ্ছিলেন।