আবুধাবিতে ভালো শুরুর পর হঠাৎই পথ হারায় আফগানিস্তান। ব্যাট হাতে ছন্দে না থাকা রহমানুল্লাহ গুরবাজ, ইব্রাহিম জাদরানরা আরও একবার ব্যর্থ হয়েছেন। সেদিকউল্লাহ অটল, করিম জানাত ও আজমতউল্লাহ ওমরজাইয়ের ব্যাটেও রান আসেনি। ৭৯ রানে ৬ উইকেট হারানোর পর আফগানদের পথ দেখান রশিদ ও নবি। তাদের দুজনের ব্যাটেই একশ ছাড়িয়ে যায় তারা। ২৪ রানের ইনিংস খেলে রশিদ ফিরলেও অন্যপ্রান্ত আগলে রেখেছিলেন নবি।
ইনিংসের শেষ দুই ওভারে দুশমন্থ চামিরা ও দুনিথ ওয়েলালাগের উপর তাণ্ডব চালান ডানহাতি এই ব্যাটার। হ্যাটট্রিক চারে চামিরার ওভার থেকে এনেছেন ১৭ রান। ঝড়টা বয়ে গেছে ওয়েলালাগের উপর দিয়ে। প্রথম পাঁচ বলের সবকটিতেই ছক্কা মেরেছেন নবি। ওই ওভারে এনেছেন ৩২ রান। সবমিলিয়ে ২২ বলে খেলেছেন অপরাজিত ৬০ রানের ইনিংস। নবির ব্যাটেই শেষ পর্যন্ত প্রত্যাশিত পুঁজি পায় আফগানরা।
ম্যাচ শেষে রশিদও জানালেন, লঙ্কান স্পিনারকে আগেই টার্গেট করে রেখেছিলেন তারা। আফগানিস্তানের অধিনায়ক বলেন, ‘যেভাবে আমরা ইনিংস শেষ করেছি, স্পেশাল ছিল তা। আমরা জানতাম, স্পিনারের একটি ওভার বাকি আছে এবং উপযুক্ত একজন ব্যাটসম্যান ক্রিজে থাকলে সর্বোচ্চ সুযোগ থাকবে (কাজে লাগানোর)।’
ব্যাটিংয়ের শেষটা ভালো হলেও বোলিংয়ে সেটা করতে পারেননি। পাথুম নিশাঙ্কা ও কামিল মিশারাকেও ফিরিয়ে দিলেও ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিতে পারেনি আফগানিস্তান। কুশল মেন্ডিস একপ্রান্ত আগলে রাখলেও কুশল পেরেরা, চারিথ আসালাঙ্কা নিজেদের কাজটা করে দিয়েছেন। মেন্ডিস শেষের দিকে পেয়েছেন হাফ সেঞ্চুরি। শ্রীলঙ্কার সমীকরণ সহজ করে এনে ৬ উইকেটের জয় এনে দেন ১৩ বলে অপরাজিত ২৬ রান করা কামিন্দু মেন্ডিস।
বোলিং নিজেদের শক্তির জায়গা হলেও সেটাতেই বড় ভুল করেছে আফগানিস্তান। ম্যাচ হারের দায়ও তাই বোলারদের দিচ্ছেন রশিদ। তিনি বলেন, ‘যতটা ভালো বল করা উচিত ছিল, ততটা পারিনি আমরা এবং এজন্যই ম্যাচ হেরেছি। এই ধরনের উইকেটে অবশ্য কাজটা কঠিন। প্রথাগত স্পিনিং উইকেট নয় এটি, দুবাইয়ের চেয়ে আলাদা। তার পরও ভালো ক্রিকেটীয় শট খেললে এখানে ১৭০-১৮০ রান তাড়া করা যায়।’
হংকং চায়নার বিপক্ষে ৯৪ রানের জয় দিয়ে এশিয়া কাপে শুরুটা ভালো করেছিল আফগানিস্তান। তবে পরের ম্যাচে বাংলাদেশের কাছে হারতে হয়। জয়ের সম্ভাবনা জাগালেও শেষ পর্যন্ত ৮ রানে হারেন রশিদরা। যদিও শেষ ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে দিতে পারলে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে তারাই সুপার ফোরে জায়গা করে নিতো। তবে টানা দুই ম্যাচে হেরে যাওয়ায় গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায় নিতে হয়েছে তাদেরকে।
সুপার ফোরে যেতে না পারার জন্য বাংলাদেশের বিপক্ষে হার নিয়ে আক্ষেপ করেছেন রশিদ। আফগানিস্তানের অধিনায়ক মনে করেন, বাংলাদেশ ম্যাচে তাদের দারুণ সুযোগ ছিল। রশিদ বলেন, ‘আমাদের দারুণ সুযোগ ছিল আগের ম্যাচটিতে (বাংলাদেশের বিপক্ষে)। কিন্তু সেদিন ১৫০ (১৫৫) রান তাড়া করতে পারিনি। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে অবশ্য এমন হয়েই থাকে।’