আফগানিস্তান ও শ্রীলঙ্কা ম্যাচের দিন দুপুরে আবুধাবি ছেড়ে দুবাই গেছে বাংলাদেশ। যদিও সুপার ফোরে যেতে পারবে কিনা সেটার নিশ্চিয়তা ছিল না। দুবাইয়ের টিম হোটেলে বসেই দুই দলের ম্যাচ দেখেছেন বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা। আফগানিস্তানকে হারিয়ে নিজেদের পাশাপাশি বাংলাদেশের সুপার ফোরও নিশ্চিত করেছে শ্রীলঙ্কা। তাতে টিম হোটেলের পাশাপাশি বাংলাদেশেও স্বস্তি বয়ে গেছে।
যদিও সেই আনন্দ নিয়ে বসে থাকার খুব বেশি সুযোগ নেই ক্রিকেটারদের সামনে। একদিন পরই অর্থাৎ ২০ সেপ্টেম্বর সুপার ফোরের ম্যাচ খেলতে নামতে হচ্ছে বাংলাদেশকে। দুবাই ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামে তাদের প্রথম প্রতিপক্ষ শ্রীলঙ্কা। সেই ম্যাচ খেলার পর খানিকটা বিরতি পাবেন লিটনরা। বাংলাদেশের পরের ম্যাচ ২৪ সেপ্টেম্বর, ভারতের বিপক্ষে।
ভারত ম্যাচ শেষ হওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই পাকিস্তানের বিপক্ষে খেলতে নামতে হবে তাসকিন আহমেদ-মুস্তাফিজুর রহমানদের। সুপার ফোরে একমাত্র বাংলাদেশই পরপর দুইদিনে ম্যাচ খেলবে। বাকিদের সবারই প্রতি ম্যাচের আগে বিরতি আছে। এমন সূচি নিয়েও অভিযোগ নেই টেইটের। বাংলাদেশের পেস বোলিং কোচ জানান, পরিস্থিতি যেটা আছে সেটাই তাদের মেনে নিতে হবে।
এ প্রসঙ্গে টেইট বলেন, ‘পরিস্থিতি যেটা আছে আমাদের সেটাই মনে নিতে হবে। সূচিটাই এমন। আমরা অনুশীলন করব এবং পরের দিন খেলব। আধুনিক ক্রিকেটে আমাদের কাছে রিকোভারি, ডাটা, স্ট্রেন্থ এবং কন্ডিশনিং কোচও আছে। আমরা নিজেদের সেরাটা দেয়ার চেষ্টা করব। ব্যক্তিগতভাবে আমি এসব নিয়ে খুব বেশি ভাবি না। এটাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট, এটাই সূচি। আমরা নিজেদের এগিয়ে নিয়ে যাব এবং আশা করি ভালো ক্রিকেট খেলব।’
হংকং চায়না ও আফগানিস্তানের বিপক্ষে জিতলেও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ভালো ক্রিকেট খেলতে পারেনি বাংলাদেশ। এমনকি জিততেও পারেননি তানজিদ হাসান তামিমরা। সেই ম্যাচে প্রথম দুই ওভার মেইডেন দেয়ার পাশাপাশি দুই উইকেট হারিয়েছিল টাইগাররা। তাদের বিপক্ষেই ২০ সেপ্টেম্বর মাঠে নামতে হচ্ছে বাংলাদেশকে। টেইট জানান, এমন টুর্নামেন্টে অল্প সময়ের মধ্যে আরেকটি ম্যাচ খেলার সুযোগ থাকায় দ্রুতই অতীত ভুলে যাওয়া যায়।
বাংলাদেশের পেস বোলিং কোচ অতীত ভুলে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে পরের ম্যাচে মনোযোগ দিতে চান। টেইট বলেন, ‘এটা নতুন একটা দিন। এই ধরনের টুর্নামেন্টের সৌন্দর্য্য হচ্ছে দ্রুতই ম্যাচ খেলতে হয়। দ্রুতই ম্যাচ খেলার ফলে অতীত ভুলে যাওয়ার এটা ভালো সুযোগ। যতটা সম্ভব পরের ম্যাচে মনোযোগ দেয়ার সুযোগ থাকে।’