এশিয়া কাপে এখন পর্যন্ত তিন ম্যাচে লিটনের রান যথাক্রমে ৫৯, ২৮ এবং ৯ রান। আর হৃদয় এই তিন ম্যাচে করেছেন যথাক্রমে ৩৫, ৮ এবং ২৬ রান। সুপার ফোরে ভালো করতে হলে এই দুজনকে জ্বলে উঠতে হবে বলে মনে করেন হার্শা। ভারতের হয়ে সূর্যকুমার যাদব মিডল অর্ডারে যেমন ইনিংস বয়ে নিয়ে যান তেমনটা বাংলাদেশের হয়ে লিটন, হৃদয়রা করবে বলেই প্রত্যাশা হার্শার।
তিনি বলেন, 'লিটনকে রান করতে হবে। তানজিদের রান করা তাদের জন্য ভালো কারণ সে একজন আক্রমণাত্মক খেলোয়াড়। লিটন দাস রান করলে তাদের দলটিকে অন্যরকম দেখায়। বাংলাদেশের মিডল অর্ডারে একজন 'এনফোর্সার' দরকার। যেমনটা সূর্যকুমার যাদব ভারতের জন্য করেন।'
'মিডল ওভারে এসে দুর্দান্ত স্ট্রাইক রেটে রান করেন। আমার মনে হয় বাংলাদেশ মিডল ওভারে ভালো করছে না। তাদের মিডল অর্ডারে এমন কাউকে দরকার যে রান করতে পারবে, আর সেই দায়িত্ব লিটন এবং তৌহিদ হৃদয়ের।'
শেষ ম্যাচে বাংলাদেশ পঞ্চম বোলার ছাড়াই নেমেছিল। কিন্তু এই ম্যাচে জিততে হলে বাংলাদেশকে পঞ্চম বোলার নিয়েই নামতে হবে বলে মনে করছেন হার্শা। তবে তিন পেসার খেলাতে হলে দলে স্পিনাররা সেভাবে সুযোগ পাবেন না বলেই মনে করছেন তিনি।
হার্শা আরো বলেন, 'বাংলাদেশ দেখবে শ্রীলঙ্কার দলে কতজন বাঁ-হাতি ব্যাটসম্যান আছে, তাদের কি একজন অতিরিক্ত অফ-স্পিনার (শেখ মেহেদী) দরকার? এই বিষয়গুলো তারা বিবেচনা করবে। এগারোতম বা দ্বাদশ খেলোয়াড়ের জায়গাগুলো নিয়েই সাধারণত ম্যাচের ঠিক আগে কন্ডিশন দেখে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।'
'আমার ভয় হচ্ছে, ফিজকে কিছুটা বুঝে যাচ্ছে ব্যাটাররা। কিন্তু সেও ভালো বোলার এবং তাসকিনও ভালো বোলার, সঙ্গে তানজিমও। তাই এই তিনজন, কিন্তু যদি আপনি এই তিনজনকে খেলান, তাহলে আপনি সীমিত স্পিন খেলাতে পারবেন। তাই এটা একটা সিদ্ধান্ত যা তাদের নিতে হবে।'